

দেশের কাবাডিতে চলতি বছর অনেক ‘প্রথম’ লেখা হলো। তালিকায় নতুন সংযোজন নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। ২০১২ সালে প্রথম আসর থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। ঢাকায় দ্বিতীয় আসরে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার মাধ্যমে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করল লাল-সবুজরা।
সেমিফাইনালে শক্তিশালী চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে জিতলে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে স্বর্ণ কিংবা রুপা জয়ের হাতছানি থাকবে। চলতি বছর এ নিয়ে চারটি ‘প্রথম’ লেখা হলো বাংলাদেশ কাবাডিতে। এশিয়ান নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথম পদক দিয়ে শুরু। পরে যুব এশিয়ান গেমসের ছেলে ও মেয়ে—দুই বিভাগে প্রথমবারের মতো ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে বাংলাদেশ। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন বিশ্বকাপ পদক। চলতি বছরের ছয় আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের মধ্যে পাঁচটিতে অর্জনের খাতা সমৃদ্ধ হয়েছে। ১৪ আগস্ট বর্তমান কমিটি গঠনের পরই এসেছে সবগুলো সাফল্য, যা সাম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে দেশের কাবাডিতে। উল্লেখিত চার অর্জনের বাইরে আরেকটি ছিল নেপালের বিপক্ষে ছেলেদের টেস্ট সিরিজ জয়। ছয় আন্তর্জাতিক ইভেন্টের মধ্যে একমাত্র অপ্রাপ্তি নেপালের বিপক্ষে নারী দলের অ্যাওয়ে সিরিজ হার।
নারী বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৪০-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে সেমিফাইনাল ও পদক নিশ্চিত করেছে রূপালী আক্তারের দল। এ অর্জনের পর বাংলাদেশ নারী দল ফিরেছে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষ চারে। এখানেই থেমে থাকতে নারাজ বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ, ‘সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থানে ছিল। এখন কিন্তু শীর্ষ চারে ফিরে এসেছে। বিশ্বকাপে এ অবস্থান থেকে উন্নতি করার সুযোগ আছে।’
মন্তব্য করুন