১২০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে বনলতা গার্মেন্টসের চার পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত।
জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে অর্থঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুজাহিদুর রহমান গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ড. শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন বনলতা গার্মেন্টস লিমিটেড, বনলতা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও বেনা বিথি ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মৃদুল চক্রবর্তী, পরিচালক শঙ্কর সেন গুপ্ত, পরিচালক নিবা চক্রবর্তী ও পরিচালক অলক সেন গুপ্ত।
ঋণখেলাপির অভিযোগে ২০১৭ সালে বনলতা গার্মেন্টস, বনলতা অ্যাপারেলস ও বেনা বিথি ফ্যাশন ওয়্যারের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে জনতা ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ করপোরেট ব্রাঞ্চ, চট্টগ্রাম শাখা। শুনানি শেষে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর ১০৭ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকা প্রদানের জন্য ব্যাংকের অনুকূলে ডিক্রি প্রদান করেন।
ডিক্রির সমুদয় টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়; কিন্তু টাকা পরিশোধ না করায় জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল একটি জারি মামলা করেন। পরে ডিক্রিদার ব্যাংকের কাছে বনলতা গার্মেন্টসের মালিকদের বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেন আদালত; কিন্তু আগ্রহী ক্রেতা না পাওয়ায় ওই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
বন্ধককৃত সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য ৮ দশমিক ৮৫ কোটির বেশি নয়। এই টাকা সমন্বয় করার পরও ডিক্রিদার বনলতা গার্মেন্টেসের মালিকদের কাছে ১২০ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে।
গতকাল এ বিষয়ে শুনানিতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়। বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে আদালত শুনানি গ্রহণ করে চার পরিচালকের বিরুদ্ধে ৫ মাসের আটকাদেশ দিয়ে পরোয়ানা জারি করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করার পর এই আটকাদেশ কার্যকর হবে বলে সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন