ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন শিক্ষার্থীরা

লাল পতাকা হাতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার করাচ্ছেন স্কুলের দপ্তরী। ছবি : কালবেলা
লাল পতাকা হাতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার করাচ্ছেন স্কুলের দপ্তরী। ছবি : কালবেলা

ফুটওভার ব্রিজের অভাবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পারাপার হন। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সড়কের একপাশ থেকে অন্যপাশে চলাচল করতে হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

অভিভাবকরা বলছেন চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কটি প্রশস্তকরণ করলেও সড়কে স্কুলের সামনে কোনো ফুটওভার ব্রিজ নেই। মহাসড়ক হওয়ায় কোথাও গতিরোধক ব্যবস্থা নেই। ফলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। প্রতিনিয়ত বাচ্চারা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে ধুরুং জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পেড্রোলো খুলশী লায়ন্স কিন্ডারগার্টেন। এই ৩ স্কুলে প্রায় ১ হাজার ৬শ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিদিন স্কুল ছুটি হলে শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পার হতে হয়।

তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে দপ্তরী নুরুল আবছার ও আয়া রীতা রাণীকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে সাহায্য করার জন্য পাঠানো হয়। তারা লাল পতাকা হাতে নিয়ে দ্রুতগতির গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। অনেক চালক গাড়ি থামালেও বেশিরভাগই গাড়ি না থামিয়ে চলে যায়।

স্কুলছাত্র মোহাম্মদ রাকিব বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হতে হয়। অনেকে সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মহাসড়কটির পাশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ধুরুং জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, এ এলাকায় অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার হতে হয়। আমরা এর আগে উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি জানিয়েছি। এরপর গতিরোধকের বিল পাস হলেও এখনো প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পেড্রোলো খুলশী লায়ন্স কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকা উম্মে সালমা বলেন, স্কুলের ভিতরের দায়িত্ব আমাদের। বাইরে থেকে যে যার মতো আসে এবং নিয়ে যায়। তারপরেও আয়া দপ্তরিরা অনেক সময় সহযোগিতা করে।

ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এম এ বারেক বলেন, বিষয়টি আমরা স্ব স্ব দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। আমরা চাই এখানে একটা স্পিড ব্রেকার অথবা ফুটওভার ব্রিজ হলে বেশি ভালো হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ কাজটি করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের। আমরা সওজ বিভাগকে বিষয়টি অবগত করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪০ কোটি টাকায় দেড়শ বছরের সিআরবি ভবন সংস্কারের উদ্যোগ

সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৭০ ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত

‘যদি পিআরের জন্য আন্দোলন করেন, তাহলে নমিনেশন দিলেন কেন’

প্রপাগান্ডা ছড়ানোর আগে পরামর্শ নিতে বললেন শিবির প‍্যানেলের সর্ব মিত্র!

মালয়েশিয়ায় নামাজ আদায় করে কার্যক্রম শুরু করলেন নাহিদ

খাওয়ার পর করা এই ৮ কাজ ডেকে আনবে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞ

এবার নাহিদা-সোবহানারাও হারল যুবাদের কাছে

গুম-খুনের জন্য হাসিনার বিচার হতেই হবে : মির্জা ফখরুল

৩৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানছেন গোবিন্দ ও সুনীতা

ফেনী থেকে নির্বাচন করবেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান 

১০

চাঁদাবাজি ও ছিনতাইর অভিযোগে সাবেক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

১১

অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলল ছাত্রদল

১২

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দেয়নি যেসব দল

১৩

গ্রোক চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের লাখো তথ্য ফাঁস

১৪

গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই, বলল ইসরায়েল

১৫

হোটেলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, সাবেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা

১৬

অজিদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের রেকর্ড সিরিজ জয়

১৭

তিস্তা সেচ ক্যানেলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু 

১৮

ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে সৌরজগতের সবচেয়ে দ্রুতগতির গ্রহ

১৯

পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হবে : ডা. তাহের

২০
X