যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে আটক হওয়া আরও একদল বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত ৩০ জুলাই ৬১ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে রওনা হওয়া একটি সি-১৭ সামরিক পরিবহন বিমানটি আজ শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশটি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়। যারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদেরও ফেরত পাঠাতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দফায় দফায় এখন পর্যন্ত একশরও বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ দফায় নতুন করে আরও ৬১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
জানতে চাইলে ওয়াশিংটনের একটি সূত্র কালবেলাকে জানায়, ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের মধ্যে কয়েকজনের নাগরিকত্ব যাচাই ও নথিপত্র জটিলতা রয়েছে। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের দেশে ফিরতে ভোগান্তি হচ্ছে কিছুটা। এর আগে যারা ফিরেছেন তাদের কেউ কেউ কমার্শিয়াল ফ্লাইটেও এসেছেন, তবে এ দফায় যাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের সবাই আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক পরিবহন বিমানে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফ্লাইটটি আজ ভোরে ঢাকায় নামবে। তবে যেহেতু এটি কমার্শিয়াল ফ্লাইট নয় তাই অবতরণের সময়ের পরিবর্তন হতেও পারে।
ফেরত পাঠানোদের নাগরিকত্ব যাচাই ও নথি জটিলতা: বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টধারীদের জন্য বাংলাদেশ মিশন থেকে একমুখী ট্রাভেল পারমিট (TP) ইস্যু করা হচ্ছে। আর যাদের কোনো পরিচয়পত্র নেই, তাদের নাগরিকত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করে TP দেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র কালবেলাকে জানায়, যারা ফিরছেন তাদের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল ডকুমেন্টধারী তিন বাংলাদেশি রয়েছেন। এরা হলেন- আশরাফুল ইসলাম সুমন, আবু সায়েদ এবং মো. ইব্রাহিম খলিল। এই তিনজনেরই ট্রাভেল ডকুমেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তবে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) কর্তৃপক্ষ তাদেরও ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইসিই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুরোধ করেছে যেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ফেরত অভিবাসীদের গ্রহণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হয়।
মন্তব্য করুন