দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) রোববার (৬ আগস্ট) নির্ধারিত লেনদেন শেষে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে অনেক বুকারের হাউসকে শেয়ার কেনাবেচার তথ্য সরবরাহ বা নিষ্পত্তি করতে পারেনি ডিএসই। ব্রোকারেজ হাউসের এ সংখ্যা ৬৪টি বলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।
তবে সমস্যা সমাধানে ডিএসইর বিশেষজ্ঞ দল কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসইর একজন মুখপাত্র। সর্বশেষ রাত ১১ টা ৪০ মিনিট এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এর কোন সমাধান হয়নি। ফলে সোমবারের লেনদেন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে সমাধানে বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ পরামর্শ করছেন বলে জানা গেছে।
ডিবিএ সভাপতি রিচার্ড ডি’রোজারিও কালবেলাকে বলেন, লেনদেন শেষ হলেও তথ্য সরবরাহ জটিলতার কারণে অনেক ব্রোকারেজ হাউস ডিএসইর কাছ থেকে তথ্য পায়নি। ফলে সিডিবিএল তাদের শেয়ার লেনদেনের কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে পারেনি। এর ফলে সোমবারের লেনদেন কোন প্রক্রিয়ায় শুরু হবে তা নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে ম্যানুয়ালি লেনদেন করা যায় কিনা সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।
ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবেই লেনদেন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তবে শেয়ার লেনদেনের তথ্য নিষ্পত্তিতে জটিলতা দেখা দেয়। সমস্যা চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে সমাধানের কাজ চলছে।
নিয়মানুযায়ী, শেয়ারবাজারের প্রতিদিন লেনদেন শেষে লেনদেন নিষ্পত্তির বা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে সরবরাহ করে ডিএসই। সে অনুযায়ী শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পন্ন করে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। কিন্তু গতকাল লেনদেন শেষে হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলো তাদের তাদের লেনদেন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছেন।
মন্তব্য করুন