সময়ের আলোচিত গায়িকা কেয়া চৌধুরী। তবে তিনি একজন ডেন্টিস্টও বটে। দুই পেশাতেই তার ভীষণ মনোযোগ। কোনোটার চেয়ে কোনোটার প্রতি তার হৃদয়ের টান কম নয়। চিকিৎসা তার পেশা, মানুষকে সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে নিজে সুখ অনুভব করেন। আর শ্রোতা-দর্শককে গান শুনিয়ে নিজে শান্তি পান কেয়া।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাকিলা জাফরের কণ্ঠে ‘ভুলিতে পারি না তারে ভোলা যায় না’ গানটি এক বহুল শ্রোতাপ্রিয় গান। এ গান গাওয়া যে কোনো শিল্পীর পক্ষে সহজ কোনো বিষয় নয়। কারণ গানটি অনেক কঠিন একটি গান।
কঠিন এ গানটি এরই মধ্যে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে কেয়া শ্রোতা-দর্শককে গেয়ে শুনিয়েছেন। গানটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করার পর, এই গান গাইবার সাহস করার জন্য কেয়া প্রথমে সাধুবাদ পান। এরপর গানটি গাওয়ার জন্যও ভীষণ প্রশংসিত হন। নানানজন তার কণ্ঠে এই গান শুনে প্রশংসা করেন।
কেয়া চৌধুরীও ভীষণ অনুপ্রাণিত হন। বললেন, ‘শ্রদ্ধেয় শাকিলা জাফর ম্যাডাম আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন শিল্পী। একজন গায়িকা হিসেবে তিনি অসাধারণ, তার পার্সোনালিটিও আমাকে মুগ্ধ করে। বৈশাখী টিভিকে ধন্যবাদ আমাকে তাদের চ্যানেলে এই গানটি গাইবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। যন্ত্রশিল্পীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। গানটি প্রচারের পর শ্রোতা-দর্শকের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছি আমি, তাতে সত্যিই অভিভূত। আমি ভাবতেও পারিনি যে এতটা সাড়া পাব।’
কেয়ার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহরে। গানে তার হাতেখড়ি মৃদুল দাসের কাছে। তারপর মিহিল লালা ও মোস্তফা কামালের কাছে তালিম নিয়েছেন। বর্তমানে সুজিত মোস্তফার কাছেও তালিম নিচ্ছেন। কেয়া যখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তেন তখন তার বাবা জয়দেব দাস কিডনি জটিলতায় মারা যান। তার মা আদরী দাস, চট্টগ্রামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। কেয়ার স্বামী শুভ চৌধুরী ও তাদের একমাত্র সন্তান স্নেহা। উল্লেখ্য, ‘ভুলিতে পারি না তারে...’ গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন শুভ্র দেব।