ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নাবিল গ্রুপের ১১টিসহ বেশ কিছু কোম্পানির তথ্য জানতে চেয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত রোববার ওই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে নাবিল গ্রুপের ১১টিসহ কয়েকটি কোম্পানির ঋণের তথ্য চাওয়া হয়েছে। চিঠি প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে দুই ব্যাংককে। এ ছাড়া ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন আরেক উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মালিক মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ঋণের নামে সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত ঋণগুলো সম্পর্কে রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
চিঠিতে ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে দুদক।
নাবিল গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড, নাবিল কোল্ড স্টোরেজ, নাবিল ফিড মিলস লিমিটেড, নাবিল অটো রাইস মিল, নাবিল অটো ফ্লাওয়ার মিল, শিমুল এন্টারপ্রাইজ, নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নাবা ফার্মা লিমিটেড, নাবিল গ্রিন ক্রপস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্ট প্যালেস।
এর আগে, ২০২২ সালের নাবিল গ্রুপের নামে ২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য ৮টি প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন উপায়ে ওই ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।