এস এম রাকিব সিরাজী
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ০২:৫০ এএম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হেইট পলিটিকস, স্টেম মৌলবাদ ও নিষিদ্ধ ছাত্ররাজনীতি

হেইট পলিটিকস, স্টেম মৌলবাদ ও নিষিদ্ধ ছাত্ররাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানবিষয়ক সংগঠন ‘Union of Concerned Scientist’ তাদের ব্লগে ৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে প্রফেসর ইনগ্রিড পারেডেসের একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। প্রবন্ধটিতে প্রফেসর পারেডেস শিক্ষার্থীদের রাজনীতি, বিশেষ করে তাদের সর্বশেষ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ করার বিষয়ে বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। টাফটস ইউনিভার্সিটির একটি জরিপ উদ্ধৃতি করে প্রকাশিত ওই প্রবন্ধে প্রফেসর ইনগ্রিড পারেডেস মোটাদাগে দেখিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাচনে STEM শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল বিস্ময়কর, যেখানে সাধারণত STEM শিক্ষার্থীরা রাজনীতি, নির্বাচন এসব নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায় না বলে প্রচলিত আছে। স্টেম শিক্ষার্থী কিংবা স্টেম মৌলবাদ সম্পর্কে পরিচিত হওয়ার আগে আরও একটি গবেষণা রিপোর্টে নজর দেওয়া যাক।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অঙ্গসংগঠন ইউরোপিয়ান কমিশন এবং কাউন্সিল অব ইউরোপ কর্তৃক ১২ জুলাই ২০২৩ সালে প্রকাশিত নতুন প্রজন্মের তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ওপর চালানো একটি যৌথ গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ৩৯ শতাংশ তরুণ-তরুণী তাদের নিজেদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ বা সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী মনে করে। গবেষণাটি বলছে, ৩৪ শতাংশ তরুণ তাদের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ভোটে অংশগ্রহণ করেছে। এ গবেষণার ইতিবাচক আরও একটি খবর হচ্ছে, সর্বোচ্চ ৭২ শতাংশ পর্যন্ত তরুণ-তরুণী ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তথ্য নিয়ে সচেতন ও সক্রিয় থাকে।

লেখার শুরুতেই এ দুটি উন্নত মহাদেশের গবেষণা উল্লেখ করলাম এজন্য যে, ‘হেইট পলিটিকস’ প্রজন্মের পর বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে স্টেম মৌলবাদীদের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। স্টেম মৌলবাদীদের অনেকেই রাজনীতি, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি না থাকার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন, কেউ কেউ আন্দোলনও করেছেন এবং করছেন। হেইট পলিটিকস প্রজন্মের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত হলেও স্টেম মৌলবাদ ধারণার সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত নই। ইংরেজি চারটি অক্ষর S, T, E ও M-কে একসঙ্গে STEM লেখা হয় যেসব শিক্ষার্থী Science, Technology, Engineering ও Mathematics সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করে, তাদের সংক্ষেপে ‘STEM Students’ হিসেবে বোঝানোর জন্য। উন্নত বিশ্বে এটি মোটামুটি পরিচিত একটি পরিভাষা। আর এই ‘STEM students’দের মধ্যে যারা স্টেমের বাইরে পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি তথা দেশ-দুনিয়ার আর কোনো কিছুকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না, তাদেরই আজকাল স্টেম মৌলবাদী বলা হচ্ছে। উল্লেখ করা ভালো যে, ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদের সবাই জঙ্গি হলেও অধিকাংশের ব্যাকগ্রাউন্ড এই হেইট পলিটিকস ও স্টেম মৌলবাদ প্রজন্মের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। শুধু ঢাকার হলি আর্টিসান নয়, সাম্প্রতিক বিশ্বের আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ও সন্ত্রাসমূলক ঘটনার সঙ্গে এ ঘরানার শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া যায় এবং তারা নির্দিষ্ট কোনো একটি ধর্মের নয়, বিভিন্ন ধর্মের। উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদ থেকে সৃষ্ট জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় রাষ্ট্র বা সরকার যখন একটি সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে, তখন এই স্টেম মৌলবাদ বা এর নীরব বিস্তার ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে কি না, সেটিই এ লেখার উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে সম্প্রতি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের রাজনীতিবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের একশ্রেণির চিন্তকের মধ্যে স্টেম মৌলবাদ আলোচনায় আসে। কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেছেন যে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের রুচি ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে বুয়েটে যদি সুশৃঙ্খল, পরিমিত ও পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ছাত্ররাজনীতি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রেও ধর্মীয় মৌলবাদের চেয়ে বড় বাধ সেধে বসবে এই স্টেম মৌলবাদ। বুয়েট ইস্যুতে তাদের কোনো কোনো শিক্ষক ও অ্যালামনাই সদস্যদের কারও কারও বক্তব্য দেখেও তাই মনে হয়েছে। তবে বুয়েট ইস্যুতে দেশব্যাপী আরও আলোচনা হয় বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু করার ক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনগুলোর সাংগঠনিক সক্ষমতার বিষয়ে। আলোচনা হয় ছাত্ররাজনীতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, চলমান বাস্তবতায় বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। এসব আলোচনা-সমালোচনা থেকে যে দুটি পক্ষের উদ্ভব হয়, তাদের একটির দাবি—‘পৃথিবীর কোনো উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নেই!’ অন্য পক্ষটির দাবি—‘পৃথিবীর সব উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্ররাজনীতি আছে!’ আসলে এ দুটি দাবিই সত্য। কারণ ছাত্ররাজনীতি বলতে আমরা যা বুঝি বা আমরা যা চর্চা করি, সেরকম কিছু পৃথিবীর উন্নত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত এ সময়ে নেই, সেই অর্থে প্রথম পক্ষের দাবি অসত্য নয়। আবার পৃথিবীর সব উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি বিশেষ করে ক্লাবকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতির চর্চা রয়েছে, যদিও তা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা চরিত্রের, সেই অর্থে অন্যপক্ষের দাবিও মিথ্যা নয়। আর এসব আলোচনা থেকে সবচেয়ে বড় যে সত্যটি বের হয়ে এসেছে তা হলো, সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির যে গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল, দেশের ছাত্রসংগঠনগুলো সেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনো নিয়ে আসতে পারেনি। এটিও সত্য যে, এই ‘হেইট পলিটিকস’ আর ‘স্টেম মৌলবাদ’-এর বিস্তারের জন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর দায়বদ্ধতার চেয়ে পরিবার, সমাজ, সামাজিক কাঠামো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার বিষয়, সহশিক্ষা কার্যক্রম, কারিকুলাম, শিক্ষকদের আচরণ এবং যোগ্যতা পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলোর ভূমিকাই বেশি। আর্থসামাজিক ভূমিকাও রয়েছে কিছুটা। একজন মানুষকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য পেরোতে হয়। শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যের প্রতিটি ধাপেই পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

যাহোক, ফিরে আসি স্টেম মৌলবাদ ও হেইট পলিটিকসের আলোচনায়। সিগমুন্ড ফ্রয়েডের ‘Theory of speciality’ নামে একটি তত্ত্ব আছে, বাংলায় সাধারণত এটাকে স্থানিকতার তত্ত্ব বলে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী একজন মানুষ যেরকম সমাজে বড় হবে, তার আচরণ সেরকমই হবে। আবার তার গ্রুপ সাইকোলজি (Group psychology) নামের যে বিখ্যাত তত্ত্ব রয়েছে, সেখানে তিনি বলেছেন যে, একজন মানুষ এককভাবে থাকলে বা এককভাবে বসবাস করলে যেমন মানসিকতায় থাকে, গ্রুপের মধ্যে বা অনেকের সঙ্গে বসবাস করলে সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই আর বুয়েটের এই শিক্ষার্থী তথা স্টেম শিক্ষার্থীরা যদি দেশ, রাষ্ট্র, সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতির সঙ্গে নিজেদের ন্যূনতম সম্পৃক্ত না রেখে ২৪/৭ নিজেরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং সেখানে তৃতীয় কোনো শক্তি গোপনে দেশবিরোধী আদর্শের বিস্তার কার্যক্রম চালাতে থাকে, পাশাপাশি প্রচলিত ছাত্ররাজনীতিও নিষিদ্ধ থাকে, তাহলে এর ফল কী হবে তা সিগমুন্ড ফ্রয়েডের উল্লিখিত দুটি তত্ত্ব থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় বলে বোধ করি। বলে রাখা ভালো যে, আমরা সেসব ব্যক্তির সঙ্গে একমত, যারা বলছেন, পুরো পৃথিবীতেই স্টেম শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রম এবং তারা প্রচলিত রাজনীতি কিংবা সমাজ নিয়ে অত উদ্বিগ্ন থাকে না। তবে তাদের কাছে আমাদের একটি প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ধরা যাক। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠন হিসেবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি লেবার ক্লাব (লেবার পার্টির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), অক্সফোর্ড কনজারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (কনজারভেটিভ পার্টির শাখা), অক্সফোর্ড হায়েক সোসাইটি (রাজনৈতিক আলোচনার জন্য বিশেষ সংগঠন), অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি লিবারেল ক্লাব এবং অক্সফোর্ড ইউনিয়নের মতো খুবই সক্রিয় বিতর্ক সংগঠন রয়েছে সেখানে, যেটাকে রাজনৈতিক ক্লাব হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। এর বাইরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রিকৃত চারশর অধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে, যারা বিভিন্ন উপলক্ষ সামনে এলেই সমাজ সংস্কৃতি অর্থনীতি রাজনীতি বিশেষ করে বিশ্বরাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের বুয়েটে কিংবা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এরকম কয়টি সংগঠন আছে? আমার জানামতে, বুয়েটে ৩৩টির মতো ক্লাব আছে, যার মধ্যে সর্বসাকল্যে ১০টি ক্লাব কোনোরকম সক্রিয় বলা চলে। নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠন হিযবুত তাহরীর আর দেশের মৌলিক আদর্শবিরোধী ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের গোপন কার্যক্রম ছাড়া গত কয়েক বছরে বুয়েটের ওইসব সংগঠনের ‘উল্লেখ করার মতো’ কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমের খবর আমার জানা নেই। আদালতের রায়ের পর কাগুজে অর্থে বুয়েটে এখন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয় বটে, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বুয়েট এখন নিষিদ্ধ ছাত্ররাজনীতির ক্যাম্পাস। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে, যেখানে সুযোগ পেলেই উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, সেখানে ছাত্ররাজনীতি এভাবে নিষিদ্ধ রেখে স্টেম মৌলবাদকে গায়ে গতরে বড় হতে দিলে, ভবিষ্যতে হেইট পলিটিকস প্রজন্মের বড় একটা অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্টেম মৌলবাদের দিকে ধাবিত হবে। আর এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটিও গবেষণার দাবি রাখে।

লেখক: কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিকটকে এবার যেসব সুবিধা যোগ হলো

মোবাইলে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

হত্যা মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল গ্রেপ্তার 

শুটিং শেষ করে শাহিদ কাপুরের আবেগঘন স্ট্যাটাস

৬০০ বিঘার এই বিলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা 

ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ে আফগানিস্তান, নিহত বেড়ে ৫০০

নুরের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানালেন রাশেদ 

কে এই লিভারপুলের ২০০০ কোটি টাকার স্ট্রাইকার?

অনার্স চতুর্থ বর্ষের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন

বিশ্বের মুসলিমদের উদ্দেশে ইরানের প্রেসিডেন্টের বার্তা

১০

সুসজ্জিত গাড়িতে পুলিশ সদস্যের রাজকীয় বিদায়

১১

বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিহত, ইয়েমেনের পক্ষে ইরানের হুংকার

১২

চোখের পাতা লাফানো কি অশুভ, নাকি কোনো রোগের লক্ষণ

১৩

সিডনিতে রুশ কনস্যুলেটের গেটে গাড়ির ধাক্কা, অতঃপর...

১৪

চবি ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা

১৫

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

১৬

ফাইনালে হারের পর সুয়ারেজের বিতর্কিত কাণ্ড!

১৭

হাত-পায়ের ৫ লক্ষণে বুঝে নিন লিভারে সমস্যা ভুগছেন কি না

১৮

হাসি, বিনা মূল্যের থেরাপি : তিশা

১৯

হল ছাড়ছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা, আন্দোলনের ঘোষণা একাংশের

২০
X