খুন, চুরি, ছিনতাই, অস্ত্র মামলাসহ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় দুই ডজন মামলা। তাদের দলনেতা নুরুল আলম ওরফে হামকা বিভিন্ন মামলায় খাটছেন জেল। সেই ‘হামক গ্রুপ’ নামে খ্যাত নুরুল আলমের অনুসারীরাই এবার নেমেছেন অভিনব ছিনতাইয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সেজে চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাই করে বেড়াচ্ছিলেন এ গ্রুপের সদস্যরা। চট্টগ্রামে একটি ছিনতাইয়ের মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কালবেলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর। এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত টানা চার দিনের অভিযানে এই গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু, মো. জসীম, মো. দেলোয়ার ও রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, হামকা গ্রুপের দলনেতা নুরুল আলম কারাগারে আছেন। তার অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নুরুল আলমের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু। সবশেষ এক মাস আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর চকবাজার থানার নার্সারি মোড়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা অনুসন্ধানে নেমে গ্রুপটি ফের সক্রিয় হয়ে উঠার তথ্য জানতে পারে পুলিশ। এরপর গত চার দিনে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এক যুগ আগে বিভিন্ন কায়দায় ছিনতাই করে আলোচনায় এসেছিল হামকা গ্রুপ। গত ২০১৭ সালে ছিনতাইয়ের গ্রুপের দলনেতা নুরুল আলম গ্রেপ্তারের পর দণ্ডপ্রাপ্ত হন। কিন্তু আরও পাঁচ মাস আগে কারাগার থেকে বের হয়ে দলকে আবার সক্রিয় করেন মিঠু। এবার তারা অটোরিকশা চালকের ছদ্মবেশে ছিনতাই করে বেড়াচ্ছিলেন। তাদের টার্গেট ছিল বিভিন্ন ব্যাংক, এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা ব্যক্তিরা।
চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে বাবুলকে ১৮ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা গত ১৭ ডিসেম্বর ছিনতাইয়ের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। এই ছিনতাইয়ের মূল নেতৃত্বদাতা মোস্তাফিজুর। তিনি হামকা গ্রুপের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’। পাঁচ মাস আগে জেল থেকে বেরিয়ে গ্রুপের নিষ্ক্রিয় সদস্যদের সক্রিয় করেন এবং আগের মতো ছিনতাই শুরু করেন।
মন্তব্য করুন