সুশোভন অর্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ এএম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নিয়োগ পদোন্নতির মূলমন্ত্র ছিল আ.লীগ-গোপালগঞ্জ

স্বজনপ্রীতি
নিয়োগ পদোন্নতির মূলমন্ত্র ছিল আ.লীগ-গোপালগঞ্জ

আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে পুলিশ নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের মূলমন্ত্র ছিল গোপালগঞ্জের বাসিন্দা অথবা আওয়ামী লীগ করার শর্ত। এই অলিখিত শর্তের কারণে অনেক যোগ্য মেধাবী কর্মকর্তা পদোন্নতি ও পদায়ন বঞ্চিত হন। নিয়োগ পাননি অনেক মেধাবী মুখ। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, কিছু উচ্চাভিলাষী অপেশাদার পুলিশ সদস্য পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এতে বাহিনী হিসেবে পুলিশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৩৭তম ব্যাচের মোট ১ হাজার ১৭৪ জন ক্যাডেট এসআই। তাদের মধ্যে ৮৬ জনের বাড়িই গোপালগঞ্জ। জেলাভিত্তিক হিসেবে এই ব্যাচে গোপালগঞ্জ থেকেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ জেলার জনসংখ্যা অনুযায়ী এই জেলায় ১০ জনেরও কম নিয়োগ পাওয়ার কথা। অথচ ৩৭তম ব্যাচে দেশের ২৫টি জেলা থেকে একজনকেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোপালগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ—এই ছিল পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি আর ভালো পদায়নের মূলনীতি। চলতি বছরের শুরুর দিকেও পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৭টি পদে গোপালগঞ্জের কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি রুহুল আমিন, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি দিদার আহমেদ, সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান। শুধু গোপালগঞ্জ নয়; বৃহত্তর ফরিদপুরে বাড়ি এমন কর্মকর্তারা গত ১৫ বছরে বিশেষ সুবিধা ভোগ করে গেছেন। পুলিশের নীতিনির্ধারণী পদগুলোতে নিয়োগ হয়েছে হয় শুধু ভৌগোলিক আঞ্চলিকতায়, নয়তো দলীয় বিবেচনায়।

দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিদায়ী আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে দুই দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। যদিও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তের কাছে পরাজিত হয়েছেন। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বাবা প্রয়াত আবদুল মান্নান চৌধুরী শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

দায়িত্বশীল পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৫ বছরে পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি ও ভালো পদায়নের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ই প্রধান বিবেচ্য বিষয় ছিল ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা আওয়ামী পরিবারের সন্তান আর অপরটি হচ্ছে ‘বাড়ি কোথায়’। কারও বাড়ি বৃহত্তর ফরিদপুর, বিশেষ করে গোপালগঞ্জে হলে তিনি নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছেন। এর বাইরে আরেকটি মাপকাঠি ছিল ‘আনুগত্য’। গত বিএনপি (২০০১-২০০৬) সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন সময় সরকার বা আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন তারাও সুবিধাভোগীদের কাতারে ছিলেন। কাগজ-কলমে মূল্যায়নের মাপকাঠি হিসেবে দক্ষতা, যোগ্যতা আর সততার কথা বলা হলেও বাস্তবে এসব বিবেচনায় আসত অনেক পরে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানের পুলিশের সদস্যসংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার প্রায়। তার মধ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে শুধু কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৯২৫ জন। উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার। অর্থাৎ মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের অর্ধেকের বেশিই নিয়োগ পেয়েছেন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে। এ নিয়োগগুলোর মূল বিবেচ্য বিষয় ছিল দলীয় আনুগত্য। মন্ত্রী-এমপিরা শত শত ডিও লেটারে তদবিরের তালিকা দিয়েছেন বছরের পর বছর ধরে।

সাবেক ছাত্রলীগ ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছেন পুলিশের এমন কর্মকর্তাদের একটা দল মূলত পুরো পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া হিসেবে পরিচিতি পান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হারুনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। এর আগে নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকা অবস্থায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ ‘পারটেক্স’-এর কর্ণধার এম এ হাশেমের ছেলের স্ত্রীকে শিশুসন্তানসহ অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে মাদকের মামলা দেন। বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিল। এতে হারুনের পদোন্নতি, সেরা পদায়ন কোনোটাই আটকে থাকেনি। তিনি ঠিকই ব্যাচে সবার আগে ডিআইজি পদোন্নতি পেয়েছেন। ডিআইজি হয়েই পোস্টিং পেয়েছেন ডিবির প্রধান হিসেবে।

২০ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মোল্যা নজরুল ইসলাম, ২৪ ব্যাচের প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার পুলিশের নীতি নির্ধারণী বিষয়গুলোতে প্রভাব রাখতেন। এরা সবাই ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এদের মধ্যে প্রলয় জোয়ার্দার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যখন পুলিশে ফেরত আসেন, তখন মাঠপর্যায়ের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই একের পর এক ভালো পদায়ন দেওয়া হয় তাকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষায়িত সিটিটিসি ইউনিট করার পর ডিসি হিসেবে প্রলয়কে বদলি করে আনা হয়। প্রলয় কুমার জোয়ার্দার সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় একটা সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে, যে সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিতেন মনিরুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম এবং এদের আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে কাজ করতেন হাসান উল হায়দার। সেখানকার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রলয় ছিলেন এসএজির (স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ) ডিসি। অথচ স্যারের মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা তখন একেবারেই জিরো। তার রুমে সারাদিন রাজনৈতিক তদবিরের লোকজন বসে থাকত। কিছুদিন পরই তাকে বদলি করা হলো নরসিংদীর এসপি হিসেবে। কিন্তু তিনি মিন্টো রোডে সিটিটিসি ভবনে তার আগের রুমটার দখল ছাড়েননি। তিনি নরসিংদী গেলে রুমটা তালা মেরে যেতেন। আবার ছুটিতে ঢাকায় এলে পলিটিক্যাল লোকজনের বাজার বসান। তখন সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব দেখেও কিছু বলেননি।

২০ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলাম হাঁটছিলেন এমপি হওয়ার দিকে। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগে রীতিমতো নিজের গ্রুপ খুলে বসেছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের সেই গ্রুপকে ডাকা হয় ‘এসপি লীগ’ হিসেবে। কয়েকটা খুনের অভিযোগ এলেও নুরুল ইসলাম নিজ ক্ষমতাবলে সামলে নিতেন। সর্বশেষ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন তিনি।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পুলিশে সুযোগ নেওয়া আরেক আলোচিত কর্মকর্তা হচ্ছেন বিপ্লব কুমার সরকার। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার হিসেবে কর্মরত ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা বিপ্লব এই সরকারের পুরোটা সময়জুড়েই ভালো পদায়ন পেয়ে আসছেন। ঢাকা মহানগরে বিএনপির যে কোনো বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি থাকলেই দেখা মিলত বিপ্লবের। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে বিপ্লবের কুখ্যাতি ছিল ডিএমপিতে। এরপর আরেক গায়েবি মামলা আর গণগ্রেপ্তারেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সেখানেও বিপ্লব তালিকা ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন।

ঢাকার গোপালগঞ্জের ওসিদের দাপট

গোপালগঞ্জ অথবা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন কোনো ব্যক্তি ঢাকার কোনো থানার ওসি হয়েছেন এমন নজির গত ১৫ বছরে দেখা যায়নি। পুলিশের নন ক্যাডার কর্মকর্তাদের নেতা হয়ে বসে ছিলেন বিএম ফরমান আলী, মাজহারুল ইসলাম কাজলসহ কয়েকজন। ফরমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। আর মাজহারুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।

ফরমান আলী দেড় যুগের বেশি সময় ধরে চাকরি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশে। ঘুরেফিরে কাটিয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন থানার ওসি হিসেবে। একইভাবে ঢাকার থানাগুলোতে ওসিগিরি করেই গত এক যুগ কাটিয়েছেন মাজহারুল ইসলাম। সর্বশেষ গুলশান থানার ওসি ছিলেন তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যখন শেখ হাসিনার পতন হয়, তখন ঢাকার ২০টি থানার ওসি পদে বসে ছিলেন গোপালগঞ্জের লোকজন। এ ছাড়া পরিদর্শক তদন্ত ও অপারেশনও ছিলেন ওই এলাকার। তারাই বেপরোয়াভাবে গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়।

হতাশায় অনেক কর্মকর্তা

পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, দলীয়করণের কারণে পুলিশে এখনো নৈতিক মনোবল ফিরে আসেনি। কারণ বিগত সরকার পুলিশ বাহিনীকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে সর্বেসর্বা উল্লেখ করে তাদের দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল। গণঅভ্যুত্থানে মনোবল হারানো পুলিশের নৈতিক মনোবল বাড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে বর্তমানে সেনা কর্মকর্তাদের দুই মাসের জন্য বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা হলো পুলিশের সাবেক দুই আইজি গ্রেফতার হয়েছেন। সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবসহ ২২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

নতুন আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি, সিআইডিসহ বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আনা হলেও মাঝারি পর্যায়ের পদগুলোতে এখনো স্বৈরাচারের সহযোগীরা রয়ে গেছে। নামমাত্র সংযুক্তি ও বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ছাত্র-গণহত্যায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। ফলে অনেকের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। পুলিশে নানামুখী সংস্কার চলছে। অনেক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া হয়েছে। আগে অবসর দেওয়া বেশ কয়েকজনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ধীরে ধীরে পুলিশে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে এবং পুলিশের সক্ষমতাও বাড়ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহাসড়কে ঝুমকার মতো ঝুলছে সোনালু ফুল

পলাতক, পদত্যাগ, বরখাস্ত ও অনুপস্থিত শিক্ষকদের তথ্য তলব

পাকিস্তানে হামলাকে ‘অপারেশন সিঁদুর’বলছে কেন ভারত?

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী এক মুসলিম দেশ

পাকিস্তানে হামলার পর ভারতীয় রুপির পতন

পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল

পাকিস্তান সেনাদের হামলায় তিন ভারতীয় নিহত

পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে এয়ার ইমার্জেন্সি জারি

১৯৭১ সালের পর প্রথমবার এমন হামলা চালিয়েছে ভারত

এক রাতে ৩ রাফায়েল খোয়াল ভারত

১০

ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ শেহবাজ শরিফের

১১

বায়ুদূষণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ঢাকা

১২

০৭ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে ভারত

১৪

পাকিস্তানের পাল্টা হামলা, ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ

১৫

পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ফোন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

১৬

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ

১৭

০৭ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে পাকিস্তান

১৯

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

২০
X