

উদ্বোধনের কয়েক মাসের মধ্যেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘মওলানা ভাসানী সেতু’র সংযোগ সড়কে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্ত থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘লাল নিশান’ গেঁড়ে দিয়েছে এলজিইডি।
জানা যায়, এলজিইডির অধীনে দেশের সবচেয়ে বড় (১ হাজার ৪৯০ মিটার) এ সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় গত ২০ আগস্ট। সেতুটি খুলে দেওয়ার পর সংযোগ সড়কগুলোর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ থেকে মওলানা ভাসানী সেতু পর্যন্তু সড়কটি হয়ে উঠেছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
রংপুর, পীরগাছা, চৌধুরানী ও সুন্দরগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম, উলিপুর ও চিলমারীর হাজার হাজার মানুষ দিন-রাত চলাচল করছে এ সড়ক দিয়ে। তাছাড়া, তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুটির পাশাপাশি ওই এলাকার নৈসর্গিক পরিবেশ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের নর-নারীসহ হাজারো মানুষ।
বেপরোয়া গতিতে চলছে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও অটোরিকশা। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে প্রাণও গেছে দু-একজনের। তার ওপর বাদ সেধেছে সুন্দরগঞ্জ থেকে বেলকা বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের দুধারে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্ত। বেপরোয়া যান চলাচল ও বাতি না থাকায় ওই সব গর্ত বাড়িয়ে দিয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের পূর্ব ধার থেকে শুরু করে বেলকা বাজার পর্যন্ত এই ৮ কিলোমিটার সড়কের দুইধারে অন্তত ৩০টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটি আকারে বড় এবং কোনোটি ছোট। আকারে বড় গর্তগুলো সড়কের পার্শ্ব নির্দেশক ‘সাদা রেখা’ অতিক্রম করেছে প্রায় এক মিটারের বেশি। যদিও এর আগে বৃষ্টির পানি নামা বন্ধে মাটি দিয়ে ‘আইল’ বেঁধে দিয়েছিল এলজিইডি, কিন্তু সৃষ্ট গর্তের গভীরতায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, শনিবার গর্তের পাশে লাল নিশানগুলো গেঁড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যেভাবে ‘গাড়িঘোড়া’ দ্রুত বেগে ছুটছে তাতে কী ঘটবে এটা বলা মুশকিল। কারণ, মানুষ তো অসচেতন। দেখেন, কত জোরে চলছে গাড়িঘোড়া। লাল নিশানে গাড়ির গতি যে মানুষ কমাবে সেটা মনে হয় না। কাজেই দ্রুত এই সড়কের গর্তগুলো মেরামত করা দরকার।
সড়ক মেরামতের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী কালবেলাকে বলেন, মওলানা ভাসানী সেতুর সংযোগ সড়কে সৃষ্ট গর্তগুলো মেরামতের জন্য আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। তাই আপাতত যান চলাচলে সচেতনতার জন্য লাল নিশান দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত মেরামত করা হবে।
মন্তব্য করুন