ফুটওভার ব্রিজের অভাবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পারাপার হন। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সড়কের একপাশ থেকে অন্যপাশে চলাচল করতে হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
অভিভাবকরা বলছেন চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কটি প্রশস্তকরণ করলেও সড়কে স্কুলের সামনে কোনো ফুটওভার ব্রিজ নেই। মহাসড়ক হওয়ায় কোথাও গতিরোধক ব্যবস্থা নেই। ফলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। প্রতিনিয়ত বাচ্চারা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে ধুরুং জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পেড্রোলো খুলশী লায়ন্স কিন্ডারগার্টেন। এই ৩ স্কুলে প্রায় ১ হাজার ৬শ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিদিন স্কুল ছুটি হলে শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পার হতে হয়।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে দপ্তরী নুরুল আবছার ও আয়া রীতা রাণীকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে সাহায্য করার জন্য পাঠানো হয়। তারা লাল পতাকা হাতে নিয়ে দ্রুতগতির গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। অনেক চালক গাড়ি থামালেও বেশিরভাগই গাড়ি না থামিয়ে চলে যায়।
স্কুলছাত্র মোহাম্মদ রাকিব বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হতে হয়। অনেকে সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মহাসড়কটির পাশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ধুরুং জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, এ এলাকায় অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার হতে হয়। আমরা এর আগে উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি জানিয়েছি। এরপর গতিরোধকের বিল পাস হলেও এখনো প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পেড্রোলো খুলশী লায়ন্স কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকা উম্মে সালমা বলেন, স্কুলের ভিতরের দায়িত্ব আমাদের। বাইরে থেকে যে যার মতো আসে এবং নিয়ে যায়। তারপরেও আয়া দপ্তরিরা অনেক সময় সহযোগিতা করে।
ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এম এ বারেক বলেন, বিষয়টি আমরা স্ব স্ব দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। আমরা চাই এখানে একটা স্পিড ব্রেকার অথবা ফুটওভার ব্রিজ হলে বেশি ভালো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ কাজটি করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের। আমরা সওজ বিভাগকে বিষয়টি অবগত করব।
মন্তব্য করুন