শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আলী ইব্রাহিম
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ এএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অর্থ পাচারে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে তদন্ত

অর্থ পাচারে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে তদন্ত

ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সন্দেহে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে তার ও স্বামী-সন্তানের আয়কর নথি চেয়েছে সংস্থাটি। তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। ধানসিঁড়ি নামের এক বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং সর্বশেষ ভাইস প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হয়েছেন। আর বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বিয়ে করার পর থেকে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন শমী কায়সার। আওয়ামী লীগের আশীর্বাদে ধানসিঁড়ি নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার ব্যানারে তিনি হয়ে যান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক; কিন্তু তার টার্গেট ছিল এফবিসিসিআইয়ের বড় পদ। আর সংস্থাটির বড় পদে যেতে হলে হয় কোনো অ্যাসোসিয়েশন বা কোনো চেম্বার বডির সভাপতি হতে হবে। নতুবা চেম্বার গ্রুপ বা অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মনোনীত হতে হবে। আর বড় পদের অংশ হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ইক্যাবের সদস্য হন। আর রাতারাতি প্রভাব খাটিয়ে সংগঠনটির সভাপতির পদও বাগিয়ে নেন। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। এফবিসিসিআইয়ের সর্বশেষ কমিটিতে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আর পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি অর্থ-বিত্তের মালিকও হয়ে যান তিনি। এরই মধ্যে তার দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

এনবিআর সূত্র জানায়, অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধানের স্বার্থে সম্প্রতি শমী কায়সারের আয়কর নথি চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে সিআইডি। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ পাচারের সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে শমী কায়সার ও তার স্বামী-সন্তানের আয়কর নথিও চেয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে তার ইস্কাটন ও গুলশানের ঠিকানার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব আয়কর নথি একান্ত প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে সিআইডির চিঠিতে।

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের সদ্য সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের ব্যাপক অভিযোগও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও শমী কায়সার ইক্যাবের সভাপতি ছিলেন। গত ১৪ আগস্ট তিনি ই-ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হন শমী কায়সার। অভিযোগ রয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধানসিঁড়ি নামে লাউঞ্জটি শমী কায়সারের নামে ইজারা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও তার নামে ইজারা নবায়ন করার অভিযোগ উঠেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকার খাবারের ঝালে মজেছেন ইরানি ফাকরি

শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে সরকারের নতুন কৌশল

পুনরায় দুঃসংবাদ পেলেন বিএনপির এক নেতা

সেই বিচারকের মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার

তারেক রহমানের জন্মদিনে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিউমুরিং টার্মিনালের চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ

সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শুক্রবার 

আ.লীগের ৫ শতাধিক সমর্থকের নামে চার মামলা, গ্রেপ্তার ২২

নির্বাচনের আগে ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

স্ত্রী হারালেন তোফায়েল আহমেদ

১০

রাতে ৫৬ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

১১

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে গ্রেনেড, বাড়িতে নিয়ে যান কৃষক

১২

ইতালি যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জের দুই যুবকের মৃত্যু

১৩

জিম্বাবুয়ের কাছে লঙ্কানদের লজ্জার পরাজয়

১৪

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১৫

গভীর রাতে সাংবাদিক-ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

১৬

২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফের ড্র চূড়ান্ত

১৭

ব্রাকসু নির্বাচনে তপশিল পরিবর্তন, জানা গেল ভোটের নতুন তারিখ

১৮

নিউইয়র্ক এলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি মামদানির

১৯

শীত কবে থেকে বাড়তে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

২০
X