

২-১ ব্যবধানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এই সিরিজের মধ্য দিয়ে বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলা হয়ে গেছে লিটন দাসদের। এবার বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকেই বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির বাকিটা নিতে হবে তাদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক পুরো বছরের সাফল্য নিয়ে সন্তুষ্ট, বিশ্বকাপ মঞ্চে যাওয়ার আগে তার দলও বুঝে পেয়েছেন তিনি। এবার সতীর্থদের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে সেরা পারফর্ম দেখতে চান তিনি। একই সঙ্গে সেটা আবার জাতীয় দলে ফেরার পরও কাজে লাগবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন লিটন। সিরিজ জয়ের পর লিটনের সংবাদ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো কালবেলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…।
সিরিজ থেকে ইতিবাচক
শুরুতেই বলেছিলাম যে, আমরা চাই যে চাপে পড়তে। কিন্তু এটাও বলেছিলাম যে, আমরা চাপের মধ্য থেকে খেলাগুলো যেন জিততে পারি। প্রথম ম্যাচটা ভালোই চাপে পড়েছি, কিন্তু ওভারকাম করতে পারিনি। তারপরও আমার মনে হয়, একের পর এক দুইটা গেম জিতে আমরা অন্তত সিরিজটা জিততে পেরেছি। অনেক ইতিবাচক সাইড আছে।
বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি
দল অনেক আগে থেকে তৈরি ছিল। যখন এশিয়া কাপ খেলেছিলাম আমরা, তখন থেকেই আপনি যদি দেখেন, এই কয়েকটা খেলোয়াড়ই খেলছে। তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, দলটা আগে থেকেই তৈরি ছিল। এখন একটা জিনিস থাকবে, খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটা টুর্নামেন্ট। যে যেখানেই খেলুক যে কোনো দলে খেলুক, তারা সেরা ক্রিকেটটা খেলবে এবং ওই সেরা ক্রিকেটটাই আবার যখন জাতীয় দলে আসব তখন খেলার চেষ্টা করব।
ওপেনিংয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
যেহেতু তিনটি ম্যাচই আমরা খেলেছি, ওই জায়গাটায় (ওপেনিং) আমরা তিনজনকে ঘুরিয়ে খেলানোর চেষ্টা করেছি। আরও বেশি ম্যাচ থাকলে হয়তো বা তাকে (সাইফ হাসান) আরও চেষ্টা করতাম। ওই দিক দিয়ে সে অনেক দুর্ভাগা। আমরা চিন্তা করলাম যে, ইমনকেও একটু করে (ওপেনিং থেকে চারে) দেখি…কারণ একটা জায়গায় ফিক্সড হলে আপনার খেলাটা একরকম চলবে। সে জন্যই আমরা তাকে চেষ্টা করে দেখলাম। আমার মনে হয় সবমিলিয়ে ইমন ভালো করেছে এই জায়গায়।
ফিনিশিংয়ে জাকের-সোহানের ছন্দহীনতা
না! ওই জায়গা নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত না। আমি আগেও বলেছি যে, আমাদের প্রতিটি সিরিজ প্রত্যেক খেলোয়াড় ভালো খেলবে না। আপনি দেখেন, হৃদয় অনেকদিন ধরেই একটু ছন্দহীনতার সঙ্গে লড়াই করছিল। কিন্তু এই সিরিজে সে বড় রান পেয়েছে। তার মানে, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই সামর্থ্যবান বড় রান করার জন্য। তাদের একটু সময় দিতে হয়।
টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যের বছর
টি-টোয়েন্টিতে আমি যখন প্রথমে দায়িত্ব নিই, তখন একটু কঠিন ছিল আমার জন্য। নতুন নতুন মুখ ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি একটা জিনিস বলতে পারব, সবাই পরিণত হয়েছে। সবাই অনেকদিন ধরেই এই সংস্করণে খেলছে। আর দেখেন, এই বছর আমরা সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি জিতেছি। সফল হওয়ার সুযোগটাও তাই সবচেয়ে বেশি থাকবে। কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের যে ১৬-১৭ বা ১৮-২০ জন যারাই খেলেছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। কোচরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাদেরও কৃতিত্ব দিতে হয়।
মন্তব্য করুন