কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০২:০৮ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ১১:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দারুণ লাগছে ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে বাংলাদেশেও খুব লেখালেখি হচ্ছে

দারুণ লাগছে ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে বাংলাদেশেও খুব লেখালেখি হচ্ছে

বলিউড সিনেমা ‘লাপাতা লেডিস’। নির্মাতা কিরণ রাওয়ের পরিচালনায় সিনেমার গল্পটি লিখেছেন বিপ্লব গোস্বামী। আমির খানের প্রযোজনায় এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উৎসবেও হয়েছে প্রশংসিত। মার্চের ১ তারিখে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমা ২৬ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আসে। আর ওটিটিতে এসেই অবাক করে দেয়। দারুণ সাড়া জাগানো সিনেমাটির কাহিনীকারের সঙ্গে কথা হয়েছে কালবেলার। লিখেছেন মহিউদ্দীন মাহি—

লাপাতা লেডিস নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। যেই সিনেমার গল্প আপনার লেখা। গল্পটি লেখার সময় কি ভেবেছিলেন এমন সাড়া পাবে?

ব্যাপারটি আসলেই অদ্ভুত হয়েছে। গল্পটি আমি যখন লিখেছিলাম, তখনই ভেবেছিলাম সিনেমার জন্য গল্পটি ভালো সাড়া ফেলবে। এখন মুক্তির পর দেখছি সবাই খুব প্রশংসা করছে। গল্পটি নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে কানাডার টরেন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এটি স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছে। এ ছাড়া লাপাতা লেডিস সিনেমাটি নিয়ে বাংলাদেশেও খুব লেখা লেখি হচ্ছে, যা আমার কাছে দারুণ লাগছে। কারণ বাংলাদেশের প্রতি আমার একটা ভালো লাগা আছে। আমরাতো একই ভাষার মানুষ।

গল্পটি নিয়ে আপনার একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়েছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই...

ভারতে স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের ওপর একটি কনটেস্ট হয়েছিল। যার শিরোনাম ছিল সিনেস্তান স্ক্রিপ্ট কন্টেস্ট (গ্লোবাল সার্চ ফর ইন্ডিয়ান স্ক্রিপ্ট রাইটার্স)। এটা মূলত ভারতীয় চিত্রনাট্যের খোঁজে এই প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশ-বিদেশের অনেকেই অংশ নেন। সেখানে বলা হয়, সেরা পাঁচজন চিত্রনাট্যকারকে তারা পুরস্কৃত করবেন। প্রতিযোগিতায় চার হাজার প্রতিযোগী অংশ নেন। সেখানে আমার স্ক্রিপ্টটা দ্বিতীয় হয়। এখানে বিচারকদের মধ্যে আমির খান, রাজকুমার হিরানি, জুহি চতুর্বেদী, অঞ্জুম রাজাবল্লি। যারা খুবই বিখ্যাত। এরপর সবাই যখন জানতে পারেন লাপাতা লেডিসের চিত্রনাট্যটি আমার লেখা। তখন সবার মধ্যেই গল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়।

আমির খান ও কিরণ রাওয়ের সিনেমায় কাজের সুযোগ কীভাবে আসে। এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনতে চাই...

আমির খান ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে কাজের সুযোগ আসলে আমার কাছে এসেছিল ওই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই। প্রতিযোগিতা শেষে একদিন আমির খান আমাকে নিমন্ত্রণ করেন এবং বলেন আমার স্ত্রী কিরণ রাও গল্পটি ডিরেকশন দিতে চায় আমি প্রডিউস করতে চাই। এরপর আমি অনেক ভাবনা-চিন্তা করে রাজি হয়ে যাই। তবে তিনি আমাকে গল্পটির জন্য জোর করেননি। হাসি মুখেই বলেন, যদি আমি রাজি থাকি তাহলে গল্পটি নিয়ে তিনি কাজ করতে চান। এভাবেই যুক্ত হওয়া।

আপনার কাছে সিনেমার মূল শক্তি আসলে কী?

আমার কাছে সিনেমার মূল শক্তি কী বলব আমি, কীভাবে বলব। সিনেমার শৈল্পিক দিকগুলো কাজে লাগিয় নির্মাণ করা। সেক্ষেত্রে গল্পটি অবশ্যই প্রধান।

গল্পে গল্পে সমাজকে সিনেমার মাধ্যমে যে বার্তা দিতে চান?

আমি সিনেমার মাধ্যমে সমাজকে যে বার্তা দিতে চাই সেটি হচ্ছে, মানুষ হিসেবে আমি যেখানেই থাকি, যে লিঙ্গরই হই। আমাদের মধ্যে একটা সমানতা থাকা দরকার। কোনো বৈষম্য যেন না হয়। সেটা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে কেউ যেন কারও বাধা না হই।

বাংলাদেশের সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার সুযোগ হয় যদি। সেক্ষেত্রে গল্পে কোন বিষয়টিকে আপনি বেশি প্রাধান্য দেবেন...

যে কোনো বিষয়ই হতে পারে। বাংলাদেশ ও আমাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। মূল কথা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি আমাকে কোনো সিনেমার চিত্রনাট্যর জন্য আমন্ত্রণ করে, আমি ভীষণ খুশি হবো। সেটা শুধু চিত্রনাট্যর জন্য নয়, পরিচালক প্রযোজক হিসেবেও কাজের সুযোগ হয় আমি আনন্দিত হবো।

লাপাতা লেডিসের এমন সফলতার পর আমির ও কিরণের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাহলে তারা কী বলেছে..

হ্যা সিনেমাটির সফলতা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। এ ছাড়া বেশকিছু বিষয় নিয়েও কথা হয়, দেখা হয়। তারা খুবই আন্তরিক। নতুন কিছু করা নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়।

সিনেমার গল্পের দিক দিয়ে বাংলাদেশ, কলকাতা ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির পার্থক্যটা কোথায় বলে আপনি মনে করেন...

একটা বিষয় হচ্ছে সিনেমার আন্তর্জাতিক একটি ভাষা আছে। আরেকটি হলো যেই দেশ বা যেই সমাজের গল্পে সিনেমা নির্মাণ হবে, তাদের আলাদা আলাদা গল্প থাকে। এই জায়গায় একটু পার্থক্য তো থাকবেই। সেই দিকটা দেখতে গেলে একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গার সিনেমা অনেক দিক থেকেই আলাদা আছে।

বাংলাদেশের যেসব নির্মাতার কাজ আপনি দেখেছেন এবং ভালো লাগে?

আমি বাংলাদেশের অনেক সিনেমা দেখেছি। এই দেশের সঙ্গে আমার আত্মার একটি যোগাযোগ রয়েছে। আমি বাংলাদেশে প্রথম আসি ২০২২ সালের দিকে। নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনের আমন্ত্রণে। এ ছাড়া আমার তারেক মাসুদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও দীপঙ্কর দীপনের কাজ ভালো লাগে। বাংলাদেশের নাটক এবং ওটিটি কনটেন্ট দারুণ লাগে আমার। সময় পেলেই আমি নিয়মিত দেখি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস

পৃথিবীর যে স্থানে কেউ যেতে পারে না

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা

সংগঠনের অবস্থা জানতে জেলা সফর শুরু করছে যুবদল

সৌদিতে প্রথমবার সাঁতারের পোশাকে নারী ফ্যাশন শো

তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু

সমুদ্রপাড়ে সিডিএ প্রকৌশলীদের ‘বারবিকিউ পার্টি’

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার হাতে ভাতিজি খুন

১০

পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

১১

অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে সরকার : মান্না

১২

অমরত্ব পেল লেভারকুসেন

১৩

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য : পরশ

১৪

ইউরোপে ভয়ংকর মিশনে নেমেছে ন্যাটো-সিআইএ

১৫

‘চেয়ারে বসলেই ৫০ কোটি টাকা’

১৬

রাজশাহীতে পুলিশ-বিএনপি ধ্বস্তাধ্বস্তি

১৭

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

১৮

যে বার্তা দিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি  

১৯

নাফনদী থেকে দুই বাংলাদেশি যুবককে অপহরণ করেছে আরসা

২০
X