পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুত্রবধূ সালমা বেগম ও রেঞ্জ ডিআইজির মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগে আলকাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বুধবার (২১ জুন) সকাল থেকে সেখানে অবস্থান নেন তিনি।
আলকাজ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমি একজন ৭৩ বছরের বয়স্ক বৃদ্ধ। আমি বাটন মোবাইলও ঠিক মতো চালাতে পারি না, শুধুমাত্র কল রিসিভ করা ছাড়া। অথচ আমি একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার পুত্রবধূ সালমা আক্তার, মাঠবাড়িয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার এবং বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানের প্রত্যক্ষ মদদে আমার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে সাতটির বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি এই হয়রানি বন্ধ ও অভিযুক্তদের বিচার চাই। এরই প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করেছি। এর আগেও পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু সেই অভিযোগের কোনো তদন্ত দেখতে পাচ্ছি না।
আলকাজ উদ্দিন বলেন, এক প্রতারক তরুণী (পুত্রবধূ) ও কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে লাগাতার হয়রানির শিকার হয়ে আপনাদের সম্মুখে আসতে বাধ্য হয়েছি। মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দেবর গ্রামের সালমা আক্তার আমার বড় ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী। ইতোমধ্যে আমাদের অন্তত পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, যা আদালতে প্রমাণিত। কিন্তু তারপরও দীর্ঘদিন মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন থানা ও আদালতে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ এবং মামলা দিচ্ছে। সালমা কোনোভাবে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামানকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর থেকে ডিআইজি আমাদের সঙ্গে অন্যায়ভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, শুনেছি রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রতারক সালমার পক্ষ নিয়ে দিনের পর দিন মনগড়া ও একপেশে পোস্ট করছেন। একজন উধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণে আমরা হতভম্ব হয়েছি। তাছাড়া আমার ছেলে নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সালমা আক্তারের বিয়ে পড়ান মঠবাড়িয়া পৌরসভার কাজী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এই হাসানের কাছ থেকে কাবিনের বইও বেআইনিভাবে জব্দ করার অপচেষ্টা চালান বরিশাল রেজ ডিআইজি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা। তার (কাজী মাহমুদুল হাসান) কাছ থেকে জোরপূর্বক কাবিনের বই নিয়ে তা গায়েব করে ফেলার অপচেষ্টা ছিল পুলিশের, যা সম্পূর্ণ ডিআইজির নির্দেশে হয়েছিল। প্রতারক সালমা ডিআইজির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের ও সেই কাজীকে সরাসরি হামলার হুমকি দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন