আতাউর রহমান ও রাফসান জানি
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০২:৩৮ এএম
আপডেট : ২৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দুইশ কোটির স্বর্ণেই সর্বনাশ

দেশেও হয়েছিল হত্যাচেষ্টা
দুইশ কোটির স্বর্ণেই সর্বনাশ

বিদেশের মাটিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কেন নৃশংসভাবে খুন করা হলো, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলছেন না তদন্তকারীরা। যদিও তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে আভাস মিলেছে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালানের ২০০ কোটি টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ ছাড়া সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণও খুনের আরেক কারণ হিসেবে কাজ করেছে। খুনের মাস্টারমাইন্ড নিহত এমপি আনারের ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করা গেলে এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে বলছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ঝিনাইদহে সীমান্ত এলাকার খোঁজ রাখেন- এমন সূত্র বলছে, নিহত এমপি আনার ও তাকে খুনে অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের এই বন্ধুত্ব এবং দুজন মিলে সীমান্ত এলাকার কারবার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রকাশ্যই ছিল। তবে সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারের পথঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মাস ধরে এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছিল বলেও আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তাদের এলাকার লোকজন।

কেন বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছিল দুজনের, সে প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত তথ্য রয়েছে, শাহীন দুবাই থেকে স্বর্ণের চালান পাঠাতেন দেশে। সেই চালান সীমান্ত পার করার বিষয়টি দেখভাল করতেন এমপি আনার। এ জন্য তিনি নিতেন মোটা কমিশন। এই কমিশন বাড়ানো নিয়ে বছরখানেক ধরে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। ডিবি সূত্রের দাবি, কমিশন না বাড়ায় বন্ধু শাহীনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এমপি আনার। এর জেরে দুবাই থেকে আসা স্বর্ণের একাধিক চালান তিনি গায়েব করেন। যার মূল্য অন্তত ২০০ কোটি টাকা। এর জেরেই দুজনের দূরত্ব বাড়ে। শাহীন অন্য মাধ্যমে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা করলেও তাতে বাধা হন এমপি আনার। এর জের ধরেই তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। যার নিষ্ঠুর বাস্তবায়ন হয় কলকাতায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সব অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা। কী কারণে হত্যা, সেটা পরে দেখব। তিনি বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলছি না। তবে আমরা যাকে ধরেছি, তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। শাহীনের কথিত গার্লফ্রেন্ড শিলাস্তি রহমানও আমাদের কাছে রয়েছে। এই নারীকে দিয়ে হানি ট্র্যাপ করা হয়েছে, নাকি টাকার কোনো ঘটনা ছিল বা রাজনৈতিক কিছু ছিল কি না অথবা খুলনার দুর্বৃত্তদের দমন করতে গিয়ে কিছু হয়েছে কি না, সবকিছু নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।

ডিবি পুলিশ জানায়, দেশেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল এমপি আনারকে। তবে ধরা পড়ার ভয়ে সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করে খুনের মাস্টারমাইন্ডরা। তাকে খুনের পরিকল্পনা হয় রাজধানীর গুলশান-২-এর ৬৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়ির ২বি১ ফ্ল্যাটে। এরপর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ব্লকের ৩২ নম্বর সড়কের ১৯২৯ নম্বর বাসায়। দফায় দফায় হত্যা পরিকল্পনায় ব্যবহৃত ওই দুটি বাসার মালিক খুনের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। এমপিকে ঢাকায় খুন করা হলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে কলকাতাকে বেছে নেওয়া হয়।

সূত্র বলছে, এমপি আনারকে হত্যার অন্তত তিন মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা চলছিল। খুনের স্পট নিয়ে পরিকল্পনায় পরিবর্তন এলে তিনি কবে ভারতে যাবেন, সেই অপেক্ষা করতে থাকে খুনিরা। এজন্য দুই মাস ধরে তার গতিবিধি ও কর্মসূচি নজরদারি করা হয়। আনার মে মাসে কলকাতা যাবেন, তা নিশ্চিত হয়ে মাস্টারমাইন্ড শাহীন ৩০ এপ্রিল মূল কিলার নিয়ে কলকাতা যান। এর আগেই কলকাতার নিউটাউন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করা হয়।

ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, মাস্টারমাইন্ড শাহীন মার্কিন পাসপোর্টধারী। আনারকে খুনের সব আয়োজন সম্পন্ন করে ১০ মে তিনি কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন। এরপর দেশে বসেই সব কলকাঠি নাড়েন। হত্যা মিশন বাস্তবায়নের পর ফের কলকাতা যান। সেখান থেকে নেপাল ও দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। এই শাহীনের বড় ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান। তবে এর বাইরে অন্য কেউ রয়েছে কি না, সে তদন্ত চলছে।

গত ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কলকাতায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। গোপালের সঙ্গে তার ২৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। পরের দিন কলকাতার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় আনার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বের হন। এরপর আর না ফেরায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় গোপাল বিশ্বাস জিডি করেন। গত বুধবার ঢাকা ও কলকাতার পুলিশ নিশ্চিত হয়, এমপি আনারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত তার লাশ মেলেনি। টুকরো টুকরো করে লাশ গুম করায় তা পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ বলে আভাস দিয়েছেন ঢাকার তদন্ত কর্মকর্তারা।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আনারকে যারা হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করার প্রায় কাছাকাছি এসে গিয়েছি। শুধু ঘোষণার বাকি। ঘোষণাটি দেব দুই দেশের গোয়েন্দারা সম্পূর্ণ একমত হতে পারলে। তিনি আরও বলেন, আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ—দুই দেশ থেকেই আমরা কাজ করছি; যাতে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে, তাদের মুখ থেকে আমরা এগুলো শুনেছি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ গতকাল বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মাধ্যমে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা অনেক দিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের সুযোগ খুঁজছিল। ঢাকায় ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকায় হত্যার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় কলকাতাকে। তিনি আরও বলেন, বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না ভেবেই কলকাতাকে বেছে নেয় অপরাধীরা। তবে তারা এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে থাকতে পারেনি। আমরা কয়েকজনকে নজরদারিতে রেখেছি।

লাশ গুম করতে নৃশংসতা: তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধান কিলার আমানুল্লাহর নেতৃত্বে মোস্তাফিজ, ফয়সাল, জিহাদ ও সিয়াম ৩০ মিনিটের মতো সময় নিয়ে আনারকে হত্যা করে। হত্যার পর খুনিরা বাংলাদেশে ফোন করে মাস্টারমাইন্ড শাহীনের কাছে জানতে চায়, লাশ কী করবে? তখন শাহীন নির্দেশ দেয়, এমনভাবে লাশ গুম করতে হবে, কেউ যেন খুঁজে না পায়। এরপর পাঁচ কিলার মিলে এমপি আনারের মরদেহ নৃশংসভাবে টুকরো টুকরো করে। প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে ওই সূত্রটি জানায়, লাশ গুম করতে তা টুকরো করার পর গরম পানিতে ভিজিয়ে মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হাড়গোড়ও নষ্ট করে ফেলা হয়।

গোয়েন্দা প্রধান হারুন জানান, ১৩ মে বিকেলে এমপি আনার কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবনী গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে যাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে হাড় থেকে শরীরের মাংস আলাদা করা হয় নৃশংসভাবে। এরপর তাতে হলুদের গুঁড়া-মসলা মিশিয়ে দেওয়া হয়, যাতে গুম করার সময়ে কেউ দেখে ফেললে বলতে পারে বাজার থেকে আনা কিছু। পরে ২-৩ জন মিলে খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ কয়েকটি ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়।

কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা জালে থাকা তিন খুনির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার গোয়েন্দারা বলছেন, ১৩ মে এমপি আনার লাল রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে সঞ্জীবনী গার্ডেনে শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। গত বুধবার রাতে লাল রঙের সেই গাড়িসহ চালককে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই গাড়িতে এমপি ছাড়াও এক নারী ও দুই পুরুষ ছিল। সূত্র জানায়, হত্যায় যুক্ত সিয়ামকে গতকাল আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। এ ছাড়া লাশের টুকরো বহন করা সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকারও চালকসহ আটক করা হয়েছে।

গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির মহাপরিদর্শক অখিলেশ চতুর্বেদী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সঞ্জীবনী গার্ডেন কমপ্লেক্সের গেটে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ১৩ মে এমপি আনার এক নারী ও দুই পুরুষের সঙ্গে ওই কমপ্লেক্সে ঢোকেন। প্রবেশের পর তাকে বের হতে দেখা যায়নি। ১৩ ও ১৫ মের মধ্যে ওই নারী এবং দুই পুরুষকে বাড়িটি থেকে একাধিকবার বের হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে তাদের অন্তত দুজনকে বড় বড় ব্যাগ হাতে নিয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে। ব্যাগ নিয়ে তারা যে গাড়িতে উঠেছিল, সেটা ছিল অ্যাপসভিত্তিক ভাড়া করা গাড়ি।

ঢাকায় কলকাতা পুলিশের চার সদস্য : এমপি আনার হত্যার তদন্ত করতে গতকাল ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় পুলিশের চার সদস্যের একটি বিশেষ দল। আনারের হত্যার ঘটনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা।

ডিবি সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান ভারতীয় পুলিশের চার সদস্য। ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো অফিসার অন্তু কুমার ও জয়দীপসহ চারজন ভারতীয় পুলিশ ডিবি কার্যালয়ে হত্যার ঘটনায় হেফাজতে থাকা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তথ্য আদান-প্রদান করেন তারা।

গতকাল বিকেল ৩টার দিকে ঢাকায় পৌঁছায় কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিদলটি। পরে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন হয়ে বিকেলে সদর দপ্তরে একটি বৈঠক করেন তারা। ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় পুলিশের সদস্যরা ঢাকাতে অবস্থান করছেন। আগামী শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা ফের ডিবি কার্যালয়ে আসবেন। ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ভারতীয় পুলিশের টিম ডিবির হেফাজতে থাকা আসামিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিবির কাছে যে তথ্যগুলো আসামিরা জানিয়েছিল, তারা ভারতীয় পুলিশের কাছে একই তথ্য স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পুলিশ যে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে তার মাধ্যমে চেষ্টা করছে এমপির মরদেহ কোথায় ফেলেছে, তা খুঁজে বের করার।

কলকাতা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকার পুলিশ: এমপি হত্যার তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশেরও একটি দল কলকাতা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল রাতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, দ্রুতই আমাদের একটি দল ইন্ডিয়া যাবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আগামী রোববার এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ আসতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএল থেকে অবসরের ঘোষণা তারকা স্পিনারের

শাহবাগ মোড় অবরোধ করে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে এফআইআর

বিদ্যুতায়িত মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মেয়েরও

শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গো গেলেন পুলিশের ১৮০ সদস্য

স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক তারকা ক্রিকেটারের আবেগঘন বার্তা

সবুজের আঁচলে পাহাড়ি জীবনের ভরসা জুম চাষ

আর্জেন্টিনাকে যে শাস্তি দিল ফিফা

আমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

আসছে বাহুবলি: দ্য এপিক

১০

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস কোনটি, শচীনের উত্তর শুনে অবাক সবাই

১১

নদীপাড়ের ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

১২

ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠল দামেস্ক, ৬ সেনা নিহত

১৩

জেনে নিন যে ৫ ভুলে ফ্রিজ বারবার নষ্ট হচ্ছে

১৪

পাশের ঘরে বরকে অপেক্ষায় রেখে নববধূর কাণ্ড

১৫

ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৬

বাগদান সারলেন টেইলর সুইফট

১৭

ফের চটলেন আলিয়া

১৮

সৌম্যের ব্যাটে তাণ্ডব, কিপটে মুস্তাফিজ : প্রস্তুতি ম্যাচে কে কেমন করলেন

১৯

সুহানার ছবিতে শাহরুখের মন্তব্য, সরগরম নেটদুনিয়া

২০
X