

[দশম পর্ব]
৫ আগস্ট সেনাপ্রধানের ডাকে সব দলের নেতারা কীভাবে পরিস্থিতি নির্বাচনমুখী করা যায়—তার নীতিকৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ এর অনতিদূরেই বিশাল ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অপেক্ষমাণ ছিলেন ‘নয়া রাষ্ট্র ও সমাজ কাঠামোর’ রূপরেখা দেওয়া, শহীদ মিনারে শপথ গ্রহণসহ আনুষঙ্গিক বিপ্লবী কাজগুলো শুরুর অপেক্ষায়। সেনাপ্রধান মাত্র একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের নামই নিচ্ছিলেন—তার দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে। ভাবখানা এমন যে, ওই অধ্যাপকই পুরো রক্তাক্ত আন্দোলন সংগ্রামের মুখপাত্র। কোনো দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অথবা কেউই অপেক্ষমাণ ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের অপেক্ষমাণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ এবং সামান্য কৃতজ্ঞতা পর্যন্ত দেখালেন না। ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত বলে বিপ্লবকে আঁতুড়ঘরেই মেরে ফেলা হলো।
ফের অর্থাৎ, ১৯৭১-এর পর আবারও হত্যা করা হলো একটি বিপ্লবকে। বহু কথা, বহু নাম পরিস্থিতির কারণে লেখা না গেলেও ইতিহাস এর চরিত্র ও গতিধারায় একদিন সব প্রকাশিত হবে। আর দায়ীরাও চিহ্নিত হবেন।
যাই হোক, তখন সর্ববৃহৎ দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দিলেন, ‘এই আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ ৭ আগস্ট বিএনপি নয়াপল্টনের সমাবেশে ঘোষণা দিল, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।’ সব অঙ্ক মিলে যায়; যেতে বাধ্য—কেন তারা বিপ্লবের সম্ভাবনাকে নাকচ করেছেন?
রক্তাক্ত সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা বুঝতে পারলেন যে, এই রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর ভরসা রাখা যায় না। তারা খুঁজতে থাকলেন নতুন নেতৃত্ব। তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্ধারণ করলেন। তারা অনেক কিছু আশা করেছিলেন তার কাছ থেকে। এ কথা বুঝতে বা বলতে দ্বিধা নেই যে, ড. ইউনূস রক্তাক্ত আন্দোলন সংগ্রামকালে পুরোটা সময় দেশে ছিলেন না। ছিলেন ফ্রান্সে। সুতরাং এটা স্বীকার করতেই হবে, যে ব্যক্তি বা যারা স্বপ্নেরও অতীত, অশ্রুতপূর্ব এমন ভয়াবহ রক্তাক্ত আন্দোলন, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, অকাতরে জীবনদানের ঘটনায় সরাসরি বা কোনোভাবেই যুক্ত থাকা অথবা কাছাকাছি ও স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেননি এবং দেশের থেকে বহুদূরে যেখানে বাংলাদেশের সংবাদ খুবই যেনতেনভাবে সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে—তিনি বা তারা বাস্তব পরিস্থিতি, ভয়াবহতার মাত্রা ও প্রেক্ষাপট বুঝতে পারবেন না। দৃশ্যমান এবং না দেখার যে ফারাক, ড. ইউনূসও পারেননি। যুদ্ধের সেনাপতির অনুপস্থিতিতে ‘যুদ্ধ কেমন হয়েছে’ জিজ্ঞাসা করার মতো অবস্থা হয়েছে ড. ইউনূসের। বিপ্লবে অংশ নেওয়া এক বিষয় আর অনুপস্থিত থাকা অন্য বিষয়। তিনি ফরাসি দেশের কাগজে আবু সাঈদের ছবি দেখেছেন। তিনি মনস্তাত্ত্বিকভাবে এর বেশি বা আন্দোলন-সংগ্রামের ভয়াবহতাকে উপলব্ধি করতে পারবেন না—এটাই বাস্তবতা।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, নেতা কে এই আন্দোলনে? তাদের জানা উচিত, ফরাসি বিপ্লবের একক কোনো নেতা ছিলেন না। বহু নেতা নিজ নিজ স্থানে থেকে তার নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিপ্লব সবসময় এককেন্দ্রিক হবে, তা নয়। বিকেন্দ্রায়িত বিপ্লব বা decentralised Revolution-এর ঘটনাও ঘটেছে বিশ্বের বহু দেশে। ইরান বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি ছিলেন ফ্রান্সে নির্বাসনে। কিন্তু বিপ্লব হয়েছে—হোক না তা ইসলামী বিপ্লব। কিন্তু সফল বিপ্লব তো। তবে, খোমেনি সবসময় বিপ্লবের সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের নেতৃত্ব ছিল তার হাতেই। ড. ইউনূস কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেন না। কাজেই তিনি বাস্তবতা নয়, কাল্পনিক-ভাবনা ভাবতে পারবেন মাত্র।
অনেকে এ রক্তাক্ত আন্দোলন-সংগ্রামকে বিপ্লব হিসেবেই গণ্য করতে অনিচ্ছুক। কয়েকজন টকশোজীবীর বক্তব্যে মনে হয়, এটা ৯০ বা তার চেয়েও তুচ্ছ একটি ঘটনা।
আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে বোঝাপড়া অর্থাৎ, ‘রাষ্ট্র ও সমাজ কাঠামো বদলের জন্য’ বিশাল অংশের জনগণের সরাসরি বা মনস্তাত্ত্বিক অংশগ্রহণ ছিল কি না? অন্তত চেষ্টাটা ছিল কি না? আর জনগণ এ সংগ্রাম-আন্দোলনকে অনুমোদন বা বৈধতা দিয়েছে কি না? সব জবাবই তাদের কাছে নেতিবাচক। তাহলে বলতেই হবে, একটি মাত্র নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজ কাঠামো বদল করা যায় না। আর একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ‘সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য বিধেয় কী? ছাত্র-জনতা চেয়েছে ‘রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার বদল বা পরিবর্তন’। তারা তো সংস্কার চায়নি! সংস্কারের নামে পুরোনো দালানে রং করানো অথবা ভাঙা চেয়ারের নতুন ‘পায়া’ নির্মাণের মাধ্যমে কিছু সংস্কার নতুন দালান তৈরি বা নতুন চেয়ার কেনা নয়। অন্তত সামান্য বোধ-বুদ্ধিওয়ালা মানুষও এসব বোঝে। মানুষ এও বোঝে যে, ‘কূটকৌশলটি’ কী এবং কেন?
ড. ইউনূস বা তার উপদেষ্টারা বা বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামোর নীতিনির্ধারক তারা নতুন দালান বা নতুন চেয়ার চান না। এর নাম বিপ্লবভীতি। আর এটাই হচ্ছে উত্তর-ঔপনিবেশিকতার অর্থাৎ, মানসিকভাবে উপনিবেশবাদে আক্রান্ত রোগীদের মনোবৈকল্য। অধ্যাপক এবং গবেষক আব্দুল হাবিব চৌধুরী এক সাক্ষাৎকারে সংস্কার সম্পর্কে বলেন, ‘এই যে ১১টি কমিশন হয়েছে, সেগুলো কীসের ভিত্তিতে হয়েছে, সেটা আমরা জানি না। সরকার কোন উদ্দেশ্য সামনে রেখে এবং কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংস্কার চাইছে, সেটাও পরিষ্কার নয়। কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে জনস্বার্থ কতটা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নও করা যেতে পারে। ...রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির মধ্যে থাকতে হয়। [প্রথম আলো, ২৪ আগস্ট, ২০২৪]
এ সংস্কারের জন্য দেশি নয়, বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞও ভাড়া করতে হয়! পুরো রাষ্ট্র ও সমাজকে এখন ‘সংস্কারের গোলকধাঁধায়’ ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতাকে এখন জুলাই ঘোষণা ও সনদের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। যদি ২০২৪ সালের আন্দোলন-সংগ্রামের পরেই ছাত্র-জনতা এককভাবে ‘জুলাই ঘোষণা’ বা ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করে দিতেন, তাহলে পরিস্থিতি পরিপূর্ণভাবে ভিন্ন হতে পারত। সর্বস্তরের সমর্থনপুষ্ট এবং অনুমোদনই আইন। আর আইনি বৈধতার প্রশ্নটিও উঠত না।
রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন করতে হলে সংবিধানকে হয় পুরো বাতিল বা খোলনলচে পরিবর্তন করে বিপ্লবী সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন সংবিধানও ‘চুনকাম’ করে সংস্কার করা হচ্ছে। এখানে প্রশ্ন করা জরুরি যে, সামরিক শাসনের পর সংবিধান স্থগিত করা হয় এবং ব্যাপক কাটছাঁট করে পরিবর্তন করা হয়। আর আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাকে বৈধতা দেয়। তাহলে ফ্যাসিস্টকে বিদায় জানানোর রক্তাক্ত আন্দোলন কি সামরিক শাসনের চেয়েও খারাপ।
ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে প্রশ্ন—রাজনৈতিক নেতৃত্ব সামরিক শাসনকে বা অলিগার্কিকে বেশি পছন্দ করে। রাষ্ট্র কি ডিপ স্টেট (Deep State)-এর খপ্পরে পড়েছে। ডিপ স্টেট হলো, একটি অননুমোদিত গোপন দেশি-বিদেশি সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক, যা রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে থেকে কার্যক্রম চালায় এবং নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। আর অলিগার্কির বা মুষ্টিমেয়তন্ত্র হলো উপরিতলার কিছু ব্যক্তি, সামরিক-বেসামরিক আমলাসহ লাভবান গোষ্ঠী। এখানেই ডিপ স্টেট আর অলিগার্কির পার্থক্য।
ড. ইউনূস পুরোনো সংবিধান মেনে রাষ্ট্রপতির কাছে উপদেষ্টাদের নিয়ে শপথ নিলেন। বিপ্লবকে দ্বিতীয়বার আঘাত করা হলো এর মাধ্যমে। ছাত্র-জনতা এবং সুবিশাল জনগোষ্ঠী পুরোনো ছকেই বৃত্তবন্দি হলো। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বস্তরের জনগণের বিশাল দূরত্ব তৈরি হলো। অন্তর্বর্তী সরকারটি আর সর্বস্তরের মানুষের সরকার থাকল না। পরবর্তীকালের কার্যক্রমে এ বিষয়গুলো স্পষ্ট হবে। দেশকে ফের ঔপনিবেশিক ধারা অর্থাৎ, ওভার নেভালপট স্টেট বা শুধু শাসক বদলের রাষ্ট্রকাঠামোয় রূপান্তরিত করা হলো। রাষ্ট্র একই থাকল। অন্যান্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে এ সরকারের কোনো গুণগত পার্থক্য পাওয়া গেল না। শুধু যে পার্থক্য তা হলো, এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।
দেশকে নির্বাচনমুখী করে ফেলা হলো সুকৌশলে অর্থাৎ, অন্যান্য সময়ে যেভাবে বিপ্লবকে হত্যা বা ব্যর্থ করা হয়। এবারও তার সঙ্গে কোনো পার্থক্য থাকল না।
ফ্যাসিস্ট বিদায়ের মাত্র দুদিন পর, ৭ আগস্ট ২০২৪ নয়াপল্টনে এক সমাবেশে অর্থাৎ, রক্তাক্ত আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের ঠিক দুদিন পরেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিসেম্বর ২০২৪-এর মধ্যেই সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
২০২৫-এর ২৮ মে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্যে ‘ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে’র দাবি জানান।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন (সংসদ) হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস ৫ আগস্ট ২০২৫ ঘোষণা করেন, ‘২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হবে।
তবে রাজনৈতিক পণ্ডিত এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘শুধু নির্বাচনই অবাধ ও সত্যিকারের গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের গ্যারান্টি নয়।’ প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক, তাত্ত্বিক যিনি সিএনএন, টাইম ম্যাগাজিন, নিউজ উইকসহ বিখ্যাত সব সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন, তিনি তার বিখ্যাত বই, (যা প্রথমে প্রভাবশালী জার্নাল ফরেন অ্যাফেয়ার্সে ছাপা হয়) The rise of illeberal democracy বা ‘অনুদার গণতন্ত্রের উত্থান’-এ কথা বলেন যে, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সাংবিধানিক উদারনীতির অভাব, অর্থ বিত্তশালী গোষ্ঠীর ব্যক্তি এবং অন্যান্য অধিকার প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার প্রাপ্তি, আইনের শাসনের প্রবল অনুপস্থিতি, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা, বৃহত্তর জনগণের অধিকারকে অস্বীকার—কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা এবং দুর্নীতিগ্রস্ততা রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা, অযোগ্যতা এবং অনুদার মনোভাবের কারণে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির জন্ম দেয়।’
জাকারিয়া মনে করেন, শুধু নির্বাচনই গণতন্ত্রের একমাত্র শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে ওইসব বাধা দূর করা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ‘তৃতীয় তরঙ্গ’ উদার ঐতিহ্যের অভাবযুক্ত দেশগুলোতে নির্বাচনের বিস্তার ঘটায় বা অনুষ্ঠান হয় ঠিকই; কিন্তু সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বাধীনতার অপরিহার্য কাঠামো, মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন এবং ক্ষমতার সাংবিধানিক সীমারেখাকে বিদ্যমানতা থাকে অনুপস্থিত। তিনি মনে করেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের অনেক শর্তের মধ্যে একটি অর্থাৎ, বাকি সব শর্ত বাস্তবায়ন করা না হলে গণতন্ত্র সুসংগঠিত হবে না। ‘আমরা বনাম তারা’ এ মানসিকতাও গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। {Fareed Zakaria; Foreign Affairs, Nov-Dec, 1997]
অন্য এক রাজনীতিবিজ্ঞানী ল্যারি ডায়মন্ড মনে করেন, ‘গণতন্ত্র যেসব দেশে অনুপস্থিত বা অগভীর—সেখানে সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভাঙনের মুখে দাঁড় করানো হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা যদি বিস্তৃতভাবে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকে এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষমতাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সামাল না দিলে সেই গণতন্ত্র নিরাপদ হতে পারে না।’ [Lary Diamond; The end of the third wave and global future of Democracy; American Political science association, New York, USA, September-4, 1994, Page-11] (চলবে)
লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক
মন্তব্য করুন