বিদায়ী বছরের শুরুতেই অর্থনীতি টালমাটাল হতে থাকে লাগামছাড়া ডলারের দরের কারণে। খোলাবাজারে দাম ঠেকে ১২৯ টাকায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বছরজুড়ে আনতে পারেনি নিয়ন্ত্রণ। আমদানিজনিত এলসিতেও ডলারের জোগান দিতে ব্যর্থ হয় অনেক ব্যাংক।
বেশি ডলার খরচে দেশ বাধ্য হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও তলানিতে নেমে আসে। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যও কমে যায় উদ্বেগজনক পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশকে মাঝারি ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কার তালিকায় স্থান দেয়।
বছর শেষে আইএমএফ ও এডিবির ঋণের অর্থ ডলার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ হওয়ায় সাময়িকভাবে রিজার্ভ কিছুটা বাড়ে। তবে তা আকু পেমেন্টের পরই ফের নিচে নেমে যাবে।
বাফেদা ও এবিবির বেঁধে দেওয়া দর অনুযায়ী রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং আমদানিতে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও খোলাবাজারে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় ওঠানামা করছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম-৬) অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, দেশের অন্যতম সমস্যা অর্থপাচার। নির্বাচনি বছরে এর পরিমাণ সবসময়ই বাড়ে। অর্থনীতির অন্যতম প্রধান দুই সূচক রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়ায় ডলার সংকটের এই টানাপোড়েন চলেছে।