বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও তার অনুসারীদের জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে কুমিল্লার আদালতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজীব আহমেদ (৩৮)। তিনি মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের প্রয়াত জারু মিয়ার ছেলে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, চারটি মামলা হয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগে এবং একটি মামলা হয়েছে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। মঙ্গলবার বিভিন্ন সময়ে এসব মামলা করা হয়। আদালত পাঁচটি মামলাই আমলে নিয়েছে। মামলায় রাজীব আহমেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে চরিত্রহনন, হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি এবং মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনজীবী তৌহিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, চাঁদাবাজির চারটি মামলা হয়েছে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি (মুরাদনগর) আদালতে। এর মধ্যে একটি মামলা আদালত এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন থানার ওসিকে। বাকি তিনটি মামলা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর হুমকি দেওয়ার মামলাটি হয়েছে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১০ নম্বর আমলি (চান্দিনা) আদালতে। এই মামলায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
একটি মামলার বাদী মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম মহিউদ্দিন। তার মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার আরজিতে মহিউদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি ঢাকায় গার্মেন্টস, পরিবহনসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত ৩১ জানুয়ারি রামচন্দ্রপুরে তার গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত রাজীব আহমেদসহ কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রাজীব আহমেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদসহ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করেন। মামলা দায়েরের পর কুমিল্লার আদালত প্রাঙ্গণে গোলাম মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মূলত কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। দ্বিতীয় মামলাটি করেন মুরাদনগর উপজেলার দিঘলদী গ্রামের বাবুল মিয়া (৬৫)। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ১ ফেব্রুয়ারি রামচন্দ্রপুর বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম ট্রেডার্সে গিয়ে রাজীবের নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্বীকৃতি জানালে ৬ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে তাকে ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের নামে রাজিব মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।