চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভা এলাকায় আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে মসজিদ, কবরস্থান, পুকুর এবং মানুষের বতসভিটায় চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফটিকছড়ি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ফটিকছড়ি থানা পুলিশ, ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা পৃথকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাঁশের বেড়া দিয়ে শতবর্ষী পথটি বন্ধ করে দেওয়ার পর এ নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফটিকছড়ি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম সিরাজুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে তিনি স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বশর, মাহাবুল আলম, জানে আলম এবং মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মো. খোরশেদ আলমকে দায়ী করেছেন।
সিরাজুল ইসলামের অভিযোগ, স্থানীয় একটি পুকুরের ব্যবহার, মসজিদ এবং কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য পূর্বপুরুষরা সড়কটি ব্যবহার করে আসছিলেন। এলাকার শতাধিক লোক প্রতিদিন পুকুরটি ব্যবহার করেন। ওই দাগে সড়ক এবং বসতভিটা ঘিরে ফটিকছড়ি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের স্ট্যাটাস কো (স্থগিতাদেশ) আদেশ রয়েছে। এখন আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারাই সড়কটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার আমি একটি কাজে বাসার বাইরে ছিলাম। এ সময় আবুল বশর, মাহাবুল আলম, জানে আলম ও খোরশেদ আলম সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ওসি কাজী মাসুদুর রহমান বলেন, দুপক্ষের মধ্যে জায়গা জমি-সংক্রান্ত মামলাও চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম, গতকালও ফোর্স পাঠানো হয়েছে। সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। আমরা তাদের থানায় ডেকেছি।
মন্তব্য করুন