কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে একের পর এক নাশকতা ও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ট্রেন। এসব ঘটনায় জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে রেলওয়ের। ট্রেনে নাশকতা ও দুর্ঘটনা রোধে নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগরের আবদুল্লাহ আল কাফি (১৮) তৈরি করেছেন ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’।
কাফি পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। তিনি পশ্চিম মাধনগর জোয়ানপুর গ্রামের কৃষক মো. মাহবুব আলম হোসেনের একমাত্র ছেলে। এই সাফল্যে এলাকাবাসী ও তার পরিবারের সদস্যরা বেশ খুশি। তার ডিভাইসটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা গেছে, তার ডিভাইসটি ব্যবহারের মাধ্যমে রেললাইনের কোথাও ভেঙে গেলে বা কাটা হলে, সিগন্যাল বেজে উঠবে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টেশন মাস্টারের কাছে ফোন চলে যাবে। ফলে ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এই ডিভাইসটি উদ্ভাবনে তার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ডিভাইসটি আরও শক্তিশালী করতে গবেষণার প্রয়োজন।
কাফি জানান, বেশ কিছুদিন চেষ্টার পর এতে সফল হন তিনি। প্রতিটি স্টেশনে একটি কন্ট্রোল বক্স স্থাপন ও রেললাইনের সঙ্গে ওয়ারিংয়ে খরচ পড়বে মাত্র ১০ হাজার টাকা। ওই স্টেশনের আওতায় রেললাইন কাটা পড়লে বা ফেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল বক্সের অ্যালার্ম বাজবে। একই সঙ্গে অ্যালার্ম বক্সে থাকা মোবাইল থেকে স্টেশন মাস্টারের মোবাইলে যাবে কল।
তার বাবা-মা জানান, সন্তানের এই আবিষ্কারে তারা গর্বিত। ছেলের তৈরি এই ডিভাইস দেশের ও জনগণের কাজে লাগলেই তারা খুশি।
নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান রকি জানান, এলাকাবাসী ডিভাইসটি দেখতে ভিড় করছেন। রেলযাত্রাকে নিরাপদ করতে ডিভাইসটি পরীক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মো. মমিন উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, তিনি এ ডিভাইসের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।