চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সচল হচ্ছে চট্টগ্রামের অচল খাল

দখল খাল উদ্ধারে অভিযান। ছবি : কালবেলা
দখল খাল উদ্ধারে অভিযান। ছবি : কালবেলা

খালের প্রস্থ ২৫ থেকে ৪০ ফুট। কিন্তু দখল-দূষণে খাল হয়ে গেছে সরু, প্রস্থ ঠেকেছে পাঁচ থেকে ১০ ফুটে। দখল-বেদখলে দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই বেহাল চট্টগ্রাম নগরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়া খালের। খালটি উদ্ধারে প্রায় ৮ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয়রা। সবশেষ টানা অভিযানে অচল খালটি সচলের কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন জানায়, টানা অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার হারবাতলী থেকে উজানের দিকে বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী কালীর ছড়া খালের শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। টানা অভিযানে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গরুর খামার, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা প্রাচীর, বসতঘর, শৌচাগার, দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের সেমিপাকা ও পাকা স্থাপনা। অভিযানে মোট অবৈধ ২৮টি বিদ্যুৎসংযোগ, ৮টি পানির সংযোগও স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) কালীরছড়া খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানের শুরুতে উদ্ধারকারী দল দখলদারদের বাধার মুখে পড়ে। হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) খাল উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করে প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ও ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের মাঝে প্রবাহিত কালির ছড়া খাল। দুই ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালটি দখলের কারণে প্রশস্ততা হারিয়ে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা ও ২৫ থেকে ৪০ ফুট প্রস্থের খালটির প্রশস্ততা পাঁচ থেকে ১৫ ফুটে এসে ঠেকেছে। দখলদাররা অনেক এলাকায় খালের গতিপথও পরিবর্তন করেছেন। খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।

জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে শত শত বাসিন্দাকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়। খালটি উদ্ধারে ‘কালির ছড়া খাল অবমুক্তকরণ সংগ্রামী জনতা’র ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল একটি পক্ষ। খালের পাশে বিশ্বব্যাংক কলোনি আবাসিক এলাকা, শাহের পাড়া, লেকসিটি, জয়ন্তিকা, রামপুরা, ভূমিহীন, ছিন্নমূল, যমুনা, সবুজ বাংলা, শাপলা ও কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা অবস্থিত। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে এই ১১ এলাকাসহ আকবর শাহ ও কাট্টলী এলাকার বাসিন্দারা খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আসছিল৷

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন, টানা দুই দিনের অভিযানে অবৈধ দখলদারদের টনক নড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে, এভাবে অবৈধভাবে দখলদারিত্ব ধরে রাখা যাবে না। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের স্পষ্ট বার্তা হচ্ছে, পাহাড়, খাল এসব থেকে আপনারা সরে পড়ুন। পরিবেশ রক্ষায় অন্যান্য জায়গায়ও একইভাবে অভিযান চলমান থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতিসংঘ ফেলোশিপে ১০ নারীর মধ্যে স্থান পেলেন বাকৃবির মারজানা

জিয়া পরিবারকে সবচেয়ে নির্যাতন করেছে আওয়ামী সরকার : কবির ভূইয়া

মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আমিনুল হক

এবার এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়ে মির্জা গালিবের পোস্ট

মায়ামিতে হতে যাচ্ছে লা লিগার ম্যাচ!

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে : চরমোনাই পীর

আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা বিতর্কে বিসিবি থেকে বাদ ইসফাক আহসান

সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যা বললেন আমিনুল

১০

১৩ বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় গাজীপুরবাসী

১১

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

১২

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

১৩

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

১৪

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১৫

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

১৬

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১৭

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

১৮

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

১৯

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

২০
X