তখন ২০০৮ সাল। আমি দায়িত্বে ছিলাম মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ কাতারে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) পরিচালনার। একদিন অফিস চলাকালে হঠাৎ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার দৌড়ে এসে খবর দিল মিনিস্ট্রির লোক এসেছে। আরবি আর ইংরেজি মিলিয়ে যা বলল, তার অর্থ আমাকে তাড়াতাড়ি তার সঙ্গে স্কুলের পেছনে যেতে হবে, যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক এসেছেন। তার কথামতো পেছনে গিয়ে দেখি, হিজাব পরা এক আরবি ভদ্রমহিলা তার নিজস্ব জিপ গাড়ির ব্যাকডালা খুলে ভাঁজ করা মই খুলছেন। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি সেই মই বেয়ে তিনি উঠে গেলেন একতলা টয়লেটের ছাদে। এরপর পানির রিজার্ভার (ট্যাঙ্ক) থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করলেন। একইভাবে অন্যান্য ট্যাঙ্ক থেকেও পানির নমুনা নিলেন ছোট ছোট বোতলে। একে একে সব টয়লেট এমনকি ঢাকনা খুলে বাইরে থাকা মাটির নিচের সেপটিক ট্যাঙ্কের অবস্থাও দেখলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনের সময় লিখে দিলেন। পান করার জন্য রাখা ফিল্টার করা পানি এবং হাত-মুখ ধোয়ার জন্য পানির নমুনা আলাদা আলাদা বাক্সে ভরলেন নিজস্ব পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য। বাচ্চাদের হাত-মুখ ধোয়ার পানি দিয়ে ওরা কুলি করে। অজু করার সময় আমরাও কুলি করি। সুতরাং সেই পানির প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে বললেন। কিছু কিছু বেসিন ছোট বাচ্চাদের উচ্চতা বিবেচনা করে আরও নিচে নামাতে বললেন। স্থানীয় ভদ্রমহিলার মিষ্টি ব্যবহার কিন্তু কড়া শাসনের স্মৃতি আজও মনে পড়ে।
একইভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজন এসে পরিদর্শন করতেন জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্রে সবকিছু ঠিক আছে কি না। নার্সদের সনদ প্রতি বছর শিশুদের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের পর হালনাগাদ করে টানিয়ে রাখতে হতো। ওষুধ, অক্সিজেন ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রীর মেয়াদ দেখে রাখতে হতো স্কুলের মেডিকেল সেন্টারে।
সবচেয়ে কঠিন ছিল ফায়ার লাইসেন্স হালনাগাদ রাখা। প্রতিটি ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি ও অফিসে ধোঁয়া ও আগুনের সূত্রপাত হওয়ামাত্র স্বয়ংক্রিয় সংকেত প্রদানের ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করত পরিদর্শক দল। আগুনের সূত্রপাত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছিটানো শুরু হতো। আগুন লাগলে দমকল বাহিনী আসার আগমুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের করণীয় বিষয়ে মহড়া করতে হতো। স্কুলের ক্যান্টিনেও আগুন জ্বালানো নিষেধ ছিল। ক্যান্টিনের খাবার স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে রান্না করে নিয়ে আসতে হতো। ভূমিকম্প হলে বা কোনো সন্ত্রাসী আক্রমণ হলে করণীয় বিষয়ে জানা ছিল সবার। অন্যদিকে ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত, লাইব্রেরি ও ল্যাবের মান, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা—এসব বিষয়ে কোনো ছাড় দিত না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন শাখা। শহরের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার লোকজন আসত ট্যালেন্ট হান্টিংয়ের জন্য।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুলের হৃদয়বিদারক ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ, প্রথমে কাতার ও পরবর্তীকালে সুলতানাত অব ওমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার সময় সরেজমিনে দেখা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ল।
বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চল ও শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। গ্রামে অনেক ক্ষেত্রেই স্কুল আছে, মাঠ আছে, কিন্তু ভালো শিক্ষক নেই। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ঠিক নেই গ্রামের বহু স্কুলে। লাইব্রেরি ও ল্যাব অনেক গ্রাম্য স্কুলে নামে আছে, কাজে নেই। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্য স্কুলের তালিকায় প্রমাণ করে সেসব স্কুলের শিক্ষার মান কোন পর্যায়ে। আবার গ্রামের অনেক স্কুলের অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যা দেখেও না দেখার ভান করছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে বিপরীত চিত্র দেখা যায় শহুরে এলাকায়। একটি আকর্ষণীয় বাড়ি ভাড়া নিয়ে এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়ির অংশবিশেষ বা একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়েও কেউ কেউ গড়ে তুলেছেন স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়। আর তথাকথিত শিক্ষা সেবার নামে দেদার ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা, অগ্নিকাণ্ড ও দুর্যোগ মোকাবিলা, জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয়, স্কুলের সামনে ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির ধার ধারে না কেউ। উদাহরণ হিসেবে হালের স্পর্শকাতর এলাকা দিয়াবাড়ি কিংবা উত্তরার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জরিপ পরিচালনা করলেই দেখা যাবে মূলত আবাসিক ভবনেই অধিকাংশ স্কুল-কলেজ গড়ে উঠেছে। এসব ভবনে নানা বয়সের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঢুকবে ও বের হবে, দীর্ঘ সময় থাকবে, খেলবে, নাচ-গান করবে, প্রকৃতিকে চিনবে, আকাশ দেখবে, প্রয়োজনে বাথরুমে যাবে এবং বিপদ-আপদে একাধিক বের হওয়ার রাস্তা (Exit) ব্যবহার করে জীবন বাঁচাবে, এমনটা ভেবে এসব ভবন নির্মিত হয়নি। তবে আবাসিক ভবনে এমন স্কুল-কলেজ স্থাপনের অনুমতি কে দিয়েছে এবং দুর্ঘটনা ঘটলে কে দায় নেবে—তার কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না উত্তরার এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এসব তথাকথিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানির মান কিংবা ওয়াশরুমের কথা তো বলাই বাহুল্য। ওয়াশরুমে যেতে ভয়, অনীহা ও ঘৃণার কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষত ছাত্রীরা সহজে পানি পান করতে চায় না এবং মল-মূত্রের বেগ জোর করে চেপে রাখে। এতে নানারকম রোগবালাই ভর করে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের শরীরে। স্কুলের সামনে এবং আশপাশের রাস্তায় থাকে লম্বা গাড়ির লাইন। ট্রাফিক বিভাগ সবই দেখে কিছুই করে না।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও মুখ বন্ধ। কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষকদের হাতেই আছে নাম্বার বা মার্ক নামের কন্ট্রোল প্যানেল। স্কুল বা শিক্ষকরা নিজ বিবেচনায় ক্লাসওয়ার্ক, হোমওয়ার্ক, অ্যাটেন্ডেনস, অ্যাসাইনমেন্ট, সেমিনার, প্রেজেন্টেশন, টার্ম পেপার, থিসিস পেপার, প্রাকটিক্যাল—এমন নানা ধরনের নম্বর দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কমই মানা হয়। যে কারণে ফলাফলের কথা চিন্তা করে কেউ টুঁ শব্দটি করেন না। একই কারণে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটে। ফলে সর্বস্তরে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি থাকে উপেক্ষিত। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে সবাই নড়েচড়ে বসে। তারপর সবাই আবার আগের সব ভুলে নতুন কোনো ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মোটা দাগে প্রায় সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ধ্যানে থাকে কোনোরকম শিক্ষাবর্ষ শেষ করে পরের ধাপে গমন এবং একটি সনদ অর্জনের প্রচেষ্টা। চাকরি লাভ বা বিদেশে বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বেশ কাজে দেয়। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলিত ও অনুচ্চারিত থেকে যায়।
সরকারের শুধু নিয়ন্ত্রণহীনতা নয়, যথাযথ পরিকল্পনার অভাবও চোখে পড়ার মতো। যখন উত্তরায় নতুন শহর গড়ার পরিকল্পনা করা হয়, তখন পঞ্চাশ-ষাট বছর পর এখানে কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পার্ক, মসজিদ, বাজার, কবরস্থান, মিলনায়তন প্রভৃতি প্রয়োজন হবে, তা ভাবার মতো দূরদর্শিতা থাকা উচিত ছিল নগর পরিকল্পনাবিদ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলের। তাহলেই আজ বাসাবাড়িতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা মার্কেট গড়ে উঠত না। ১৫-২০ বছর ধরে পূর্বাচলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে প্লট নিয়ে রেখেছেন অনেকেই, কিন্তু কোনো কিছু নির্মাণ করেননি। এসব বরাদ্দ বাতিল করার সময় এসেছে। পূর্বাচলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই বলে বাড়িঘর হচ্ছে না, আবার বাড়িঘর তথা ছাত্রছাত্রী নেই বলে স্কুল-কলেজ হচ্ছে না। কী তামাশা! অথচ পূর্বাচলে স্কুল-কলেজ গড়ে প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ বছরের জন্য শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার যানবাহনের ব্যবস্থা করলেই উত্তরাসহ আশপাশের বহু এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। আর শিশুরা পাবে একটি নিরাপদ এবং আদর্শ শিক্ষাঙ্গন। সেনাবাহিনী তাদের জলসিঁড়ি আবাসন এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করে এবং যানবাহনের ব্যবস্থা করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দপ্রাপ্তদের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।
অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কী হবে—এমন প্রশ্ন অনিয়মকে নিয়মে পরিণত হতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধাভোগকারী সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের ব্যানারে একদল প্রস্তুত হয়ে থাকে রাস্তায় নামার জন্য। এমন একটি সমস্যার সমাধানও দেখেছিলাম মধ্যপ্রাচ্যে। একবার স্কুলে আসার বাসে শেষ আসনে ঘুমিয়ে পড়েছিল একটি শিশু শিক্ষার্থী। বাসের স্টাফ স্কুলের পার্কিং এলাকায় থেমে বাচ্চাদের নামিয়ে দেয় এবং বাসের দরজা লক করে বিশ্রাম এলাকায় চলে যায়। পেছনের সিটে যে বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়েছে, তা কেউ চেক করেনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্কুল থেকে নিয়ম মোতাবেক এসএমএস করে সংশ্লিষ্ট অভিভাবককে জানানো হয় যে, তার সন্তান অনুপস্থিত। ঘুমিয়ে পড়া বাচ্চার অভিভাবক এসএমএস পেয়েই ওই স্কুলে ছুটে আসেন। প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও কোনো কূল-কিনারা পাওয়া গেল না। সবশেষে পুলিশ এসে সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারে, বাচ্চাটি হয়তো বাস থেকে নামেনি। এরপর বাসের দরজা খোলা হলে বাচ্চাটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মধ্যপ্রাচ্যের প্রচণ্ড গরমে দরজা-জানালা বন্ধ বাসে দম বন্ধ হয়ে বাচ্চাটি মারা যায় বলে ধারণা করা হয়।
এ ঘটনার দিনই সরকার স্কুলটির লাইসেন্স বাতিল করে এবং স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীকে অন্য যে কোনো স্কুলে যাওয়ামাত্র ভর্তির আদেশ জারি করে। ফলে শহরে সব স্কুল বাধ্য হয় এই বন্ধ স্কুলের বাচ্চাদের তাৎক্ষণিক ভর্তি করতে। এ ঘটনার পর সব স্কুলের টনক নড়ে এবং বাচ্চাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সবাই সতর্ক হয়ে যায়।
আরেকটি বিষয় নিয়ে সম্প্রতি কথা উঠেছে। দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্কুল-কলেজে এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফলের পর ঢোল-তবলা বাজিয়ে উৎসব হয়। অথচ টেস্ট পরীক্ষায় ভালো না করায় এসব স্কুলের বহু শিক্ষার্থীর জীবন থেকে একটি বছর কেড়ে নেওয়া হয় অথবা অন্য স্কুল-কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। একটি স্কুলে বছরের পর বছর পড়াশোনা করে টেস্ট পরীক্ষায় ভালো ফল না করার দায় শুধু ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবকের ওপর চাপিয়ে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সংস্কৃতি বন্ধ করার জোর দাবি উত্থাপিত হয়েছে। তথাকথিত ভালো ভালো স্কুলে জন্মগতভাবে মেধাবীরাই প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। তাদের বাবা-মাও সন্তানের চেয়ে বেশি খাটুনি খাটেন অনেক ক্ষেত্রে। অতএব টেস্ট পরীক্ষার নামে কাউকে মূল পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি লটারির মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা থাকত এবং টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও প্রয়োজনে শর্তসাপেক্ষে (যেমন অতিরিক্ত ক্লাস করা) পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকত, তবেই স্কুল ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার বিষয়টি আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেত। এসব স্কুলের ফলাফলের বিষয়টি সবাই গর্ব করে বলেন। কিন্তু শিক্ষকদের হাতে নম্বর থাকায় এবং টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত থাকায় স্কুলের নিরাপত্তা ও ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয় নিয়ে অভিভাবকরা থাকেন নিশ্চুপ।
একদিকে যখন কতিপয় শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর নামে রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন, ঠিক তখন আরেক দল স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কতটা আন্তরিক হতে পারেন, সেই উদাহরণও আমরা দেখেছি দিয়াবাড়ি ট্র্যাজেডির সময়। স্কুলের দুজন শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগম জীবন বিসর্জন দিয়ে বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করে গেছেন। এমন আদর্শই আমাদের আশাবাদী করে তোলে।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর, গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট
ইমেইল: [email protected]
মন্তব্য করুন