ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার ৫টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আলোচনায়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সরকারি এমন ঘোষণার পর বগুড়ার কোন আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন তার জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও দলীয় মনোনয়ন লাভে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শরিক দলগুলো অনেকটা মুক্ত পরিবেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। তখন থেকেই আলোচনায় আসে বগুড়ার কোন সংসদীয় আসন থেকে কোন দলের কে প্রার্থী হচ্ছেন। বিশেষ করে বিএনপির কে কোন সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামী অনেক আগেই বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেও বিএনপি এখনো স্পষ্ট করে বগুড়ার ৭টি আসনের বিপরীতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি।
তবে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বগুড়ার ৭টির মধ্যে ৫টি সংসদীয় আসনে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন এমন একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, মূলত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে ফোন দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান এবং কীভাবে নির্বাচন করবেন তাও জানতে চান। এ রকম করে যাদের কাছে ফোন করে কথা বলেছেন তাদের নামগুলোই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বগুড়া-১ আসনে সাবেক এমপি আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম, বগুড়া-৩ আসনে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন এবং বগুড়া -৫ আসনে সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজের নাম এসেছে।
অনেকেই বলছেন বগুড়া-৬ (সদর) বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে তারেক রহমান নিজেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ ৫ প্রার্থীর নাম বুধবার রাজনৈতিক সচেতন মহলে আলোচনার বিষয় ছিল।
এ প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোহিত তালুকদার বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফোন দিয়েছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমি সেই ফোন রিসিভ করতে পারিনি। পরে জেনেছি তিনি আমাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
বগুড়া-৪ আসনে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন এবারের নির্বাচন সহজ হবে না। ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। নারীপুরুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন থেকে কাজ করতে হবে। বগুড়া বলে হেলা করা যাবে না। সবাইকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের কাজ করতে হবে।
বগুড়া-১ আসনে সাবেক এমপি আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাধারণত স্কাইপিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন কিন্তু গতকাল তিনি তাকে ফোন করেছিলেন, তিনি এলাকার অবস্থা জানতে চেয়েছেন। কীভাবে ভোট করবেন ভোট করার পলিসি কি বিস্তারিত জানতে চেয়েছে এবং কাজ করতে বলেছেন। তিনি বিশাল বিজয় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন।
বগুড়া-৫ আসনের সাকে সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফোন করে বলেছেন, আপনি সিনিয়র নেতা, জুনিয়র নেতাদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করেন সেই সঙ্গে অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখবেন।
মন্তব্য করুন