উত্তরা ইউনিভার্সিটি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সিআরটি)-এর আয়োজনে গবেষণা ও প্রকাশনা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর মোট ৬৩ জন গবেষককে তাদের অসামান্য গবেষণা অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে, যাদের গবেষণায় ১০০টিরও বেশি স্কোপাস-ইনডেক্স প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়।
এ পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য প্রকাশনাগুলোকে স্কোপাস, ওয়েব অব সায়েন্স, ইউইউ জার্নাল বা অন্যান্য সম্মানসূচক ও উচ্চ প্রভাবশালী জার্নালে প্রকাশিত ও সূচিবদ্ধ হতে হয়েছে।
উত্তরা ইউনিভার্সিটি তাদের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র ও নগদ অর্থ সম্মানী হিসেবে দেওয়ার মাধ্যমে সম্মাননা জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের অসাধারণ গবেষণা অবদান ও স্কোপাস-ইনডেক্সে স্থান পাওয়া প্রবন্ধসমূহকে স্বীকৃতি জানানো হয়, যা উত্তরা ইউনিভার্সিটির একাডেমিক উৎকর্ষতার চর্চা ও সকল ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রমাণ।
আয়োজক এবং অংশগ্রহণ করা প্রাবন্ধিকদের মতে, এ অনুষ্ঠান শুধু একাডেমিক উৎকর্ষতার স্বীকৃতিই দেয়নি, বরং গবেষণা, উদ্ভাবন ও একাডেমিক গৌরবের সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারকেও আরও সুদৃঢ় করেছে।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিগো উত্তরা লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আবিদ আজিজ। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন প্রফেসর ড. মো. সুলতানুল ইসলাম, পরিচালক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, আজ আমরা আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের অসাধারণ গবেষণা অর্জন উদযাপন করছি, যাদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রম উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অবস্থানকে ক্রমাগত উন্নত করছে। এ অনুষ্ঠান আমাদের উদ্ভাবনী গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তোলার এবং এমন জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে যা সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, উভয়ের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এ পুরস্কারগুলো আমাদের গবেষকদের আরও অনুপ্রাণিত করবে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এবং তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অর্থবহ অগ্রগতি সাধনে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবিদ আজিজ বলেন, ভবিষ্যতের গবেষণা ও প্রকাশনায় আমি আপনাদের আহ্বান জানাই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের (এসডিজি) সঙ্গে নিজেদের কাজকে সংযুক্ত করতে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অসীম সম্ভাবনাকে আরও ভালো করে বুঝতে।
মন্তব্য করুন