বাংলাদেশে শুরু হলো দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফাইবার ও পলিমার উপাদানবিষয়ক সম্মেলন ‘আইসিএফপি ২০২৫’।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ক্যাম্পাসে এ সম্মেলন শুরু হয়।
সোসাইটি অব ফাইবার সায়েন্স, বাংলাদেশের আয়োজনে এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সহযোগিতায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোসাইটি অব ফাইবার সায়েন্স বাংলাদেশের সভাপতি এবং জাপানের শিজুওকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম এ বারিক এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাপান ফাইবার সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টোকিওর শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাকেশি কিকুতানি, যুক্তরাষ্ট্র ফাইবার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ক্যারোলিন এল শাওয়ার, ড. রুডলফ হুফেনাস (এম্পা, সুইজারল্যান্ড), অধ্যাপক সুয়াবন চিরাচেনচাই (থাইল্যান্ড), অধ্যাপক সীরাম রামকৃষ্ণ (সিঙ্গাপুর), অধ্যাপক হান ইয়ং (কোরিয়া), জাপান টেক্সটাইল মেশিনারি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক শুইচি তানোউয়ে (জাপান), অধ্যাপক কোজি নাকানে (জাপান)।
এছাড়াও, বুটেক্স উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন, আইএসের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আইএসইউ ট্রেজারার অধ্যাপক এইচটিএম কাদের নেওয়াজ, ইইউবি'র অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষাবিদ, শিল্প উদ্যোক্তা এবং নীতিনির্ধারকগণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
অধ্যাপক ড. এম এ বারিক বলেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পলিমার খাতকে বিশ্বমানের গবেষণা ও প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পলিমার শিল্পে নতুন গবেষণার দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং দেশীয় শিল্প আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ফাইবার ও পলিমার বিজ্ঞান এখন শুধু বস্ত্রেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং চিকিৎসা, পরিবেশ সুরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশীয় গবেষক ও শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক গবেষকদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পাবেন, যা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পলিমার খাতকে বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করবে।
বক্তারা জানান, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প দেশের অর্থনীতির প্রাণ। এ সম্মেলন শুধু নতুন গবেষণা নয়, বরং শিল্পখাতের জন্য নীতি-প্রস্তাবনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনী পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন।এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশীয় গবেষক ও শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষকদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছেন। একই সঙ্গে টেক্সটাইল ও পলিমার শিল্পে নতুন গবেষণা, উদ্ভাবন ও সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হবে।
সম্মেলনে মূলত টেকসই বস্ত্র, পরিবেশবান্ধব ফাইবার, ইলেকট্রনিক ফাইবার, চিকিৎসাবিষয়ক বস্ত্র, ন্যানো ফাইবার, পুনর্ব্যবহৃত ফাইবার, মসলিন, জিওটেক্সটাইলস, কার্বন ফাইবার, কাঁচের ফাইবার, স্পিনিং, বয়ন, কেমিক্যাল প্রসেসিং, ফাইবার তৈরির পলিমার, ফাইবারের গঠন ও বৈশিষ্ট্য, ফাইবার কম্পোজিটস, ফাইবারের উপাদান, তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও শিল্প সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পলিমার শিল্পে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন। সম্মেলনে বিভিন্ন প্রবন্ধ ও পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।
২৬ আগস্ট শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন