মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১০:৪৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাজেট বাস্তবায়নের প্রতি জোর দিতে হবে

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বাজেট হলো সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে প্রণীত একটি রাজনৈতিক দলিল, যেখানে পরবর্তী অর্থবছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের অনুমিত হিসাব লিপিবদ্ধ হয়। প্রতিবছর বাজেট প্রণয়ন একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও বটে। সংবিধানের ৮৭(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘প্রত্যেক অর্থবছর সম্পর্কে উক্ত বছরের জন্য সরকারের অনুমিত আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত একটি বিবৃতি (বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি) সংসদে উপস্থাপিত হইবে।’ এই বার্ষিক আর্থিক বিবৃতিই হলো বাজেট। সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদে নির্দেশ রয়েছে, ‘সংসদের কোনো আইনের দ্বারা বা কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাইবে না।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাজেটের আর্থিক বরাদ্দের বিষয়টি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে নির্ধারণ করে, আর শুল্ককর নির্ধারণ-সংক্রান্ত কাজটি সম্পাদন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গত ১ জুন জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এটি বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। এ বাজেট বাস্তবায়নকালেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনী বাজেট বিধায় বাজেট প্রণয়ন ও ঘোষণার আগেই সবার মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা ও কৌতূহল লক্ষ করা গেছে। অর্থনীতিবিদ, সুশীল বোদ্ধা ও জনগণের পরামর্শ এবং প্রত্যাশাও ছিল অনেক।

এবারের বাজেট এমন এক সময় প্রণীত হয়েছে যখন নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও সমস্যায় বিশ্ব অর্থনীতি জর্জরিত। দুবছরব্যাপী করোনাভাইরাসের উপস্থিতির পর বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ধাবিত করেছে। আমেরিকা, ইউরোপসহ সারা বিশ্বে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে তা গত ৪০ বছরেও দেখা যায়নি।

ঊর্ধ্বমুখী আন্তর্জাতিক বাজার, জ্বালানি তেলের স্বল্পতা, বিভিন্ন দ্রব্যের সরবরাহ চেইনে বিপর্যয়, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল রাখা, সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি করে সরকারের কোষাগার সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগত বাজেটের ভূমিকা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছেন।

এবার এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা (৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা) চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের রাজস্ব আদায়ের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে। বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কম হওয়ার সম্ভাবনা। সে হিসাবে প্রকৃত আদায়ের চেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হতে পারে। এত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না বলে অনেকের ধারণা। বিগত ১০ বছরের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনায় দেখা যায় স্বাভাবিকভাবে কোনো বছরই রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ১৬ শতাংশের বেশি হয়নি। বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্ব সংগ্রহ প্রবৃদ্ধি ১০ থেকে ১২ শতাংশের ওপরে আশা করা যায় না। রাজস্ব সংগ্রহ আশানুরূপ না হলে বাজেটে ঘাটতি আরও বেড়ে যাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর ফলে জনমনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু কর আদায় বাড়াতে এবার করমুক্ত আয়সীমার মধ্যে অবস্থানকারী ব্যক্তিকেও রিটার্ন জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহের জন্য ২ হাজার টাকা কর ধার্য করা হয়েছে। রশিদ না দেখালে প্রায় ৪০ ধরনের প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এরূপ কর ধার্যকরণ করমুক্ত আয়সীমার নীতির সঙ্গে পরস্পরবিরোধী।

ধনীদের সম্পদের ওপর সারচার্জ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে ৩ কোটি টাকার ওপরে পরিসম্পদ থাকলে সারচার্জ দিতে হতো। এবার এ সীমা বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের লোকদের ২ হাজার টাকা কর ধার্যকরণ ও বিত্তশালীদের সারচার্জ মওকুফ আয় বৈষম্য আরও বাড়াবে বলে অনেকে মনে করছেন। আগামী অর্থবছরে ১৩ ধরনের জ্বালানি পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৫ থেকে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূসক ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে প্রতি লিটার ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ করা হবে। ফলে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো যাবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পাশাপাশি ডব্লিওটিওর বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতি রক্ষার জন্য কিছু পণ্যের ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ করা হবে। সেজন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩৪টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক (এসডি) এবং ১৯১টি পণ্যের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কিংবা শিল্প উৎপাদনের ওপর খুব একটা বাড়তি কর চাপানো হয়নি বলে বাজেটকে অনেকটা ব্যবসাবান্ধব বলা যায়। দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, সম্প্রসারণমূলক বাজেটের অর্থ জোগান তথা বাজেট ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে এনবিআর রাজস্ব অবশ্যই বাড়াতে হবে। তবে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়ানোর চেয়েও করের আওতা বৃদ্ধি এবং কর ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অধিক ফলপ্রসূ হবে। সে লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রশাসনিক সংস্কার তথা জনবল ও কর অফিস সম্প্রসারণ জরুরি ভিত্তিতে সম্পাদন করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, ১৯৯১-৯২, ২০০১-০২ এবং ২০১১-১২ সালে প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নের পর রাজস্ব সংগ্রহে বড় রকমের উল্লম্ফন লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া মূসক আদায়ের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন স্থাপন এবং কর আহরণ ব্যবস্থার অটোমেশন জরুরি। এসব কাজ সম্পন্ন করা গেলে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা করা হচ্ছে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় তা করা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপন্থা বাজেট বক্তব্যে নির্দেশ করা হয়নি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানি পণ্যের শুল্কে কোনো ছাড় দেখা যাচ্ছে না। তা ছাড়া বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংক কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপানোর মাধ্যমে যদি ঋণ নেওয়া হয়, তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে। ব্যাংক ঋণ প্রদানের সুদের হার ৯ শতাংশ সীমা উঠিয়ে দেখার বিষয়টি এখনো কার্যকর হয়নি বিধায় মূল্যস্ফীতিরোধে মুদ্রা সংকোচন নীতিও গ্রহণ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি মূল্য দেশে আনার বিষয়ে বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা দেখা যাচ্ছে না।

বাজেট বাস্তবায়িত হলে সরকারি ব্যয় বাড়বে। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ জিডিপির ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা (যা বর্তমানে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ) কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তার দিকনির্দেশনা অনুপস্থিত। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণখেলাপিরা বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নিয়েছে—এতে কোনো সন্দেহ নেই। সার্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে নতুন বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত ভোগচাহিদা সৃষ্টি করা দুরূহ হবে। চলতি বছর মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ৫০ শতাংশ কমেছে। কাঁচামালের আমদানিও কমেছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ জ্বালানি সংকটে শিল্প খাতের উৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার আশু উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। খেলাপি ঋণ কমানো কিংবা বিদেশে পাচারকৃত অর্থ চিহ্নিতকরণ ও ফেরত আনার ব্যাপারে বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

বাজেট বাস্তবায়ন করে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্য অনুযায়ী আগামী বছরের জিডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের অবস্থা ভালো নয়। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে উন্নয়ন বাজেটের ৬০ শতাংশও বাস্তবায়িত হয়নি। রাজস্ব বাজেট বাস্তবায়ন, রাজস্ব সংগ্রহ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি প্রভৃতিও আশানুরূপ নয়। এ পরিস্থিতিতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির দিকে জোর না দিয়ে অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি তেল ও কয়লা সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, শিল্প ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি। সাধারণত নির্বাচনী বছরের বাজেটে জনতুষ্টির অনেক কর্মসূচি থাকে, কম গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ, কিংবা রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে টাকা দেওয়ার জন্য থোক বরাদ্দ থাকে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করার জন্য থাকে নানা শুল্ক কর ছাড়। কিন্তু এবারের বাজেটে তেমন কিছু নেই বললেই চলে। সে বিবেচনায় এ বাজেট প্রণয়ন প্রশংসাযোগ্য। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ এবং সংসদের বাইরে নানা আলোচনা হবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে কিছু জায়গায় কাটছাঁট করে বাজেটটি বাস্তবায়নযোগ্য করে পাস করা হবে—এটাই প্রত্যাশা। সর্বোপরি অর্থবছরের প্রথম মাস থেকেই বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নের দিকে লক্ষ রাখতে হবে, যাতে বছর শেষে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যায়।

লেখক: সাবেক সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্টদূত

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্টার্ককে নিয়ে ভারত সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

অকাল বার্ধক্য ডেকে আনছে আপনার প্রতিদিনের যে ২ খাবার

প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ও দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে যা বললেন তারেক রহমান

পৌনে ৩ ঘণ্টা পর সিলেট থেকে ট্রেন চলাচল শুরু

দেশে ফিরে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত নেতা তাহের

সহকর্মীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহার করলে হতে পারে যেসব ক্ষতি

বরাদ্দের চাল ‘জোরপূর্বক’ নিয়ে গেল নারী ইউপি সদস্য

অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক : তারেক রহমান

বিশ্বকাপের ম্যাচে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

১০

ভ্যানের ওপর গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১১

সড়ক দুর্ঘটনার শিকার বিজয় দেবেরাকোন্ডা

১২

‘ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে দেশের মানুষের বিরাগভাজন হলে আমাদের কিছু করার নাই'

১৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় আ.লীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার

১৪

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেও থেমে নেই ইসরায়েলি হামলা

১৫

বোর্ডসভায় শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন নিয়ম চালু করলেন নবনির্বাচিত সভাপতি

১৬

নতুন দুই দিবস চালু সরকারের, একটি আজ

১৭

মুক্তির অপেক্ষায় দেবের ‘প্রজাপতি ২’

১৮

কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে সতর্ক থাকুন

১৯

মাঠে নামছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, জেনে নিন কবে কখন ম্যাচ

২০
X