আলাউদ্দিন আরিফ
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

চারদিকে অশান্তির ঝড়!

জনমনে স্বস্তি ফিরছে না
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে অশান্তির ঝড়! বিক্ষোভ, অবরোধ, হামলা, বিশৃঙ্খলা, সড়ক অবরোধ, মব সন্ত্রাস বা গণসহিংসতা, চাঁদাবাজি, খুনসহ নানা ঘটনায় চারদিকে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার পর লাশ উঠিয়ে নিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় জনমনে মারাত্মক দাগ কেটেছে। এর আগে নুরাল পাগলা ও তার অনুসারীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। হাটহাজারীতে মাদ্রাসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। টাঙ্গাইলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলা ও পরবর্তী সময়ে ১৪৪ ধারা জারিসহ অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা চলছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন হয়েছে এবং চলছে। ভোলায় এক মসজিদের খতিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা।

এ ছাড়া গত দুই দিনে বগুড়ায় পেট্রোল পাম্পের অফিস থেকে কর্মকর্তার গলাকাটা লাশ, বরগুনায় নিজ ঘরে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ, কেরানীগঞ্জে মায়ের বেডরুম থেকে শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার, পাবনায় টেঁটাবিদ্ধ করে যুবককে হত্যা, কুড়িগ্রামে প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্কে শিশুর লাশ উদ্ধার, সাতকানিয়ায় প্রতিবেশীর হামলায় এক ব্যক্তি খুন, পটুয়াখালীর বাউফলে শিশুর হাত-পা ও মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার, নওগাঁয় পঞ্চম শ্রেণির শিশুর লাশ উদ্ধারসহ নানা অপরাধ ও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এর বাইরে গত কয়েকদিন থেকে সংসদীয় আসন পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চলছে পাবনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায়। বাগেরহাটে ডাকা হয়েছে তিন দিনের হরতাল। গতকাল মহাখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। মোহাম্মদপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাই ও কিশোর গ্যাং কর্তৃক পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়। এ ছাড়া তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের পরিচালক আলী হাসান পলাশ তালুকদারের বাসা ও সোহাগ পরিবহনের দুটি কাউন্টারে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চুরি, গণপিটুনি ও মব সন্ত্রাস—নানা ঘটনায় দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা। সব মিলিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। চারদিকে দেখা দিয়েছে অশান্তির ঝড়।

জানা গেছে, ক্রমাবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে খোদ সরকারের মধ্যেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের তলব করে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে যে কোনো উপায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনমনে স্বস্তি ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক বিশেষ অভিযান, ব্লক রেইড ও চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের সভায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চারদিকে অশান্তির ঝড় ও আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেমন ছিল, তার চাইতে গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমি বলব যে, একটুখানি খারাপের দিকে গেছে। তবে আমরা চেষ্টা করব এটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। রাজবাড়ীর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এরই মধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যাবে। দেশের অন্যান্য এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

অপরাধ বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে থাকলেও পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হচ্ছে না। এত ক্ষমতা থাকার পরও কেন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, সন্ত্রাস-সহিংসতা ও অপরাধ দমনে পুলিশ কার্যত কঠোর ভূমিকা রাখতে না পারায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী এক বছরের বেশি সময় পার হলেও পুলিশ কাঙ্ক্ষিত মানের অপারেশনাল কার্যক্রম করতে পারছে না। এটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতাও বলছেন কেউ কেউ।

পরিসংখ্যান বলছে, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করা খোদ পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্নস্থানে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। পুলিশের রেকর্ডে গত ১৩ মাসে ৩৩৪টি গণসহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে ২১৯ সহিংসতায় পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে। থানা আক্রমণের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ১২টি। আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ৫৭ বার। এ ছাড়া অন্যান্যভাবে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে ১৫০টি।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সারা দেশে ২ হাজার ২১৬টি মামলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে দেশে ৪২৬টি ডাকাতি, ৬২৫টি অপহরণ, ৫৩৮৭টি চুরির ও ১০১০৯টি চোরাচালানের মামলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশে ৪৯২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২৯টি, কারাগারে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। এ সময়ে আক্রমণের শিকার হয়েছেন ১৬৫ সাংবাদিক। রাজনৈতিক সহিংসতায় হতাহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৯০ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৮৮ জন নারী। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ৮০টির বেশি। অন্যান্য মব ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটেছে ৩৫টি। ৩৩৪টি গণসহিংসতার মধ্যে ৬৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ ঘটনাতেই ভিকটিম হয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরা।

সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকার পরও আইনশৃঙ্খলার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হচ্ছে না এবং জনমনে স্বস্তি ফিরছে না—কেন জানতে চাইলে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, বিপ্লত্তোর সময়ে এমন কিছু পরিস্থিতি সব দেশেই দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, পুলিশ বাহিনী তাদের কাজ সম্পূর্ণভাবে করতে পারছে না। এ পুলিশ বাহিনীর কাজ বা তাদের ঘাটতি পূরণ করা সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনী দিয়ে করা সম্ভব নয়। পুলিশকে তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করতে হবে। বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য যে সংখ্যায় মাঠে আছেন, তাদের পক্ষে পুরো পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা সম্ভব নয়। তাই পুলিশের কাজ পুলিশকেই করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে; কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। আমি বলব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যারা আছেন, এটা তাদের একটি ব্যর্থতা।’

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জনমনে অশান্তি কেন—জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কিছুটা ঘাটতি আছে; সেটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে নানাভাবে মব, সহিংসতা, চাঁদাবাজি, সংঘাত-সহিংসতাসহ নানা অপরাধ ঘটানো হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করতে পারছে না পুলিশ। তারা যখন লোক দেখে রাজনৈতিক বিচার-বিবেচনায় আইন প্রয়োগ করা হবে, তখন অপরাধীরা সেটা বড় সুযোগ হিসেবে নেয়। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সংস্কারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটাও বাস্তবায়ন জরুরি। তা ছাড়া পুলিশের বদলি, পদায়নে ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সক্ষম করে তুলতে হবে। সঠিক পুলিশ কার্যক্রমের মাধ্যমে জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। জননিরাপত্তা তৈরি হলে জনমনে স্বস্তি ও শান্তি ফিরে আসবে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বলেছেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সাম্প্রতিক বৈঠক থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঝটিকা মিছিল ও বেআইনি সমাবেশের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়ে। ধর্মীয় সহিংসতা রোধে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করতে, যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। তিনি আরও বলেন, পরাজিত শক্তি বেপরোয়া হয়ে সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট-পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশের প্রতি মানুষের অনেক ক্ষোভ ছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ সাধারণ মানুষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল। এতে পুলিশ মানসিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যায়। সেই সুযোগে অপরাধী ও সুযোগসন্ধানীরা অপতৎপরতা শুরু করেছে। গত এক বছরে পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। দ্রুতই আরও উন্নতি হবে বলে আশা করেন তিনি।

এদিকে জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাহারুল আলম বলেন, ‘আমাদের শপথ হচ্ছে আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং জনগণের আস্থা অটুট রাখা ও জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। কোনো পরিস্থিতিতেই অপরাধীদের পক্ষ নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত হতে হবে আইনের বিধান ও ন্যায়বিচারের আলোকে। তিনি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি কৌশল ও প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তুরস্কের জালে স্পেনের ৬ গোল, স্বস্তির জয় পেল জার্মানি

৪ বন্ধু মিলে বাইক রেস, পথেই প্রাণ গেল ২ জনের 

বাগেরহাটে হরতাল, নির্বাচন অফিসে তালা

কুমিল্লায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

ট্রাম্পের সামনে সিনারকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ

প্রচার শেষ, মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচন

১৭০ কিমি বেগে ঝড়ের আঘাতে বন্ধ স্কুল, ফ্লাইট বাতিল

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

২০ জনকে কামড়ানো পাগলা ঘোড়াটি মারা গেছে

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১০

চাকরি দিচ্ছে সুলতান’স ডাইন

১১

অক্টোবর থেকে তেল উত্তোলন বাড়বে

১২

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাশিয়াকে নতুন হুমকি দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী

১৩

কার্টনের ভেতরে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

১৪

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে মদিনা গ্রুপ

১৫

৮ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬

ইসরায়েল-ইয়েমেনের বড় যুদ্ধ কি আসন্ন?

১৭

দাফন করতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পর্শে দুজনের মৃত্যু

১৮

প্রেমিককে ভিডিও পাঠিয়ে নিজেকে শেষ করলেন তরুণী

১৯

আজ থেকে রেকর্ড দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ

২০
X