‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর)। দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মহা সমারোহে চলছে সিনেমাটি। রাজধানীর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ ঘুরে দেখা গেছে সিনেমাটি দেখতে দর্শকের ভিড়। শুধু দর্শকই নয়, প্রেক্ষাগৃহে এটি উপভোগের পর আবেগাপ্লুত হয়েছেন তারকারাও।
মুক্তির দিন ঢাকার বাইরে যশোর, চট্টগ্রাম ও সিলেটের হল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিনেমাটি দেখতে আসছে বেশিরভাগ তরুণ প্রজন্মের দর্শক। ঢাকার দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার বিষয়টি তাদের ছবিটি দেখতে আগ্রহী করে তুলেছে। হল থেকে বেরিয়ে সিনেমাটি নিয়ে মুগ্ধতাও ঝরেছে প্রত্যেকের কণ্ঠে। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
রাজধানীর মিরপুর-১০ থেকে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখতে আসা সাব্বির আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘মুজিব বায়োপিক অনেক দেরিতে হয়েছে, আরও আগে হলে ভালো হতো। ১৫ আগস্টের দৃশ্য হৃদয়বিদারক ছিল। জীবন্ত বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পেলাম।’ ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল অর্ণি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি আসলে কল্পনাও করিনি আমাকে এই সিনেমা কাঁদাবে। খুব ইমোশনাল হয়ে গেছি সিনেমার শেষ দিকে। নিজের কান্না চেপে রাখা কষ্ট হয়ে গেছে। কী দোষ করেছিল ছোট্ট রাসেল? কেন এভাবে তাকে মেরে ফেলল? আমি বলব এই সিনেমা সবার দেখা উচিত।’ দেশের প্রথম বায়োপিক দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে নূর আমিন ফিরে গেলেন সিনেমা না দেখেই। এ সময় কালবেলার সঙ্গে আলাপ হয় তার। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছি মুক্তির দিন সিনেমাটি দেখব। এসে দেখি টিকিট নাই। এজন্য না দেখেই ফিরে যাচ্ছি।’
কথা হয় রংপুর শাপলা সিনেমা হলের ম্যানেজার সরোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানুষের যে আবেগ-উচ্ছ্বাস লক্ষ করলাম, সেটা অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি পরবর্তী শোগুলোতে দর্শক সমাগম আরও বাড়বে।’