হাসান আজাদ
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ০১:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দাম নির্ধারণে সেপ্টেম্বরে যাচ্ছে প্রতিনিধিদল

নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি
দাম নির্ধারণে সেপ্টেম্বরে যাচ্ছে প্রতিনিধিদল

কম দামে বিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। নেপাল জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এ বিদ্যুৎ আমদানি হবে। তবে এখনো দাম নির্ধারণ হয়নি। বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করতে আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেপাল যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, নেপাল থেকে আপাতত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। সেপ্টেম্বরে নেপালে গিয়ে দাম ঠিক করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়েও আলোচনা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ভৌগোলিক সংযোগ না থাকার কারণে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে এ বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারতের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল। এ জন্য গত ১ জুন ভারত তাদের সঞ্চালন লাইন ব্যবহারে নেপালকে অনুমতি দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচন্ডের মধ্যে আলোচনার সময় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৫-১৬ মে ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ভারতকে বিদ্যুৎ বাণিজ্য-সংক্রান্ত ত্রিদেশীয় চুক্তিতে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে বাংলাদেশ ও নেপাল। প্রাথমিকভাবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানির জন্য ব্যবহৃত বহরমপুর-ভেড়ামারা হাই-ভোল্টেজ ক্রস-বর্ডার ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে আসবে। নেপালের লিখু-৪ প্রকল্প থেকে এ বিদ্যুৎ আসবে। ২৫ বছরের জন্য এ চুক্তি করা হবে। আর ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৪-৫ টাকা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। এ ছাড়া নেপালের বিদ্যুৎ আনতে আরও দুটি প্রস্তাবিত রুট রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো নেপালের আনামারী থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের পঞ্চগড় পর্যন্ত। এর মোট দৈর্ঘ্য ৪৯ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত এই ট্রান্সমিশন লাইনটি নির্মাণ করতে হলে ২৪ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করতে হবে। অন্যেটি হলো নেপালের আনামারী থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত। এই রুটে ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ডের ৩৩ কিলোমিটার ব্যবহার করতে হবে। আর ট্রান্সমিশন লাইনের মোট দৈর্ঘ্য ৮৩ কিলোমিটার। জানা গেছে, ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ট্রান্সমিশন চার্জ ও সার্ভিস ফি দিতে হবে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসিকে (ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়া কোম্পানি)। প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, ইউনিটপ্রতি ট্রান্সমিশন চার্জ ৪০-৪৫ পয়সা (ভারতীয় রুপি) হতে পারে। এ ছাড়া ৪ থেকে ৭ পয়সা পরিষেবা চার্জ যুক্ত হতে পারে। নেপালের এনইএ, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ভারতের এনটিপিসির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১০

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১১

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১২

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১৩

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৪

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৫

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৬

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৭

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৮

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৯

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

২০
X