

শতবর্ষী তমিজন বেওয়া। স্বামী হারানোর দুই যুগ পেরিয়ে গেছে। বয়সের ভাড়ে ন্যুয়ে পড়েছেন। ৭ সন্তানের মধ্যে ছয় কন্যাও এখন বয়োবৃদ্ধ। একমাত্র ছেলে সাইদুর রহমান বাড়ির পাশে ছোট একটি চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছেন।
সম্পত্তি বলতে ছিল ৪ শতাংশ জমির ওপর টিনের বাড়ি। কিন্তু গেল ঝড়ে তমিজন বেওয়ার স্বামীর ঘরটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পরে মাসের পর মাস স্বামীর খোলা ভিটার পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকা শুরু করেন শতবর্ষী তমিজন বেওয়া।
ঝড়ে ঘর ভেঙে যাওয়ার পর ছেলে সাইদুর রহমান বৃদ্ধ মাকে অনেক চেষ্টা করেও ঘরে নিতে পারেননি। তিনি জানান, মৃত্যু পর্যন্ত স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত ওই ঘরেই থাকবেন। পরে উপায় না পেয়ে এলাকাবাসী স্বামীর ঘরের পাশে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে দেন। ওই ঝুপড়ি ঘরেই থাকতেন আর দিনভর স্বামীর ঘরের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলতেন।
এদিকে বৃদ্ধা তমিজন বেওয়ার কষ্ট দেখে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতারা। তারা নিজ খরচে শতবর্ষী তমিজন বেওয়ার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত ভিটা মাটির ওপর একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দেন। এই মহৎ কাজে এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদলের নেতারা।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, বৃদ্ধ তমিজন বেওয়ার গরিব ছেলে অর্থের কারণে মাকে ঘর তৈরি করে দিতে পারেননি। বিষয়টি তারা অনুধাবন করে নিজ খরচে ওই বৃদ্ধাকে ঘর তৈরি করে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন