অভিভাবকরা মেয়েদের বাল্যবিয়ের জন্য জন্মনিবন্ধন বারবার পরিবর্তন করেন। ‘বাল্যবিয়ের কারণ ও সামাজিক অভিঘাত’ বিষয়ক গবেষণা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেইলি স্টার ভবনে ওই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ তথ্য তুলে ধরেন পরিষদের অ্যাডভোকেসি পরিচালক জনা গোস্বামী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আইন থাকলেও বাস্তব অবস্থার কারণে তা প্রয়োগ করা যায় না। কাজিরা তাদের সুযোগ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাল্যবিয়ে দেন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বাল্যবিয়ে দিলে কন্যা উপবৃত্তি পাবে না, এমন শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে সঙ্গে বাল্যবিয়ে বন্ধে বহমান সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপনে বলা হয়, ৮টি বিভাগের ৩৭টি জেলা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ২ হাজার ৬০ জনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাল্যবিয়ে দেওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে নিম্নবিত্তের হার সবচেয়ে বেশি। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতেও বাল্যবিয়ের হার প্রায় এক-চতুর্থাংশ, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
মন্তব্য করুন