সানাউল হক সানী ও শাহনেওয়াজ খান সুমন
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১১:৩১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জলাবদ্ধতা রোধের তিন হাজার কোটিই জলে

আসে একের পর এক প্রকল্প
এক-দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ঢাকার রাস্তা থইথই
এক-দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ঢাকার রাস্তা থইথই

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে যেন নিস্তার নেই রাজধানীবাসীর। বিপুল অর্থ ব্যয়ে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি। ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে আড়াই বছর আগে এই দায়িত্ব ছাড়ে ঢাকা ওয়াসা। এরপর নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।

সব মিলিয়ে গত এক যুগে বিভিন্ন সংস্থা খরচ করেছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে কোনো কিছুতেই তেমন ফল আসেনি। এখনো এক-দেড় ঘণ্টার মাঝারি বৃষ্টিতেই পানিতে থইথই করে ঢাকার অলিগলি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকল্পনায় দুর্বলতা, বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা এবং বরাদ্দ অর্থের সঠিক ব্যবহার না হওয়াই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

নগর পরিকল্পনাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান কালবেলাকে বলেন, শুধু প্রকল্পের মাধ্যমে টাকার অঙ্ক বাড়ালেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না। পানি কোন পথ দিয়ে নামবে সেই কাজ আগে করা উচিত। উন্নয়ন কাজ করার পর তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে খাল ও ড্রেনের মুখ আবার ভরাট হয়ে যায়। সিটি করপোরেশন, রাজউক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না। একে অন্যকে দোষারোপ করে। দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে নেওয়া বড় প্রকল্প ছাড়াও জলাবদ্ধতা কমাতে দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকার জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কিছু ব্যয় আছে। রাজধানীর খাল, নর্দমা, ড্রেন সংস্কার, উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন খাতে এসব প্রতিষ্ঠান টাকা খরচ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব ব্যয়ের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতে ছিল। এরপর পৌরসভা এ দায়িত্ব পালন করত। ১৯৮৮ সালে এই দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে ঢাকা মহানগরীর প্রধান ড্রেন লাইনগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। আর শাখা লাইনগুলোর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।

ওই সময় রাজধানীর মোট ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে ৩৮৫ কিলোমিটার ঢাকা ওয়াসার অধীনে এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীনে ছিল। এর বাইরে ৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২৬টি খাল ও ১০ কিলোমিটার বক্স-কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল ঢাকা ওয়াসার।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর খালগুলো দখলমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে তারা। তাতে কিছুটা সুফল পেয়েছিলেন নগরবাসী। কিন্তু খালগুলো উদ্ধার ও আবর্জনামুক্ত করলেও তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। এর বাইরেও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৭টি খাল রয়েছে। এ খাল ও জলাশয়গুলোও সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছাড়ার আগেই ঢাকা ওয়াসা একের পর এক বড় প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করে গেছে। এর মধ্যে ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প শেষ হয় ২০১১ সালে। এর এক দশক আগে প্রকল্পটি শুরুর সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৪৬ কোটি টাকা। বছর বছর ওই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় বাড়ানো হলেও শেষ পর্যন্ত তা নগরবাসীর জন্য তেমন সুফল বয়ে আনেনি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পর্যালোচনা বলছে, এই প্রকল্পের আওতায়

যেসব কাজ করার কথা ছিল, এর অনেকটির কোনো অস্তিত্বই নেই। এরপর দ্বিতীয় ধাপের জন্য আরও ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৩ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষেও ফলাফল একই দাঁড়ায়।

২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেরেবাংলা নগর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় ধাপে ব্যয় হয় আরও ২৪৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় রোকেয়া সরণির আগারগাঁও থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত সড়ক ও আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বলা হয়।

এরপর পাঁচটি খাল আধুনিকায়ন প্রকল্পে ব্যয় হয় ৫০০ কোটি টাকা। খালগুলো হলো—হাজারীবাগ, মুগদা-বাসাবোর মান্ডা, মিরপুরের বাইশটেকি ও সাংবাদিক কলোনি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয় ‘ঢাকা সিটি ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’। এ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর বিচ্ছিন্ন জলাবদ্ধ এলাকায় আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়।

