

রাজধানীর ডেমরায় পারিবারিক কলহের জেরে বউ ও শাশুড়িকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছেন সোহাগ মিয়া নামের এক গার্মেন্টস কর্মী।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ডেমরার বামইল এলাকার মাতব্বর গলির ফাতেমার বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় সোহাগের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী মোরশেদা আক্তারের মাথা, গলা ও বুকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শাশুড়ি শাহিদা আক্তারকেও ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় সোহাগ। এ সময় ডাক-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সোহাগের স্ত্রীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার বাতিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে ও স্ত্রী।
দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সোহাগ ও স্ত্রী মোরশেদা আক্তার উভয়ে উভয়কে পরকীয়ার সন্দেহে পারিবারিক কলহে জড়িয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সোহাগ ও মোরশেদা দুজনই ডেমরার উর্মি গার্মেন্টসে কাজ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শাশুড়ি শাহিদা আক্তারের ভাই মফিদুল ইসলাম আকাশ বলেন, বুধবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী সোহাগ মিয়া তার স্ত্রীকে ধারালো চাকু দিয়ে কোপায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আমার বোন বাধা দিতে গেলে সোহাগ তাকেও এলোপাতাড়ি চাকু দিয়ে আঘাত করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, গার্মেন্টস কর্মী সোহাগ বুধবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। বর্তমানে স্ত্রী মোরশেদার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তারা উভয়ে উভয়কে সন্দেহ করত বলে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এদিকে সোহাগকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে এবং আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন