জাকির হোসেন লিটন
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০১:৫৯ এএম
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৪, ১২:১০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঘুরেফিরে আলোচিত এমপিরাই বিতর্কিত

উপজেলা নির্বাচন
ঘুরেফিরে আলোচিত এমপিরাই বিতর্কিত

প্রচলিত আইন ও বিধি ভঙ্গ করে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে নানাভাবে তৎপর ছিলেন সংসদ সদস্যরা। পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে অধিকাংশ উপজেলায়ই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছেন তারা। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ এমপি কৌশলী হলেও কেউ কেউ নিজ বলয়ের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। ভোটের মাঠে নানাভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তারা। নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত কয়েকজন সংসদ সদস্যও এ তালিকায় রয়েছেন।

গত ৯ জুন পঞ্চম ধাপের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৬৯টিতে নির্বাচন হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন বর্জন করে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি। ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কৌশল হিসেবে সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হয়। এ কারণে বেশিরভাগ উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িতরা।

এবারের নির্বাচনের শুরুতেই বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য কিংবা স্বজনদের প্রার্থী করে সমালোচিত হন। বিষয়টি আমলে নিয়ে একপর্যায়ে এমন প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর শাস্তির হুমকিও দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রের সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাঠে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি সমালোচিত ও বিতর্কিত হন। এর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রভাবশালী, আলোচিত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তারকা খ্যাতি পাওয়া এমপিও রয়েছেন।

গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চার ধাপে এই ভোট সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপে উপকূলীয় ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ২০টির নির্বাচনের জন্য ৯ জুন পঞ্চম ধাপে ভোট করতে হয়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা বেড়েছে। প্রার্থী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। দলীয়, স্বতন্ত্রসহ এ সংখ্যা অন্তত ২৫ জন। কমিশনের বারবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কোনোভাবেই এদের থামানো যাচ্ছিল না। এজন্য স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংসদ সচিবালয়েও চিঠি দেয় কমিশন। পাশাপাশি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব মন্ত্রী-এমপির ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন কমিশনের শোকজ, তলব ও সতর্কতার মুখে পড়েন আলোচিত এমপি অনেকেই। কেউ কেউ সশরীরে উপস্থিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পান।

মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে আলোচিত এই এমপির ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। ছেলেকে জেতাতে শাজাহান খান প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন আরেক প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক। এই প্রার্থীও সম্পর্কে শাজাহান খানের চাচাতো ভাই।

প্রথম ধাপের প্রচারণা চলাকালে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ১৫টিরও বেশি চিঠি দেওয়া হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর খবরদারি, কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ২২ ধরনের অভিযোগ করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে শাজাহান খানকে সতর্ক করা হয়।

অন্যদিকে ছেলেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিতে এমপি শাজাহান খানকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কিন্তু সেটি অমান্য করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করে জয়ী হন তার ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান। তা সত্ত্বেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য ও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের দুই ভাই (মামাতো ও খালাতো) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন, যা কেন্দ্র ও এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দুজনের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খালাতো ভাই হারুনার রশিদ হীরাকে সমর্থন দিয়ে নেতাকর্মীদের তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেন আব্দুর রাজ্জাক। আর একজনকে সমর্থন করায় নির্বাচনে আরেক ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থিত প্রার্থী হারুনার রশিদ।

হবিগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যারিস্টার সুমন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান আহমেদের পক্ষে ভোট চাওয়া, অনুদান ঘোষণা এবং নগদ অর্থ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু তাহের। বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, টিউবওয়েল, ব্রিজ, কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এসব সভায় তার নিকটাত্মীয় রায়হান আহমেদকে নির্বাচিত করতে বলেন তিনি এবং রায়হান আহমেদের পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেন। ব্যারিস্টার সুমন উপজেলার চা শ্রমিকদেরও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তার করেন বলেও অভিযোগ আবু তাহেরের।

নিজের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চেয়ে ও প্রভাব বিস্তার করে বিতর্কিত হন ফরিদপুর-৪ আসনের আরেক আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন)। তার বিরুদ্ধে ইসিতেও একাধিক অভিযোগ আসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ থেকে। পরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়ে সতর্ক করে কমিশন।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলে আতাহার ইশরাক চৌধুরী সাবাব ওরফে সাবাব চৌধুরীকে প্রার্থী করে উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। যে এলাকায় কম ভোট দেওয়া হবে, সে এলাকায় কোনো উন্নয়ন হবে না বলে ছেলের পক্ষে সমাবেশে ঘোষণা দেন এই এমপি। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে আরও বিতর্কিত হন এই এমপি।

একই জেলার হাতিয়ায় নিজের স্ত্রী ও ছেলেকে প্রার্থী করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী। পরে স্ত্রী আয়েশা আলী নির্বাচন থেকে সরে গেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন ছেলে আশিক আলী।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলায় এমপি সাহাদারা মান্নান নিজের ভাই ও ছেলেকে প্রার্থী করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আলোড়ন তৈরি করেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দুজনেই নির্বাচনে জয়ী হন।