এর বাইরে পাইপড্রেন ও কালভার্ট পরিষ্কারের জন্য প্রতিবছর খরচ করা হয়েছে গড়ে ২০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১০ বছরে সরকারের অর্থায়নে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যয় করেছে কমপক্ষে ২ হাজার ২৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে ড্রেনেজ খাতে দুই সিটি করপোরেশন গত তিন অর্থবছর মিলে ব্যয় করেছে ২৯৩ কোটি টাকা। তার আগে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাজেটে প্রতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল গড়ে ৪০ কোটি টাকা। ফলে আগের সাতটি অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হয়েছে ২৮০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে সিটি করপোরেশন এ খাতে মোট ব্যয় করেছে ৫৭৩ কোটি টাকা। এর পরের আড়াই বছরে ব্যয় হয়েছে আরও প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা মহানগরীকে সম্পূর্ণভাবে জলাবদ্ধতামুক্ত করা সম্ভব না হলেও কোনো কোনো এলাকায় এ কাজে সফলতা মিলেছে। বিশেষ করে একসময়ে জলাবদ্ধতার জন্য আলোচিত শান্তিনগর এলাকায় এখন প্রবল বৃষ্টিতেও খুব একটা পানি জমছে না। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা কমেছে মতিঝিল, ধানমন্ডি, চানখাঁরপুল এবং আজিমপুর এলাকাতেও।

আড়াই বছরে যা করেছে দুই সিটি : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শাখা-প্রশাখাসহ ১১টি অচল খাল, বর্জ্যে জমাটবদ্ধ পাঁচটি বক্স-কালভার্ট এবং প্রায় ২০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নর্দমার মালিকানা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা ওয়াসা। দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব খাল, বক্স-কালভার্ট ও নর্দমা থেকে বর্জ্য অপসারণ, সীমানা নির্ধারণ ও দখলমুক্ত করা শুরু করে তারা।

২০২১ সালে ৮ লাখ ২২ হাজার টন, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৪৪ হাজার টন এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার টন বর্জ্য ও পলি অপসারণ করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত তিন বছরে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করেছে দক্ষিণ সিটি।

ডিএসসিসি কর্মকর্তাদের দাবি, সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকা শহর আর ডুবে যায় না। ধানমন্ডি-২৭, পলাশী মোড়, আজিমপুর মোড়, শান্তিনগর, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এলাকার নটর ডেম কলেজের সামনের অংশ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনের রাস্তা, সূত্রাপুর শিল্পাঞ্চল এখন আর কোমর পানিতে ডুবে যায় না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্যামপুর, মান্ডা, জিরানী ও কালুনগর—এ চার খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ এবং খাল সংস্কার করে নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৮৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় এ চার খালের নকশা, অঙ্কন ও জরিপ কাজ চলছে। একই সঙ্গে এসব খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ ও ভূমি উন্নয়নের লক্ষ্যে দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

অন্যদিকে, কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ থেকে রায়েরবাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ডিএসসিরি নিজস্ব অর্থায়নে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চ্যানেলের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের মোট ১০৩টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরিবেশ আছে। সেখানে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক কোথাও জলাবদ্ধতা হলে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম এবার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএনসিসি কর্মকর্তারা বলছেন, এরই মধ্যে ইব্রাহিমপুর, লাউতলা, কল্যাণপুর, রূপনগর, আব্দুল্লাহপুর, সিভিল এভিয়েশন, বাইশটেক ও বাউনিয়া খাল দখল মুক্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে এবার অনেকাংশেই জলাবদ্ধতা কম হবে।

ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে মগবাজার, মধুবাগ, কারওয়ান বাজার, উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরসহ এয়ারপোর্ট রোড এবং বনানী রেলগেট থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইব্রাহিমপুর খাল, কল্যাণপুর খাল, আব্দুল্লাহপুর খিজির খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উত্তর সিটি এলাকার ২৯টি খাল উদ্ধারে কাজ চলছে বলে জানান তারা।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, খাল সংস্কার নিয়ে তারা মাস্টারপ্ল্যান করছেন। ডিএনসিসির খাল সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এটি অনুমোদন পেলে বাইশটেকি, সাংবাদিক কলোনি খাল এবং কুর্মিটোলা খালের সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সার্বিক বিষয়ে নগর বিশেষজ্ঞ স্থপতি ইকবাল হাবিব কালবেলাকে বলেন, ঢাকার খালগুলো যখন ওয়াসার আওতায় ছিল, তখন সিটি করপোরেশনের কোনো এখতিয়ার ছিল না। বরং সিটি করপোরেশন দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে বছরের পর বছর খালগুলো ভরাট করতে ভূমিকা রেখেছে। এরপর তারা খালের দায়িত্ব পেলেও যথোপযুক্ত পরিকল্পনা করার মতো লোকবল, যন্ত্রপাতি পায়নি। এ কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ সঠিকভাবে করতে পারছে না।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করতে হলে ব্লু নেটওয়ার্কের পাশাপাশি চিহ্নিত জলাধারগুলো ও বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলো দ্রুততম সময়ে কঠোর মানসিকতায় পুনরুদ্ধার করে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পাশাপাশি জনগণকে এ কাজে সম্পৃক্ত করে পরবর্তী সময়ে এসবের সংরক্ষণ ও পরিচালন নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজগুলো না করে মাঝে মাঝে ময়লা সরানোর মতো কর্মতৎপরতা যতই দেখানো হোক, তাতে সাময়িক স্বস্তি এলেও স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

যা বলছেন দুই মেয়র : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে এরই মধ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পর জমে থাকা পানি সরাতে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তেন কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার বাসিন্দারা। ওয়াসা থেকে পাওয়া ড্রেনেজ ব্যবস্থায় এসব জটিলতার অবসান হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করে সেখানে পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ফলে আশা করা যায়, এবার জলাবদ্ধতা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে ঢাকাবাসী।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বড় দুশ্চিন্তা অবশ্যই জলমগ্নতা ও জলাবদ্ধতা। ২০২০ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় খাল, নর্দমাগুলো আমাদের আওতায় ছিল না। তখন অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ শতাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যেত, প্লাবিত হতো। মনে হতো বন্যা হয়ে গেছে। খাল ও নর্দমাগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর আমরা ১৩৬টি স্থান নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। ফলে জলাবদ্ধতা ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন জায়গা ছাড়া এখন আর জলমগ্নতা নেই।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুদামে মজুত ছিল সরকারি বরাদ্দের ৩৫ বস্তা চাল

রক্তচাপ সম্পর্কে যা জানা জরুরি

লুটপাট-চাঁদাবাজি বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই : মুজিবুর রহমান

 ১০ হাজার ‘বীর’ সেনাকে সম্মান জানালেন কিম

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার ‘নিখোঁজ’ 

নির্মাণাধীন সেতুর দড়ি ছিঁড়ে নিহত ৭, নিখোঁজ ৯

ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে দেশ ছাড়ার মতো অবস্থায় তারকা খেলোয়াড়

নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত স্বৈরাচার লাভবান হবে : ডা. জাহিদ 

থানা হাজতে যুবকের মৃত্যু, পুলিশ বলছে ‘আত্মহত্যা’

সাড়ে ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

১০

বাড়িভাড়ার কথা বলে ঘরে প্রবেশ, হাত-পা বেঁধে লুটের পর বৃদ্ধাকে হত্যা

১১

লরি উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর, নিহত ৪

১২

‘২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সাদা পাথর এলাকা’

১৩

তোপের মুখে স্বাধীন খসরু

১৪

দুটির বদলে একটি মিষ্টি পেয়ে মন্ত্রীকে ফোন, অতঃপর...

১৫

টানা ১০ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৬

জাহান্নামের দরজা শিগগির খুলবে : ইসরায়েল

১৭

আ.লীগ কর্মীর বাড়িতে মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ 

১৮

ক্রিকেট ইতিহাসে এই রেকর্ড করতে পারেনি আগে কেউ

১৯

সিনেমা বানিয়ে তাক লাগাতে চান জয়

২০
X