রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল, মতিঝিল) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে দৈনিক শেয়ার বীজ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক বীর সাহাবী এই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বীর সাহাবী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যাই। নিউজের জন্য ভিডিও করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল, মতিঝিল) আব্দুল্লাহ আল মামুন এসে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। পরে আমার পকেটে থাকা অন্য মোবাইল ফোনটিও বের করে তিনি নিয়ে নেন।
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের ঐ কর্মকর্তা পত্রিকার লাইসেন্স আছে কি না তা জানতে চাইলে আমি তাকে বলি শেয়ার বীজ বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত একটি পত্রিকা। এরপর এসি মামুন বলেন লাইসেন্স নিয়ে আসেন, এরপর মোবাইল দেওয়া হবে। পত্রিকার আইডি কার্ড দেখানোর পরও তিনি মোবাইল ফেরত দেবেন না বলে জানান।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সাংবাদিকতা অনিরাপদ
এসময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এসি মামুনকে মোবাইল সেট ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি মোবাইল দুটি ফেরত দেন।
পুলিশ সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, না তিনি (পুলিশ) এটা পারেন না। কর্তব্যরত সাংবাদিকের কোনো কাজে বাধা দেওয়া বা তার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের নয়। আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টিতে তার (আব্দুল্লাহ আল মামুন) কাছেও জবাব চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে যারা নিয়োজিত রয়েছেন সেসব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো সাংবাদিক ভাইদের সঙ্গে কোনো ধরনের বাকবিতণ্ডা বা ঝামেলার ঘটনা না ঘটে।
মন্তব্য করুন