কুমিল্লার মুরাদনগরে ছেলে আহসানুল আলম কিশোর ও নাতি আল আমিন সরকারকে প্রার্থী করে সমালোচিত হন স্বতন্ত্র এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নির্বাচনে তার ছেলে জয়লাভ করেন।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিমকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভায় সরাসরি ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম। এমন একাধিক অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং স্থিরচিত্র সংযুক্ত করে নির্বাচন কমিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাফর আলম।

এ ছাড়া পাবনার বেড়ায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল বাতেন ও ভাতিজা আবুল কালাম সবুজ প্রার্থী হয়ে আলোচনার জন্ম দেন।

শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ ডি এম শহিদুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ঝিনাইগাতী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশ্বজিত রায়ের পক্ষে প্রচার চালিয়ে সমালোচিত হন।

চাঁদপুরের মতলব উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠে।

এক প্রার্থীর পক্ষে উপহার বিতরণ করে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ খান টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আর পিরোজপুরের নাজিরপুরে ভাই এস এম নূরে আলম শাহীনকে মাঠে নামিয়ে পিরোজপুর-১ আসনের এমপি শ ম রেজাউল করিম, খাগড়াছড়ির রামগড়ে জামাতা বিশ্ব প্রদীপ কার্বারিকে নামিয়ে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভাগনে সোয়েব আহমেদকে নামিয়ে এমপি শাহাব উদ্দিন এলাকায় আলোচিত হন। যদিও সোয়েব আহমেদ নির্বাচনে হেরে যান।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভাই মুনসুর বাবুকে প্রার্থী করে এমপি আলী আজগার টগর, নীলফামারীর ডিমলায় ভাই আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টুকে প্রার্থী করে এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার, লালমনিরহাটের কালিগঞ্জে ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদকে প্রার্থী করে স্থানীয় এমপি নুরুজ্জামান আহমেদ, জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভাই নজরুল ইসলামকে প্রার্থী করে এমপি নুর মোহাম্মদ, পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেলকে প্রার্থী করে এমপি মকবুল হোসেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদকে প্রার্থী করে এমপি অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ভাই তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিমকে প্রার্থী করে এমপি শিবলী সাদিক, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ছেলে সাদাত মান্নান অভিকে প্রার্থী করে সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান এলাকায় নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে স্থা্নীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়ে এলাকায় আধিপত্য তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। দলীয় এমপিদের পাশাপাশি নিজ বলয় তৈরি করতে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়স্বজনদের প্রার্থী করে মাঠ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ছিলেন তারাও। ফলে সাতজন স্বতন্ত্র এমপির স্বজনও নির্বাচনে বিজয়ী হন। নির্বাচনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে এসব এমপির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে বগুড়া-৩ আসনের খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধনের বাবা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আদমদীঘিতে, কুমিল্লা-২ আসনের অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনায়, কুমিল্লা-৪ আসনের আবুল কালাম আজাদের ভাই মামুনুর রশীদ মামুন দেবিদ্বারে, কুমিল্লা-৫ আসনের এমএ জাহেরের ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি ব্রাহ্মণপাড়ায়, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের ফয়সাল আহমেদ বিপ্লবের চাচা আনিছ-উজ জামান সদরে এবং নরসিংদী-৩ আসনের সিরাজুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী ফেরদৌসী ইসলাম শিবপুরে নির্বাচিত হয়েছেন। এই স্বতন্ত্র এমপিরা আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের পদেও রয়েছেন।

অন্যদিকে নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে পরবর্তী সময়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পান বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক। আর নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভুল স্বীকার করে নিষ্কৃতি পান ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগের হামলা ও ভাঙচুর

রয়টার্সের এক্সক্লুসিভ / চীনের সঙ্গে ভারতের পানিযুদ্ধের আশঙ্কা

হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে আদালতে তৌহিদ আফ্রিদি

ফোন নম্বর ছাড়াই মেসেজ-কল নিয়ে আসছে ইলন মাস্কের নতুন অ্যাপ

রোহিঙ্গাদের জন্য এর বেশি করার সুযোগ বাংলাদেশের নেই : ড. ইউনূস

মাঠ থেকে মুখবাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে আপস করব না : ফজলুর রহমান

কিউবা মিচেল-তপুদের দায়িত্বে ভ্যালেন্সিয়ার সহকারী কোচ

মা হচ্ছেন পরিণীতি চোপড়া, আসছে নতুন অতিথি

১৬ বছর আগে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১০

কলিজার টুকরা দিয়েও বাঁচানো গেল না স্বামীকে, মারা গেলেন নিজেও

১১

৬ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

১২

গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

ফজলুর রহমানের বাসার সামনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ, সেনা মোতায়েন

১৪

কথা রাখেনি প্রেমিকা, অভিমানে গলায় ছুরি চালালেন হাবিবুর 

১৫

তীর্থযাত্রী বহনকারী ট্রলিতে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ৮

১৬

বাংলাদেশ সফর ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে: ইসহাক দার

১৭

লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার

১৮

ক্ষমা চেয়ে আবেদন উমামা ফাতেমার

১৯

যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি লো ব্লাড প্রেশারে ভুগছেন

২০
X