ইমারত বিধিমালা বলতে এমন একটি আইন বা নিয়মাবলিকে বোঝায়, যা ভবন নির্মাণ, ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে মান ও নীতিমালা নির্ধারণ করে। এটি ভবন নির্মাণে ব্যবহারকারীদের জন্য আরামদায়ক, নিরাপত্তা, পরিবেশের ভারসাম্য এবং শহর পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ইমারত বিধিমালা তৈরির মূল উদ্দেশ্য হলো— ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি কমানো, সবুজায়ন, জলাভূমি সংরক্ষণ এবং যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, প্রতিবন্ধী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বন্ধুসুলভ নির্মাণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সঠিক স্থাপত্য ও জনমানুষের চাহিদা পূরণকল্পে অবদান রাখা। ইমারত বিধিমালায় নানাবিধ দিক অন্তর্ভুক্ত থাকে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ভবনের স্থাপত্য ও স্থাপত্য নকশার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য সব নকশা অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি, ভবনের উচ্চতা, পার্কিং সুবিধা, খোলা জায়গার পরিমাণ ইত্যাদি মানদণ্ড নির্ধারণ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ভূমিকম্প প্রতিরোধ ইত্যাদি পলিসিগত কাঠামো প্রস্তুত, সৌরশক্তি ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিবেশগত নীতি প্রস্তুত, ভবনের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে নির্মাণশিল্পে সরকার, বিভিন্ন পেশাজীবী ও জনসাধারণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ইমারত বিধিমালা সাধারণ জনগণের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকার বয়ে আনা প্রয়োজন। এ বিধিমালার ফলে নিরাপদ জীবনযাপন ও মজবুত ভবনে বসবাস নিশ্চিত হয়, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি শহরের সবুজায়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো গড়ে ওঠে, অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও উন্নত নাগরিক সেবার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
সম্প্রতি রাজউক ‘খসড়া ইমারত বিধিমালা ২০২৪’ জনসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত করেছে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। অনেক কিছুই তারা আগের বিধিমালা ২০০৮ থেকে বিয়োজন ও নতুন করে সংযোজন করেছে। তেমনি একটি বিধি হলো—‘অধ্যায় ২, বিধি ২৫ (নির্মাণকাজ স্থগিতকরণ ও অননুমোদিত কাঠামো ভাঙিয়া দেওয়া ইত্যাদি।’ এখানে কাঠামো ভেঙে দেওয়ার মতো ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা রাজউকের মতো একটি কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা একেবারেই অনুচিত, যারা ড্যাপের মতো বিতর্কিত একটি পলিসি বানিয়ে এরই মধ্যে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তা ছাড়া ভবন তৈরি হয় ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি কাঁচামালের সমন্বয়ে, যার বেশিরভাগই প্রাকৃতিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ, খনি থেকে উত্তোলন করতে হয়। এ সম্পদগুলো অনবায়নযোগ্য হওয়ায় যতদিন এর ব্যবহার হবে সেগুলো সম্পদের মধ্যে থাকবে। কিন্তু ভেঙে দিলে এ মহামূল্যবান অনবায়নযোগ্য সম্পদ আবর্জনায় পরিণত হবে এবং এতে করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধিত হবে। রাজউকের উচিত কোনো নির্মিত বা বিদ্যমান ভবনকে না ভেঙে বরং নতুন আর কোনো ভবন যেন নিয়মবহির্ভূতভাবে তৈরি না করতে পারে মানুষ, সেদিকে নজর দেওয়া। তৈরি হয়ে গেলে সেই সম্পদ ভেঙে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থেকে বরং ‘নির্মাণ পরিদর্শকদের’ আইনের আওতায় আনা ও ‘নির্মিত ভবনের মালিককে’ যে জরিমানা করা হবে, তার সমপরিমাণ জরিমানা ‘নির্মাণ পরিদর্শকদেরও’ করা, কারণ কোনো ভবনই রাতারাতি তৈরি হয়ে যায় না। পরিদর্শকরা তাদের দায়িত্ব পালন করলে একটি ভবনও নিয়মবহির্ভূত হতো না।
