একসময়ের টেলিভিশন নাটকের প্রিয়মুখ তিনি। অথচ তাকেই কি না অভিনয়ে আর দেখা যায় না! বলছিলাম ঐন্দ্রিলা আহমেদের কথা। তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের। তবে উপস্থাপনায় দেখা যায় ঐন্দ্রিলাকে। কয়েক বছর ধরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘পার্টনারশিপ অ্যানালাইন্স ম্যানেজার’ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এই সুন্দরী। ফলে চাইলেও অভিনয়টা নিয়মিত করতে পারেন না তিনি।
তবে চাকরিতে যোগদানের আগে দারুণ সব গল্পের নাটকে দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। বর্তমানে অভিনয়ে ঠিক সেভাবে দেখা না গেলেও উপস্থাপনাটা নিয়মিত করে যাচ্ছেন। গত ঈদুল ফিতরেও তিনি মাছরাঙা, এসএ টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। কয়েক বছর আগে মা দিবসের অনুষ্ঠানেরও উপস্থাপনা করেছেন তিনি। অভিনয়ে তিনি যেমন দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন, ঠিক তেমনি উপস্থাপনাতেও দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। বর্তমানে শুধু বাংলাভিশনে তার উপস্থাপনায় প্রচার হচ্ছে ‘আমাদের রান্নাঘর’ অনুষ্ঠানটি। গত তিন বছর ধরে তিনি এ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন।
তবে ঐন্দ্রিলা নিয়মিতই অভিনয়ের প্রস্তাব পান। অভিনয় এবং উপস্থাপনা প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, টিভি নাটক কিংবা শর্ট ফিল্মে অভিনয়ের জন্য নিয়মিতই প্রস্তাব আসে। যখন স্ক্রিপ্ট চাই, স্ক্রিপ্টও পাঠান তারা। কিন্তু আমার মনের মতো হয় না বিধায় কাজ করা হয়ে উঠছে না। আবার এটাও সত্যি যে, সেসব কাজ ছেড়ে দিয়ে আমার মন খারাপও হয় না। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে কাজ করারও প্রস্তাব আসে। ব্যাটে বলে মিলে গেলেই বিজ্ঞাপনে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, সত্যি বলতে কী—এখন তো বেশ কয়েক বছর ধরে আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। সেখানেও নিয়ম মেনে চলতে হয়। অফিস মেইনটেইন করেই কিন্তু আমাকে অভিনয় বা উপস্থাপনা বা বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সময় বের করতে হয়। তবে যাই করি না কেন, নিজের কাছে আগে ভালো লাগতে হয়। পরে না হয় দর্শকের কথা ভাবব। নিজের ভালো লাগলেই সে কাজটা করা যেতে পারে। ভালো না লাগলে নয়।’ সবশেষ ঐন্দ্রিলাকে সজলের বিপরীতে ‘প্রদীপ’ নামের একটি নাটকে দেখা যায়। ছয় বছর আগে রুবেল হাসানের পরিচালনায় অপূর্বর বিপরীতে ‘বিলাভড’ নাটকে বিরতির পর অভিনয়ে ফিরে আলোচনায় এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেই সময় টানা বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। এর মধ্যে ‘ফেইক লাভ’, ‘সাংসারিক ভালোবাসা’, ‘অপরাধী’, ‘আতঙ্ক’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ছোটবেলায় ঐন্দ্রিলা বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথম উপস্থাপনা করেন ছোটদের অনুষ্ঠান ‘হাসি খুশি’র। এরপর থেকে বিভিন্ন বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন তিনি।