সাহসী উচ্চারণে আবারও খবরের শিরোনামে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ব্যক্তিজীবনে লড়াকু এ নারী বরাবরই ছিলেন আপসহীন, স্পষ্টভাষী। এবার নিজের অতীত সম্পর্কের গোপন দ্বিধা ভাঙলেন তিনি। স্বীকার করলেন, ‘বিয়ে ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’। কালবেলাকে এক সাক্ষাৎকারে তীব্র আবেগ আর আত্মবিশ্লেষণে ভরা এ স্বীকারোক্তি যেন ঝড় তুলেছে বিনোদন অঙ্গনে।
২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী সনেটকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসারে আসে কন্যাসন্তান সায়রা। কিন্তু দাম্পত্য কোলাহল যেন পিছুই ছাড়ছিল না বাঁধনের। অবশেষে ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন তারা।
বিচ্ছেদের পর মেয়ে সায়রাকে নিয়েই সংসার অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। প্রায় এক দশক ধরে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে মেয়েকে বড় করে তুলেছেন তিনি। মাঝে অনেক ঝড়ঝাপ্টা গেলেও সেসব পাত্তা না দিয়ে মেয়েকে নিয়ে সুখেই জীবন পাড়ি দিচ্ছেন বাঁধন।
জীবনের পরীক্ষায় কখনো ফেল করেছেন কি না, কালবেলার এক সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্ন করা হলে সে সময় অভিনেত্রী বলেন, আমি ভালো ছাত্রী ছিলাম। সবসময় ফার্স্ট গার্ল ছিলাম। এমনকি মেডিকেলেও আমি প্রথম ছিলাম। আমি মেডিকেলে ডেন্টাল বিভাগে লেখাপড়া করেছি। আমি যখন মিডিয়ার কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম, তখন ইচ্ছা ছিল চেম্বার দেব আমার বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর। তখন তো আমার বিয়েটাই ভুল হিসেবে প্রমাণিত হলো। তারপর আমার আর ওই সুযোগটা হয়নি কিন্তু ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে চেম্বার করার। এখানে বলা যেতে পারে আমি ফেল করেছিলাম। এবারের ঈদে মুক্তি পায় বাঁধন অভিনীত এবং সানী সানোয়ার পরিচালিত সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। এতে প্রথমবারের মতো একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’-এ বাঁধনের পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, নিবিড় আদনান, হাসনাত রিপন, সরকার রওনক রিপন, শিল্পী সরকার অপু, এ কে আজাদ সেতু, ইশিকা সাকিন ও সৈয়দ এজাজ আহমেদ।
মন্তব্য করুন