বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শেবাচিমের লাখ লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী পানির দরে বিক্রি

শেবাচিমের বিক্রি করা পুরোনো ইলেকট্রিক সামগ্রী। ছবি : কালবেলা
শেবাচিমের বিক্রি করা পুরোনো ইলেকট্রিক সামগ্রী। ছবি : কালবেলা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ বছরের পুরোনো কয়েক লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি— পুরোনো হিসেবে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এসব মালামাল ভাঙারি হিসেবে মাত্র ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে পুরোনো জেনারেটর, বৈদ্যুতিক পাখাসহ বিভিন্ন মালামাল।

এদিকে, শুধু নামমাত্র মূল্যে বিক্রিই নয়, নিলামের মালামালের পরিসংখ্যান নিয়েও রয়েছে রহস্য। গণপূর্ত থেকে মালামালের ছাড়পত্র দিলেও উল্লেখ করা হয়নি নিলামকৃত মালামালের সংখ্যা। এমনকি সোমবার দুপুর থেকে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতেই সরানো হয় এসব মালামাল।

গণপূর্ত বিভাগের মেডিকেল উপ-বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ নভেম্বর হাসপাতালের পুরোনো ইলেকট্রিক সামগ্রী বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগে। ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকা দরে নিলাম পায় মেসার্স মাসুদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। গত ৭ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মালামাল বুঝে নেওয়ার চিঠি দেয় গণপূর্ত মেডিকেল ই-এম উপবিভাগ।

সোমবার কাউকে কিছু না জানিয়েই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ই-ইম উপবিভাগ থেকে গণহারে মালামাল ট্রাক লোড করেন নগরীর হাটখোলা এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী শাহীন।

এদিকে দরপত্র আহ্বান থেকে মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে নিলামের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ঠিকাদার অভিযোগ তুলেছেন, সম্পূর্ণ গুছ প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করে লাখ লাখ টাকা মূল্যের এসব মালামাল নামমাত্র নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার বিকেলে নিলামের মালামাল ট্রাকে লোড করেন হাটখোলার ভাঙারি ব্যবসায়ী শাহীন। তিনি দাবি করেন, সব মালামাল তিনি কিনেছেন। গণপূর্তের একটি ছাড়পত্র দেখালেও নিলামের মালামালের সংখ্যা উল্লেখ করা কোনো ছাড়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি।

এদিকে মালামাল বুঝে নেওয়ার সময় গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাকেও ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। এ সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিলামের মালামাল নেওয়ার বিষয়টি অবগত নন বলে দাবি করেন গণপূর্ত মেডিকেল ই-এম উপবিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুব।

তিনি বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবেই হয়েছে। তবে ঠিকাদার মালামাল বুঝে নিতে হলে অবশ্যই গণপূর্তের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা। এমনকি ছাড়পত্রে মালামালের সংখ্যাও উল্লেখ থাকতে হবে। এসব না দেখেই তার কার্যালয়ের গোডাউন থেকে কীভাবে মালামাল ট্রাকে তোলা হলো সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি এসও মাহাবুবের কাছ থেকে।

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম কালবেলাকে বলেন, টেন্ডার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। তবে মালামাল বুঝে নেওয়ার সময় গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বশীল কারোর উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলীয় প্রার্থীদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই: মাসুদ সাঈদী

মওলানা ভাসানী সেতু সড়কে ‘লাল নিশান’

চবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে মানববন্ধন

শেবাচিমের লাখ লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী পানির দরে বিক্রি

সৌদি আরবে দ্গ্ধ হয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

ইসলামী আন্দোলন ছেড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন মুফতি হাবিবুর রহমান

তসবিহ হাতে খুনিদের ফাঁসি চাইলেন ইমরানের মা

ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

চাঁদার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি

১০

সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধস

১১

কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি দমনে মাঠ ভিত্তিক ক্রীড়া পরিচালনার আহ্বান চসিক মেয়রের

১২

আইইএলটিএসে ৮০ হাজার প্রার্থীর ভুল ফলাফল, বাংলাদেশে প্রশ্নফাঁস

১৩

ধান ক্ষেত থেকে ভেসে আসছিল নবজাতকের কান্না

১৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস / পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

১৫

অভিযানে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দসহ আটক ১

১৬

রাত ১১টা হলেই বন্ধ থাকে গ্যাস সরবরাহ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

১৭

নিখোঁজের ৩৩ বছর পর বাড়ি ফেরা সেই মোবারক মারা গেছেন

১৮

বরিশালে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ফুয়াদ

১৯

সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

২০
X