কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নানা আয়োজনে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী পালিত

ছায়ানট মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা
ছায়ানট মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা

নানা আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়ছে। এ উপলক্ষে ছায়ানট নজরুল-উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৫ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

এতে পরিবেশিত হয় গীতিআলেখ্য, একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেয়।

গীতিনৃত্যালেখ্য ‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ পরিবেশন করেন সনজীদা খাতুন। সম্মেলক গান ‘চোখ গেল চোখ গেল’ পরিবেশন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। একক সংগীত পরিবেশন করেন নাশিদ কামাল, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, কানিজ হুসনা আহম্মদী সিম্পী, মনীষ সরকার, শারমিন সাথী ইসলাম, ময়না জয়িতা অর্পা, মফিজুর রহমান, বিটু কুমার শীল, লতিফুন জুলিও, সঞ্জয় কবিরাজ, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, কল্পনা আনাম প্রমুখ।

একক নৃত্য ‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’ পরিবেশন করেছেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আবৃত্তি করেছেন মাসুদুজ্জামান। পাঠ দান করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, মুখ্য ছিলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শুরুতে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যশিল্পী দল ‘সৃজন ছন্দে আনন্দে’। নৃত্য পরিচালনা করেন মেহরাজ হক তুষার এবং সহযোগিতা করেন আনন্দীতা খান ও এস কে জাহিদ। গীতি আলেখ্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংগীতদল, সংগীত পরিচালনা করেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। সমবেত নৃত্য ‘আমার কৈফিয়ত’, ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যশিল্পী ও শিশু নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন জয়দেব পালিত এবং সহযোগী ছিলেন এস কে জাহিদ। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা ‘জয় হোক জয় হোক’ এবং ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীতদল ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’।

এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন ছন্দা চক্রবর্তী ‘কিশোরী মিলন বাঁশরী/ লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া’, সালাউদ্দিন আহমেদ ‘আসলো যখন ফুলের ফাগুন/গভীর নিশিথে ঘুম ভেঙে যায়/ ব্রজগোপী খেলে...’, সুজিত মোস্তফা ‘তোমার বীণা তারের গীতি/ কোন মধুর শরাব দিলে, ফাতেমা তুজ জোহরা ‘নাচের নেশার ঘোর লেগেছে/ কোথায় খুঁজিস তুই ভগবান, রাজিয়া মুন্নি ‘মোর ঘুম ঘোরে এলো মনোহর/প্রিয় এমন রাত যেন’, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, শারমীন সাথী ইসলাম ময়না ‘এসো বঁধু ফিরে এসো’। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তামান্না তিথি ও মীর বরকত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোমান আমলের নাট্যশালা ও মুখোশের ভাস্কর্য উদ্ধার

হোন্ডা ফুটসাল লিগ উদ্বোধন করলেন জামাল ভূঁইয়া

গাজার আন্তর্জাতিক বাহিনীতে আরেক মুসলিম দেশকে আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

ইন্দোনেশিয়ায় সিত্রা পারিওয়ারা ফেস্টিভালের ডাক পেলেন বাংলাদেশের আকরম

মিস ইউনিভার্স মঞ্চে বিতর্ক,আচরণে শালীনতার জবাব দিলেন মিথিলা

এনসিপির মনোনয়ন কিনলেন সেই রিকশাচালক, লড়বেন যে আসন থেকে

ঘরের যে ৮টি জিনিস সরিয়ে রাখলেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়বে

ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে মহিলা পরিষদের শ্রদ্ধা

একদিনে ‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরও ১ নেতা

১০

টেকটেক্সটিল ও টেক্সপ্রসেস ২০২৬-এর জন্য মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট বাংলাদেশকে ফোকাস কান্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করেছে

১১

নামিদামি মিষ্টির দোকানে ম্যাজিস্ট্রেটের হানা, অতঃপর...

১২

মোহনলালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, যা বললেন দক্ষিণী অভিনেত্রী

১৩

টার্মিনাল চুক্তি সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে : সাইফুল হক

১৪

গ্রি গ্লোবাল বাংলাদেশ পার্টনার’স মিট-২০২৬ সম্পন্ন

১৫

বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামের জানাজা সম্পন্ন, সেলিমুজ্জামানের শোক

১৬

গাছে ঝুলছিল নিখোঁজ শিশুর লাশ, পরনের প্যান্ট দিয়ে ঢাকা মুখ

১৭

সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন খালেদা জিয়া

১৮

পাকা চুল কি সত্যিই ক্যানসার থেকে বাঁচায়? যা বলছে গবেষণা

১৯

ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল : দুলু

২০
X