সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সিলেটে বারবার বন্যা, টিলা ধসের শঙ্কা

পাহাড়ি টিলায় লাল পতাকা সংকেত টানিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি : কালবেলা
পাহাড়ি টিলায় লাল পতাকা সংকেত টানিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি : কালবেলা

সিলেটে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বারবার বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। একটি বন্যা শেষ হতে না হতেই ভারি বৃষ্টিপাতে শঙ্কিত সিলেটের মানুষ। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টিলা ও পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে টিলা বা টিলার পাদদেশে অবস্থানকারী সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতি বছর বন্যায় টিলা ধসে অনেক মানুষ মারা যায় সিলেটে।

সোমবার (১০ জুন) সিলেট নগরের মেজর টিলায় ধসে একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের ওপর পড়ে। ঘরে থাকা দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও তিনজনের মৃত্যু হয়।

বারবার টিলা ধসে অনেক মানুষের মৃত্যু হলেও কঠোর অবস্থানে যেতে পারে না প্রশাসন। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এ ঘটনাগুলো ঘটছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, শুধু বর্ষা এলে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযানে পাহাড় টিলা রক্ষা বা প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব নয়। সিলেটে পাহাড় ও টিলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড় টিলা ধসের আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করতে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার কালবেলাকে বলেন, আমাদের সকল ইউনিয়ন বন্যাকবলিত ছিল। এখন পানি কমছে। মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ টিলাগুলো শনাক্ত করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। মানুষদের সচেতন করতে আমাদের মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান কালবেলাকে বলেন, সিলেটে ছোট বড় মিলিয়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টিলা আছে। এর মধ্যে ১৫০ ঝুঁকিপূর্ণ টিলা আছে। ঝুঁকিপূর্ণ সবকটি টিলা থেকে আমরা চেষ্টা করছি মানুষজনকে অন্যত্র নেওয়ার জন্য। যেখানে দেখছি টিলা উঁচু সেখান থেকে আমরা জোরপূর্বক হলেও তাদেরকে আমরা চেষ্টা করছি সরিয়ে নেওয়ার জন্য। বাধ্যও করেছি কয়েকটা জায়গাতে। অনেকে আমাদের বলে যে আমার জীবন থাকতে আমি বাড়িঘর ছাড়ব না। তারপরও আমরা বুঝিয়ে তাদেরকে সরানোর চেষ্টা করি। যখন বেশি বৃষ্টি হয় তখন আমরা তাদেরকে বেশি জোর করে সরানোর চেষ্টা করি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কানাইঘাট থেকে দুটি পরিবার, গোলাপগঞ্জ থেকে একটি পরিবার ও সদরে টিলার পাদদেশে থাকা কয়েকটি পরিবারকে সরিয়েছি। যেসব জায়গায় এসব ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব জায়গায় আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যমুনা অভিমুখে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা, পুলিশের বাধা

ছেলে-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

শীতে চুলের যত্নে যা করবেন

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে জিলবাংলা চিনি কল

প্রবাসীদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের, ডিসেম্বরে কার্যকর

‘সুগার ড্যাডি’ চক্র বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

আপনারা সবটুকু জেনে সত্যটাই প্রকাশ করবেন: তানজিন তিশা

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের

ধানের শীষ মানুষের আস্থার প্রতীক : জালাল উদ্দিন

শীতের সকাল বা সন্ধ্যায় গরম গরম সুপ সারাবে ঠান্ডা ও গলার ব্যথা

১০

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

১১

কুকুর কামড়ে কান ছিঁড়ে নিল শিশুর, মালিক গ্রেপ্তার

১২

উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ পাস

১৩

বৈশাখের বরুণ ফুটেছে অগ্রহায়ণে, বিলাচ্ছে মুগ্ধতা

১৪

সাগরে আরেকটি লঘুচাপ, কমবে তাপমাত্রা

১৫

অন্যদের কাছে সম্মান পেতে যা করা জরুরি

১৬

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিখবে কবে?

১৭

মেট্রোরেল কার্ডের অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন 

১৮

পঞ্চগড়ে ২ হাজার বস্তা সার জব্দ

১৯

উয়েফার বিরুদ্ধে সুপার লিগের ‘হাজার কোটি টাকার’ মামলা শুরু

২০
X