নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানকে গুলি করে হত্যার মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ২০ জনের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী আমীনুর রশীদ খান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, গোয়েন্দা, সিআইডি, পিবিআইসহ বিভিন্ন দপ্তরে এই আবেদন করেন।
আবেদনে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, আসাদুজ্জামান, জুনায়েদুল হক ভূঁইয়া, ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মাসুদ পারভেজ, ফারুক খান, সিরাজ মিয়া, বাদল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম রিপন, সুমন, আমান উল্লাহ ভূঁইয়া, রাকিবুল ইসলাম ইরফান, কাউছার মিয়া, শাহাদত হোসেন, সেলিম, সজিব মোল্লা, আরমান পাশা, শাওন খান ও বাবুল মিয়াকে এ মামলায় আসামি করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
মামলার বাদী আমীনুর রশীদ খান বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এমপি মোহন সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি না করে বরং খুনিদের শেল্টার দিয়ে আসছেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর এমপির ভাই জুনো খুনি আসাদের বাড়িতে খিচুড়ি-মাংস খেয়ে আমোদ-ফুর্তি করে। এতে প্রমাণিত, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মোহন ও তার অনুসারীরা জড়িত। তাই তাদের আসামি হিসেবে দেখতে চাই।
এ বিষয়ে এমপি জহিরুল হক বলেন, হারুনুর রশীদ খান ছিলেন আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক। তার মৃত্যুতে আমিও অভিভাবক হারিয়ে ব্যথিত। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি। এমপি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্র করছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশীদ খান। হামলার ঘটনার দুদিন পর আমিনুর রশীদ খান বাদী হয়ে পুটিয়া এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে চেয়ারম্যানের অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে ২ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি। হৃদরোগ, প্রস্রাবে ইনফেকশন ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ৭ মে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ মে রাতে অবস্থার অবনতি হলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) নেওয়া হয়। ৩১ মে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন