চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ফের ধরা পড়ল অবৈধ স্বর্ণের চালান। ফ্রাইপ্যানের হাতল ও পারফিউমের বোতলের মুখে লুকিয়ে অভিনব পন্থায় আনা সেই স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট ৯৮১ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৫৩৭ গ্রাম স্বর্ণসহ মোহাম্মদ রেজাউল করিম নামের এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা। আটক এ যাত্রী কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার বাসিন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ কালবেলাকে বলেন, রেজাউল করিম নামের ওই যাত্রীর কাছ থেকে অবৈধ স্বর্ণ ছাড়াও মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও সিগারেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৫ টাকা। তার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা মডেল থানায় ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে দুবাই এয়ারলাইন্সের এফজেড-৫৬৩ নামক একটি ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে আসেন কমির নামের এক যাত্রী। গোপন সংবাদ থাকায় তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২৪ ক্যারেটের ১১৬.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের বার, ২৪ ক্যারেটের ৮৮ গ্রাম ওজনের তিনটি রিং, ২৪ ক্যারেটের ২৩৩ গ্রাম ওজনের দুটি স্বর্ণের দন্ড, ২২ ক্যারেটের একশ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এগুলো ফ্রাইপ্যানের হাতল ও পারফিউমের বোতলের মুখে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার প্রায় অর্ধ কোটি টাকা দামের ছয়টি স্বর্ণের বারসহ এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছিল। এসব ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেমকে প্রাথমিক তথ্যে জড়িত থাকায় সংস্থাটির ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল।
তখন অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেম কালবেলাকে বলেছিলেন, যড়যন্ত্র করে আমাকে ও আমার দপ্তরকে বিতর্কিত করতে চায়। এ ঘটনায় আমি জড়িত নাকি অন্য কেউ জড়িত সেটি সিসি ফুটেজসহ বিস্তারিত তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন