

ব্রিসবেনের গাব্বায় দিবারাত্রির টেস্টকে রঙিন করে তুলেছেন জো রুট আর মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ড অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ৩২৫ রানে।
পার্থের প্রথম টেস্টে মাত্র দুদিনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনের রেকর্ডও তাদের জন্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। গাব্বায় ২২ ম্যাচে ৪ জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সব মাঠের মধ্যে ব্রিসবেনের গাব্বায় সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড ইংরেজদের। সেটাই আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল শুরুর সেশন। স্টার্ক তোপ দাগা শুরু করলেন। স্টার্কের প্রথম ওভারেই আউট হন বেন ডাকেট। শূন্য রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। স্টার্কের পরের ওভারে শূন্য রানে বোল্ড হন ওলি পোপ। ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ইংল্যান্ড। ওপেনার জ্যাক ক্রলি সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। তিনি আর জো রুট ১১৭ রানের জুটি গড়েন। ৭৬ রান করে আউট হন ক্রলি। এরপর হ্যারি ব্রুক ৩১ রান করে আউট হন। ব্রুক আউট হওয়ার পর নামেন স্টোকস। নৈশভোজের বিরতি পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯ রানের মাথায় রুটের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন স্টোকস। উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথও শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তবে অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন রুট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর থেমেছেন তিনি। দুবার তার বিরুদ্ধে ডিআরএস নেন স্টিভ স্মিথ। ১৮১ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। রুট এক প্রান্ত আগলে রাখলেও গাস অ্যাটকিনসন ও কার্স তাড়াতাড়ি আউট হন। পার্থের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া স্টার্ক ব্রিসবেনেও প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। ১০২ টেস্টে ৪১৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে এ রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের দখলে। কিংবদন্তি পেসার ১০৪ টেস্টে ৪১৪ উইকেট নিয়েছিলেন। শেষদিকে ঝড় তোলেন জোফরা আরচার। ১১ নম্বরে নেমে রুটের সঙ্গে ৪৪ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। প্রথম দিন শেষে রুট ১৩৫ রানে অপরাজিত। আরচার ব্যাট করছিলেন ৩২ রানে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে রুটের ৪৩৯৬ দিন সময় লেগেছে। তিনি এই সময়ে সে দেশের মাটিতে খেলেছেন ১৬ টেস্ট আর ৩০ ইনিংস । টেস্টে ক্যারিয়ারে এটি রুটের ৪০তম সেঞ্চুরি।
মন্তব্য করুন