রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসা থেকে সুমি আক্তার (২৭) নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ জুন) রাতে উত্তর বাড্ডার সোনামিয়া মাতুব্বর রোডের চ-১০০ নম্বর বাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাসবুনিয়া গ্রামের মো. হানিফ হাওলাদারের মেয়ে। তিন মাস আগে কথিত স্বামী রাসেলের সঙ্গে উত্তর বাড্ডায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা রাতে ঘটনাস্থলে যাই। বিছানার ওপর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি। তবে এখন তিনি পলাতক রয়েছেন। রাসেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে ঘটনার পেছনের কারণ জানা যেতে পারে।
এ বিষয়ে সুমির বোনজামাই আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শুনেছি রাসেল নামে একটি ছেলেকে বিয়ে করেছে সুমি। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমাদের ওইভাবে যোগাযোগ ছিল না। গতকাল (রোববার) রাতে আমরা খবর পাই আমার শ্যালিকা মারা গেছেন। পরে গিয়ে দেখি তার অর্ধগলিত মরদেহ। আমরা যতদূর জানি রাসেল একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন এবং আমার শ্যালিকা নাকি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই বাসায় রাসেলের আরেক ভাগিনা সাকিবে আসা-যাওয়া ছিল। কয়েক দিন আগে তিনি সৌদি আরব চলে গেছেন। আমাদের ধারণা রাসেল ও সাকিব দুজনে মিলেই কয়েক দিন আগে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান। রাসেলকে গ্রেপ্তার করা গেলেই ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন