কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আবুবকর সিদ্দিক স্মরণসভা

‘আকাশের রৌদ্র ছায়া মেলে ধরতেন কবি আবুবকর’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই আয়োজিত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে আবুবকর সিদ্দিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই আয়োজিত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে আবুবকর সিদ্দিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা

কবি আবুবকর সিদ্দিক ক্লাসে পাঠদানে শিক্ষার্থীর চোখের ভেতরে অচেনা অন্য আকাশের রৌদ্র ছায়া মেলে ধরতেন। সদ্যপ্রয়াত কবি আবুবকর সিদ্দিকের স্মৃতি ও কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আবুবকর সিদ্দিক স্মরণসভায় তার শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই আয়োজিত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সভাপতি কবি জামিল রায়হান। ড. মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন, অধ্যাপক ড. পি এম সফিকুল ইসলাম, ড. রতন সিদ্দিকী, কবি আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক কবি ড মাসুদুজ্জামান, কবি-সাহিত্যিক, প্রয়াত কবির পরিবারের সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী অ্যালামনাইয়ের সদস্যগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল।

কবি কামাল চৌধুরী বলেন, কবিতার পথ-পরিক্রমায় তিনি ছিলেন সমসাময়িক ও আধুনিক। তার উনিশটি কাব্য গ্রন্থে মার্কসীয় চেতনার সঙ্গে ব্যক্তিক যন্ত্রণা, প্রেম ভাবনা, মানুষের অনন্ত সংগ্রাম রূপ-রস-গন্ধময় স্বতন্ত্র কাব্যিক ভাষায় বিবৃত হয়েছে। যা তার কবিতাকে দিয়েছে বিশিষ্টতার চিরকালীন আসন। গদ্যেও তিনি গণমানুষের জীবনের চালচিত্র যে ভাষায় চিত্রিত করেছেন তা বাংলা ভাষার অনন্য সংযোজন। খরাদাহ জলরাক্ষস ভূমিহীন দেশসহ তার দশটি গদ্যগ্রন্থ বাংলা গদ্য সাহিত্যের অনন্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

কবি আসাদ মান্নান বলেন, তিনি বস্তুনিষ্ঠ ও জীবনবাদী লেখক ছিলেন।

কবি জামিল রায়হান বলেন, তার লেখা থেকে যাবে আমাদের মাঝে।

ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, আবু বকর সিদ্দিক আমাদের শিক্ষক, এর বাইরে তিনি একজন কবি এবং কথাকার তারও বাইরে একজন অসম্ভব সুন্দর গণসংগীত রচয়িতা‌। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ যখন চলছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার গান যখন বাজছে, রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা আর দেশের বাঙালি স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ হয়েছিলেন । তাদের সকলকে তিনি প্রণোদিত করেছেন । ১৯৮৮ সালে জীবনকে তিনি নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। আমার প্রিয় বই কালো কালো মেহনতি পাখি।

শোয়েব সাম্য সিদ্দিক তার বাবা সম্পর্কে বলেন, বাবা জঙ্গি বিরোধী কবিতা লিখে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এরপরও তো নীতি বিচু্যেত হননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষার্থীদের রাতের আড্ডা বন্ধে চৌদ্দগ্রাম ইউএনওর অভিযান

কাজে আসছে না কোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স

আইপিএলের পর দ্বিতীয় সেরা হতে চায় যে টি-টোয়েন্টি লিগ

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে সেমিস্টার ডে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : আইন উপদেষ্টা

নাটোরে ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন

ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়

বেড়েছে পদ্মার পানি, ডুবেছে ৩১ গ্রাম

ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, নজর রাখছে জার্মান সংস্থা

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

১০

ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

১১

মোহাম্মদপুরের কুখ্যাত ছিনতাই চক্রের প্রধান ভাগনে বিল্লাল গ্রেপ্তার

১২

কোন কোন শর্ত মেনে ছেলেদের চীনাবাদাম খাওয়া উচিত

১৩

যাবজ্জীবন দণ্ড ভোগ করে মুক্তির পর দোকান পেলেন দুলাল

১৪

রাজস্থান থেকে মিস ইউনিভার্স বিশ্বমঞ্চে মনিকা বিশ্বকর্মা

১৫

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ

১৬

চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস

১৭

খাবার হোটেলে গিয়ে অবরুদ্ধ শ্রম পরিদর্শক

১৮

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২২৬৪ মামলা

১৯

বিতর্কিত শিক্ষা কর্মকর্তা সালামকে বদলি, গাজীপুরে মিষ্টি বিতরণ 

২০
X