

আজ থেকে পঁচিশ বছরেরও বেশি সময় আগে বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ অভিনীত বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ মুক্তি পেয়েছিল। এ সিনেমার মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রের একজন সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং সিনেমায় প্রথম প্লে-ব্যাক করার সুযোগ হয় ওপার বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর। ফেরদৌসের লিপে নচিকেতা চক্রবর্তীর গাওয়া ‘সোনালি প্রান্তরে’ গানটি সে সময় দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই থেকে আজকের প্রজন্ম পর্যন্ত এই গান এখনো সমান জনপ্রিয় বলা চলে।
তবে বাংলাদেশে কখনো কোনো অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে ফেরদৌস-নচিকেতার একসঙ্গে হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। গত শুক্রবার ১২ জুলাই রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্ফি থিয়েটারে তরুণদের জন্য সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিল্পীর পাশাপাশি সংগীত পরিবেশন করেন নচিকেতা চক্রবর্তী। এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নায়ক, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। নচিকেতা যখন সংগীত পরিবেশন করছিলেন তখনই মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয় ফেরদৌসকে।
আর এরই মধ্য দিয়ে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পর ঢাকায় একই মঞ্চে দাঁড়ানোর সুযোগ হলো নচিকেতা ও ফেরদৌসের। সময়টা ফেরদৌসের কাছে ঐতিহাসিক এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার মতোই হয়ে উঠেছিল। ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘যেদিন অনুষ্ঠান ছিল সেদিনই আমি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরি। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারব কি না। কারণ আকাশের পরিস্থিতিও ভালো ছিল না। কিন্তু শেষমেশ অনুষ্ঠানে গেলাম এবং গিয়ে দেখলাম যে, তরুণদের উপস্থিতিতে ভরপুর থিয়েটার। মূলত তরুণদের অনুপ্রেরণা দিতেই আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। তবে নচিকেতা দাদার সঙ্গে যেহেতু সম্পর্কটা ভীষণ আবেগের এবং হঠাৎ বৃষ্টি দিয়েই আমাদের শুভ পথচলা, তাই তার পাশে দাঁড়িয়ে হঠাৎ বৃষ্টির কথা বিশেষত ‘সোনালি প্রান্তরে’ গানটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে আবেগাপ্লুত হয়ে যাচ্ছিলাম। সেই কবে এই গানের জন্ম। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম এখনো এই গান উপভোগ করছে। বিষয়টি সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগার।’ নচিকেতা চক্রবর্তী বলেন, ‘ধন্যবাদ ফেরদৌসকে। ধন্যবাদ আয়োজকদের। মাঝে এতটা বছর পেরিয়ে গেছে ভাবলেই বিস্মিত হই। এটি দুই যুগ আগের গল্প। সত্যি আমি আনন্দিত।’
এদিকে আসছে ২৬ জুলাইও ঢাকায় সংগীত পরিবেশন করবেন নচিকেতা। ফেরদৌস অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সবশেষ সিনেমা হচ্ছে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন পূর্ণিমা। ফেরদৌস অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল ছটকু আহমেদের ‘বুকের ভেতর আগুন’। তবে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ দিয়ে তিনি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।