এই বিধিমালায় ‘অধ্যায় ২, বিধি ১৯। ইমারতের ব্যবহার-এর (৩) এ প্রস্তাবিত রয়েছে, ‘বসবাস বা ব্যবহার সনদপত্র ব্যতীত কোনো ভবনকে কোনো প্রকার ইউটিলিটি সার্ভিস প্রদান করা যাইবে না।’ আবার ‘বিধি ২৫ (৫)’ এ বলা হয়েছে, ‘যে সকল ইমারতকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে সেই সকল ইমারতে কোনোরূপ সেবা প্রদান না করার জন্য অথবা ইতোমধ্যে প্রদত্ত সেবা প্রত্যাহার করিবার জন্য কর্তৃপক্ষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করিবে।’ ‘বিদ্যমান অতি জরুরি সেবা প্রত্যাহার’-এর মতো জনহিতকর প্রস্তাবনা ইমারত বিধিমালায় আনার কারণে অনতিবিলম্বে রাজউককে রাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করত দ্রুততার সঙ্গে, এমন প্রস্তাবনাগুলো মুছে ফেলা উচিত বিধিমালা থেকে। অন্তত বিদ্যমান ভবনগুলোকে এর আওতার বাইরে রাখতে হবে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাস, টেলিফোন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষগুলো জড়িত রয়েছে, যাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রধানের মাধ্যমে ঢাকাবাসী এ সেবাগুলো পেয়ে থাকে। জরুরি সেবা প্রদান বন্ধ করে দিলে জনগণ তার মৌলিক অধিকার আদায়ের নিশ্চয়তা থেকে বঞ্চিত হবে এবং সরকার সেবা প্রদানের বিনিময়ে যে অর্থপ্রাপ্ত হতো, তা থেকে বঞ্চিত হবে।
বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ১৮,১০,৪১৯-এর মধ্যে ঢাকার বিদ্যমান আবাসিক ভবন কতগুলো আছে সেই হিসাব যদি বের করি এবং তাকে প্রদত্ত খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহারের সঙ্গে সমীকরণের মাধ্যমে আমরা বের করতে পারব ঢাকা শহরের বিদ্যমান ভবনগুলো থেকে শুধু বিদ্যুৎ বিক্রি করে সরকার কত টাকা অর্জন করে। ‘বিদ্যমান অতি জরুরি সেবা প্রত্যাহার’-এর মতো বিধিমালা প্রণয়ন করার ফলে এসব আয় থেকে ডিপিডিসি বঞ্চিত হবে এবং জনগণ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। রাজউকের প্রস্তাবিত বিধির জন্য ডিপিডিসি ও সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে পড়বে কি না, তা বিদ্যুৎ বিভাগের পলিসি মেকারদের ভেবে দেখা দরকার। যেখানে ৪০০ বছরেরও বেশি বয়সের ঢাকা শহরে এমনও ভবন রয়েছে, যেটা বানানোর সময় ভেঙে ফেলার মতো কোনো বিধিই ছিল না। তা ছাড়া বারবার রাজউক তার সীমানা বড় করার ফলে অনেক গ্রামও এখন ঢাকার ভেতর চলে এসেছে, যেখানে অনুমোদিত ভবন পাওয়া কষ্টকর। এটি হলো শুধু বিদ্যুতের হিসাব। একইভাবে গ্যাস, পানি, টেলিফোন, সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স ইত্যাদি সেবাগুলো নিয়ে যদি সূক্ষ্মভাবে আমরা গবেষণা করি, তাহলে বুঝতে পারব প্রস্তাবিত ইমারত বিধিমালা ঢাকার জনগণ ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরগুলোর জন্য কতটুকু সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি বয়ে আনবে। যদিও অসংখ্য ভুলে জর্জরিত, বিতর্কিত, বড়লোকের ড্যাপখ্যাত, ঢাকা মহানগরীর জন্য প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-৩৫’-এর ‘পরিকল্পনার ভিত’-এ বলা আছে, ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাতে একতলা ভবন ৮৪ শতাংশ, ৭৬ শতাংশ ভবন কাঁচা ও আধাকাঁচা এবং ১/৩ লোক বস্তিতে বসবাস করে। এই ভবনগুলোর কতগুলো রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত তা সহজেই অনুমেয়। তা ছাড়া অনেক স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন যারা দুই বা তিনতলা বাসায় থাকেন রাজউকের বিধিমালা তৈরির আগে থেকেই। গ্রামের যে অঞ্চলগুলো নতুন করে ঢাকার মানচিত্রে সংযুক্ত হলো সেই সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। প্রস্তাবিত বিধিমালার এই একটা বিধি রাষ্ট্রের এসব নাগরিকের জন্য অকল্যাণকর, সরকারের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর, যা কি না প্রতি বছর সরকারের ফিসক্যাল পলিসিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে এমন জনহিতকর বিধির জন্য নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের রেষারেষির জন্ম দেবে, যা অদূরভবিষ্যতে ব্যাপক আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ড্যাপে আরও বলা আছে, ৯০ শতাংশ টাকার মালিক ১০ শতাংশ লোক, ১০ শতাংশ টাকার মালিক ৯০ শতাংশ লোক। মনে হচ্ছে এই প্রস্তাবিত বিধিমালাটি ৯০ শতাংশ লোকের কথা ভুলে গিয়ে শুধু ১০ শতাংশ লোকের সুবিধার জন্য করা, যা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী একটি কাজ। বাংলাদেশের জাতীয় সংবিধানের ‘ভাগ ১, এর ৭। সংবিধানের প্রাধান্য’তে বলা আছে, ‘(১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে। (২) জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোনো আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’ সেই লক্ষ্যে ও জনকল্যাণে বিদ্যমান সব ভবনকে বিধিমালার এই প্রস্তাবের আওতার বাইরে রাখা রাজউকের জন্য এখন ফরজ। একইভাবে, সংবিধানের ‘দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’তে বলা আছে ‘১১। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার—প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ ‘দ্বিতীয় ভাগের ১৫। মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা’-এর (ক) তে আরও বলা আছে, ‘(ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।’ এরই প্রেক্ষাপটে বলা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় জনহিতকর সব প্রস্তাবনা খসড়া ইমারত বিধিমালা থেকে বাদ দিয়ে এটিকে জনবান্ধব এবং ঢাকা শহরকে পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে খসড়া ইমারত বিধিমালা পরিশুদ্ধ করে তবেই চূড়ান্ত করা দরকার। কারণ, পলিসির আন্তর্জাতিক সজ্ঞা হলো—‘সরকার যা করে তাই পলিসি এবং সরকার যা না করে তাও পলিসি।’ সুতরাং একজন পলিসি অ্যানালিস্ট, স্থপতি, পরিবেশবিদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপক পেশাজীবী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, জনগণের ক্ষতি না করে সরকার যা যা করবে, জনগণ তা খুশিমনে গ্রহণ করবে এবং বাস্তবায়নের জন্যও তা সহজ হবে। সরকারের উচিত এমন পলিসি বানানো, যা বাস্তবায়ন করা যায়, কারণ বাস্তবায়ন ছাড়া সব পলিসিই শুধু কাগজের বই, যা কি না কেজি দরে বিক্রি ছাড়া মূল্যহীন।
যদি ইমারত বিধিমালা জনবান্ধব না হয়, জনগণের ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া অবধারিত। এতে করে আইনত কিছু ব্যবস্থা জনগণ গ্রহণ করতে পারে, যেমন—গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং জনসভার মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ, উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) দায়ের করা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আইনের পুনর্মূল্যায়ন ও সংশোধনের আহ্বান, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ইত্যাদি। মোট ৭টি অধ্যায়, ৭১টি বিধি ও ৫টি পরিশিষ্ট এবং মোট ৯২ পাতার এই প্রস্তাবিত খসড়া ইমারত বিধিমালার মাত্র একটি অধ্যায়ের ২টি ‘১৯ (৩) ও ২৫ (৫)’ নং বিধি নিয়েই এত জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে, তাহলে পুরো বিধিমালায় যেসব প্রস্তাবনা রয়েছে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যথাযথ পলিসি অ্যানালিস্ট দিয়ে পর্যালোচনা করলে আরও অগণিত সমস্যা খুঁজে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন পেশাজীবী মহল থেকে বারবার রাজউককে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে ইমারত বিধিমালা পরিশুদ্ধ ও জনবান্ধব করার জন্য, যা বারবারই রাজউক এড়িয়ে যাচ্ছে। রাজউকের উচিত অনতিবিলম্বে ড্যাপ ও বিধিমালা থেকে বিতর্কিত সবকিছু বাদ দিয়ে একটি সর্বোপরি গ্রহণযোগ্য বিধিমালার প্রস্তাব করা। পেশাজীবীদের মতে, প্রস্তাবিত বিধিমালার সবচেয়ে ক্ষতিকর জিনিস হচ্ছে এর সেটব্যাক ও ফারের জন্য জনঘনত্ব ব্লকের হিসাব, যা জনস্বার্থে বাতিল করা দরকার বিধিমালা থেকে অনতিবিলম্বে।
লেখক: পলিসি এনালিস্ট, স্থপতি ও পরিবেশবিদ