চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের মূল সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবিতে দুই ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম-দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রুটের যাত্রীরা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন বাকলিয়া থানার গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ পরিবহন শ্রমিক। এ বিক্ষোভ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
সংগঠনের নেতারা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান, পিএবি বাঁশখালী রোডের শৃঙ্খলা আনয়ন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, দিনের বেলায় অনিয়ন্ত্রিত এসি/নন এসি বাস চলাচল বন্ধ, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ধারা ৪০ এর বিধি লঙ্ঘন, সড়কে নিষিদ্ধ ও অবৈধ টমটম, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, থ্রি-হইলারসহ বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের অধীনের এক হাজারেরও বেশি যাত্রীবাহী গাড়ি আছে, বিক্ষোভ চলাকালে সেগুলো বন্ধ ছিল। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঘর থেকে বেরিয়ে বিপাকে পড়েন ওই রুটের যাত্রীরা। এ সময় শাহ আমানত সেতু এলাকার বিভিন্ন কাউন্টারে ভিড় সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে বাসের অপেক্ষায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
মিনহাজুল করিম নামের এক যাত্রী কালবেলাকে বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে (কক্সবাজার) বাড়িতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। তাই সকাল থেকে অপেক্ষা করছি।’ সবশেষ দুপুরের পর ওই রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম-দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুছা কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন দাবি আদায়ে জন্য এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি আমরা। বিক্ষোভ চলাকালে যাত্রীবাহী গাড়ি বন্ধ ছিল। আমাদের সংগঠনের সঙ্গে এক হাজারেরও বেশি গাড়ি যুক্ত সেগুলোই ওই সময়ে বন্ধ ছিল। এর বাইরে যারা গাড়ি নামিয়েছেন কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি।
মন্তব্য করুন