বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ এএম
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন স্যাম মানেকশ!

পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন স্যাম মানেকশ!

এক বিস্ময়কর ঘটনা! ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান স্যাম হরমুজজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। আর এই সিদ্ধান্তের কারণ ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নাজুক পরিস্থিতিতে ভারতীয় মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে অবস্থানগত মতপার্থক্য। সেদিন এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছিলেন ‘শ্যাম বাহাদুর’খ্যাত এ বরেণ্য চৌকস সমরবিশারদ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ গোটা মন্ত্রিপরিষদ একদিকে আর ‘শ্যাম বাহাদুর’ একা ছিলেন একদিকে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৩৭ বছর পর ২০০৮ সালের ২৭ জুন ৯৮ বছর বয়সে মৃত্যুর পূর্বাবধি অবসরজীবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে বক্তৃতায় ও সাক্ষাৎকারে মানেকশ নিজে সেই ঘটনার মুখরোচক বর্ণনা দিয়েছেন। অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় তিনি বলেছেন, তারিখটি ছিল ২৮ এপ্রিল ১৯৭১, সময় সকাল সাড়ে ১০টা। সেদিন অনুষ্ঠিত ভারতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সে দেশের সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে মানেকশকে তলব করা হয়। জাঁদরেল সব মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাগত ও অভিযোগের সুরে তার সেনাবাহিনী প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে বহু শরণার্থী ভারতের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে ঢুকে পড়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাকে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও একই কাজ করেছেন আর আসামের মুখ্যমন্ত্রী লিখে জানিয়েছেন যে, তাদের নিজেদের জনসংখ্যার চেয়ে সেখানে বাঙালিদের সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছে। তিনি মানেকশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনি কী করছেন?’ মানেকশ উত্তর দিলেন, ‘কিছু না, এ নিয়ে আমার কিছুই করার নেই।’ তখন সেনাবাহিনী প্রধানের উদ্দেশে ইন্দিরা গান্ধী তার ইচ্ছা ব্যক্ত করে তাকে পূর্ব পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন, যার অর্থ ‘যুদ্ধ করা’ এবং তা যদি করতে হয় তাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার আপত্তি ছিল না বলেও তিনি জানিয়ে দিলেন। তখন মানেকশ বাইবেল থেকে উদ্ধৃত করে বলেন—ঈশ্বর বলেছেন আলো জ্বলে উঠুক, আলো জ্বলে উঠল, এবং আপনি বলেছেন যুদ্ধ হোক, যুদ্ধ হবে। তবে এই মুহূর্তে আপনি কি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত? আমি প্রস্তুত নই। মানেকশ একে একে ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, এখন পূর্ব পাকিস্তানের ভেতরে যাওয়ার উপযুক্ত সময় নয়, কারণ বর্ষায় পুরো এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার সময় আগত এবং সেখানকার সব নদী-সমুদ্রের মতো হয়ে যাবে, নদীর এপার থেকে ওপার দেখা যাবে না। একমাত্র অল্প কিছু উঁচু সড়ক ছাড়া সেনাবাহিনী যাতায়াতের জন্য অন্য কোনো বিকল্প পথ ব্যবহার করা যাবে না। তাই সেখানে কোনো মিলিটারি অপারেশন চালানো সম্ভব হবে না। বিমানবাহিনীর পক্ষেও অপারেশন চালানো সম্ভব হবে না। অন্যদিকে এই মুহূর্তে ভারতের কাছে মাত্র ৩০টি ট্যাঙ্ক মজুত রয়েছে, যা যুদ্ধ করার জন্য অত্যন্ত অপ্রতুল। আবার পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন ও অন্যান্য কারণে কয়েক ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করতে হচ্ছে। তা ছাড়া, এপ্রিল মাস হচ্ছে ফসল সংগ্রহের সময়। তাই কৃষিমন্ত্রী ফখরুদ্দিন আলি আহমেদকে উদ্দেশ্য করে মানেকশ বললেন, সৈন্যদের বহনের জন্য প্রতিটি রেলওয়ে ওয়াগন, প্রতিটি ট্রেন এবং রাস্তার সব জায়গার প্রয়োজন হবে বিধায় মাঠের ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে সেনাবাহিনী প্রধানকে দোষারোপ করা যাবে না বলে তিনি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। মানেকশ আরও বলেন, হিমালয়ের গিরিপথগুলোতে বরফ গলা শুরু হয়ে গেছে। এই সুযোগে চীনারা যদি ভারত আক্রমণ করে বসে, তখন তাদের দুটি ফ্রন্টে লড়াই করতে হবে। এতে উৎসুক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং মানেকশকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠেন, ‘আপনি কি মনে করেন চীন আক্রমণ করবে?’ জবাবে মানেকশ বলেন, ‘আপনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আপনিই তা আমাকে বলুন!’ তা ছাড়া, অর্থমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যাবন যখন জানতে চাইলেন ভারতের কাছে কেন মাত্র ৩০টি ট্যাঙ্ক রয়েছে, তখন মানেকশ উত্তর দিলেন—গত এক বছর যাবৎ ট্যাঙ্ক ক্রয় করার জন্য বারবার অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো হলেও আপনি অর্থমন্ত্রী টাকা নেই বলে সে প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। আর মানেকশর নিজ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, অর্থাৎ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যুদ্ধ করার জন্য তাকে রাজি হয়ে যেতে বলেন। জবাবে মানেকশ বলেন, ‘এটা কি রাজি হওয়ার মতো কোনো বিষয়? আমি আপনাদের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরছি মাত্র। তারপরও প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেন, তাহলে আমি আপনাদের পরাজয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে আদেশ করুন।’ সেনাবাহিনী প্রধানের এ বক্তব্যের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তখন মৃতপুরীর নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী একটু অন্যদিকে ঘুরে বললেন মন্ত্রিসভার বৈঠক বিকেল ৪টায় আবার বসবে। এই বৈঠক থেকে মন্ত্রীরা একে একে সবাই চলে যাওয়ার পর প্রটোকল অনুসারে সবশেষে স্যাম মানেকশ যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাকে ‍উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘সেনাবাহিনী প্রধান, আপনি কি একটু দাঁড়াবেন?’ মানেকশ দরজা বন্ধ করে দিয়ে বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি কথা বলার আগে আমি জানতে চাচ্ছি—আপনি কি চান আমি আমার স্বাস্থ্য, মানসিক বা শারীরিক কারণে পদত্যাগপত্র পাঠাই?’ প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘ওহ, বসুন তো! আপনি আমাকে যা কিছু বলেছেন, সেসব কি সঠিক?’ স্যাম বাহাদুর উত্তর দিলেন, ‘যুদ্ধ করা আমার পেশা এবং বিজয়ী হওয়া জন্য আমি যুদ্ধ করি। আপনাকে সব সঠিক কথা বলা আমার দায়িত্ব। দেখুন, আপনার পিতা যদি ১৯৬২ সালে আমাকে সর্বাধিনায়ক হিসেবে পেতেন, তাহলে দেশকে অপমানিত হতে হতো না, আমাদের সৈন্যদের মার খেতে হতো না। কিন্তু সে সময় সেনাবাহিনী প্রধানের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো এমন নৈতিক সাহস ছিল না যে, আপনার পিতাকে বলবেন তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নন।’

সেনাবাহিনী প্রধানের এমন কঠিন বটে, যৌক্তিক ও বাস্তব সব বক্তব্য শোনার পর ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনি জানেন আমি কী চাই!’ মানেকশ সম্মতি জানিয়ে বললেন, ‘আমি জানি আপনি কী চান। তবে, তা অবশ্যই আমার নিজের মতো করে করার জন্য অনুমতি দিতে হবে এবং সেখানে অন্য কারও সিদ্ধান্ত দেওয়া বা হস্তক্ষেপ করা চলবে না। আমার মতো করে পরিকল্পনা করে অগ্রসর হতে দিলে আমি আপনাকে যুদ্ধজয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

ইতিহাসে ‘আয়রন লেডি’ বলেখ্যাত ইন্দিরা গান্ধী তার আত্মপ্রত্যয়ী সেনাপ্রধানের সব প্রস্তাব মেনে নিলেন। মানেকশ যুদ্ধজয়ের ছক আঁকতে শুরু করেন। যুদ্ধের সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি সর্বাগ্রে পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানি সৈন্যদের শিরদাঁড়া ভেঙে দিতে দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ বাঙালিদের ব্যবহারের পরিকল্পনা করেন। তার ভালো করে জানা ছিল যে, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক ও সম্মোহনী নেতৃত্বে এ দেশের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে উন্মুখ হয়ে আছে। তারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে টগবগ করছে এবং বিস্ফোরিত হওয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত সমরনায়ক মানেকশ বাঙালির আবেঘন এ দেশপ্রেমকে মোক্ষম কাজে লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার সুজান সিং উবানকে ডেকে সাধারণ বাঙালিদের স্বল্পদিনের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের কলাকৌশল শিখিয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গেরিলা বাহিনী গঠনের নির্দেশ প্রদান করেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধসহ সর্বাত্মক যুদ্ধের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড স্যাম হরমুজজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ। স্বাভাবিক কারণে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে তিনি ছিলেন আপ্লুত, গর্বিত ও আনন্দিত। সেই আবেশের বসে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সামনে ‘শ্যাম বাহাদুর’ নিজের বাহাদুরির কথা উল্লেখ করা নিয়ে তিনি অবসরের পর জীবদ্দশায় প্রায়ই মজা করে বলতেন, ‘ফিল্ড মার্শাল হওয়া এবং বরখাস্ত হওয়ার মধ্যে একটি অত্যন্ত ক্ষীণ রেখা অবস্থান করছিল। তবে, তাতে আমি খুব বেশি চিন্তিত ছিলাম না, কারণ আমার স্ত্রীর কাছে যে পরিমাণ টাকা গচ্ছিত ছিল, তাতে আমাকে বরখাস্ত করা হলেও সে আমার দেখাশোনা করতে সক্ষম ছিল!’

এমন এক বিচক্ষণ এবং সর্বপ্রকার সামরিক ও মানবিক গুণসম্পন্ন এক মহাসমরনায়ককে তো কোনোভাবেই বরখাস্ত করা যায় না! সংগত কারণেই অসাধারণ রণকৌশল অবলম্বনপূর্বক দুর্ধর্ষ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালে স্যাম মানেকশকে জেনারেল পদ থেকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করে সম্মানিত ও গৌরবান্বিত করা হয়। খুবই কৌতুকপ্রিয় এবং সাধারণ সিপাহিবৎসল বিরল সেনানায়ক স্যাম মানেকশ বরখাস্ত হওয়া অথবা ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া নিয়ে অবসরজীবনে মজা করতেই পারেন বটে, কিন্তু বিষয়টি তো চরম সত্য যে, তিনি বিশ্বের ক্ষমতাধর একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ‘শ্যাম বাহাদুর’ এতটাই আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন যে, তিনি জানতেন তার পদত্যাগের ইচ্ছার কথায় কাজ হবে এবং তার পরিকল্পনামাফিক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হলে তার বাহিনী বিজয়ী হবে বলে তিনি শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন। আর তাই তার প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া সেই কথা ছিল যুদ্ধজয়ের জন্য আপন ঘরের খুঁটা পোক্ত করার বিচক্ষণ চাল এবং তার দেশ ও জাতি, সর্বোপরি ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অভ্যুদয়ের স্বার্থে ‘ইন্টেলেকচুয়াল অ্যান্ড ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং’ করা। বিশ্ব ইতিহাসে এ এক ‘বিরল ও মহান ব্ল্যাকমেইলিং’!

লেখক: মুক্তিযোদ্ধা ও প্রযুক্তিবিদ

[email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরম পানি পান করলে কি সত্যিই ওজন কমে?

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খান

যৌবন ধরে রাখতে সার্জারি করেছেন রোনালদো, দাবি সার্জনের

জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হচ্ছেন গিল!

যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেস্ট হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন মিলন

ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না জানালেন পুষ্টিবিদ

সুনামগঞ্জে ভুয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার

সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানীর পদ-ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি রাশেদের

ব্যক্তিগত মিলে মজুত করা ছিল সরকারি চাল

১০

অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ / ভারতের বিপক্ষে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

১১

সড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ লাখো মানুষের

১২

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মানসী

১৩

কলকাতায় টানা ৩ দিন দুর্যোগের সতর্কতা

১৪

২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ : কোন দেশে কত ম্যাচ জানিয়ে দিল আইসিসি

১৫

সপ্তাহের সেরা সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ প্রায় ১৬০০

১৬

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১৭

জুমার খুতবার সময় কি মোবাইল ব্যবহার করা যাবে?

১৮

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১৯

ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিচ্ছে ফিফা, যেভাবে করবেন আবেদন

২০
X